লালমোহনে আ’লীগের সংঘর্ষ-প্রধানমন্ত্রীর ছবি ভাংচুর, আহত ২০

দৈনিকবার্তা-ভোলা, ২৩ অক্টোবর ২০১৫ : ভোলার লালমোহনে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে আওয়ামীলীগের দুই গ্র“পের সংঘর্ষে অন্তত্য ২০ জন আহত হয়েছে । বৃহস্পতিবার রাত ৮ টার দিকে উপজেলার ধলীগৌরগর ইউনিয়নের মঙ্গল সিকদার বাজারে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মিন্টু ও হুমায়ুন মৃধা গ্র“পের মধ্যে সংঘর্ষ, ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া, আওয়ামীলীগ, ছাত্রলীগের দুইটি অফিসও ব্যাবসা প্রতিষ্ঠান সহ মোটরসাইকেল ভাংচুর করা হয়। এতে স্থানীয় বাজার ব্যাবসায়ী ও পূজা মন্ডপে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। এঘটনায় ওই এলাকায় উত্তেজানা বিরাজ করছে।এলাকা সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার বিকেলে ইউনিয়ন ছাত্রলীগকর্মী আসিফকে মারধোর করেণ প্রতিপক্ষ ছাত্রলীগ নেতা সোহাগ। এঘটনায় সম্ভাব্য চেয়ারম্যান প্রার্থী হুমায়ুন মৃধা গ্র“পের ইউনিয়ন (উত্তর) ছাত্রলীগের সভাপতি মান্নান মৃধার সাথে বর্তমান ইউপি চেয়ারম্যান হেদায়েতুল ইসলাম মিন্টুর ভাই যুবলীগের সভাপতি আলমগীরের সাথে কথার কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে উভয় গ্রুপের মধ্যে লাঠি ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষে জরিয়ে পরে। এসময় মিন্টু গ্রুপরা হুমায়ুন মৃধা গ্র“পের নিয়ন্ত্রনে পরিচালিত স্থানীয় আওয়ামীলীগ ও ছাত্রলীগের দুইটি অফিসের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সজিব ওয়াজেদ জয় ও স্থানীয় এমপি নুরুন্নবী চৌধুরী শাওনের ছবি সহ অফিসের টিভি, আসবাব-পত্র ও ২টি মোটরসাইকেল সহ পাশ্ববর্তী সামছুদ্দিন মাঝির ব্যাবসা প্রতিষ্ঠানে ব্যাপক ভাংচুর করে।

এসময় ইসমাইল, জামাল, আব্বাস, মান্নান, জুয়েল, মহাসিন, অপু, মোসলেউদ্দিন, সামছুদ্দিন ও জসিম সহ অন্তত্য ২০ জন আহত হয়েছে। স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি ও প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়েছেন।

ধলীগৌরনগর ইউনিয়ন (উত্তর) ছাত্রলীগের সভাপতি মান্নান মৃধা জানান, তুচ্ছ বিষয় নিয়ে মিন্টু চেয়ারম্যান নেতৃত্বে তার ভাই আলমগীর, জাহাঙ্গীর, নুরুন্নবী, আহাদ, সামছুদ্দিন, মান্নু দালাল সহ ৪০/৫০ মিলে আমাদের অফিসে বঙ্গবন্ধু, প্রধানমন্ত্রী, সজিব ওয়াজেদ জয় ও এমপির ছবি সহ আসবাব পত্র ভাংচুর করে। আমাদের লোকজনের উপর এলোপাথাড়ি ভাবে হামলা করে।ইউপি চেয়ারম্যান হেদায়েতুল ইসলাম মিন্টু পল্টা অভিযোগ করে বলেন, হুমায়ুন মৃধা গ্র“পের লোকজন আমার নেতা কর্মীদের উপর হামলা করেন। লালমোহন থানার ভারপাপ্ত কর্মকর্তা আক্তারুজ্জান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, খবর পেয়ে থানা পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে বলেও তিনি জানান।