003

দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ২৫ অক্টোবর ২০১৫: গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের আইন না মানার প্রবণতা দেখে অসহায়ত্ব প্রকাশ করছেন সড়ক যোগাযোগমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। রোববার সড়ক ব্যবস্থাপনা নিয়ে বেসরকারি সংস্থা ব্র্যাকের এক আলোচনায় নিজের অসায়ত্বের কথা প্রকাশ করেন। মন্ত্রী বলেন, রাস্তায় নেমে কখনও কখনও অসহায়ভাবে তাকিয়ে দেখি কিছু গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি রং সাইড দিয়ে গাড়ি নিয়ে যাচ্ছেন। পরিচিত কেউ হলে তাকে ফোন করি, ওপার থেকে জবাব আসে রাইট সাইড দিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করো- তখন যাবো। প্রতিনিয়তই এভাবে আইন ভাঙা হচ্ছে।

ওবায়দুল কদের বলেস, যে যা-ই করুক, আমি নিজে কখনো নিয়ম ভাঙি না। রং সাইড দিয়ে যাই না। তিনি বলেন, গত রমজানের ঈদে বাইপাইল টু চন্দ্রা রাস্তায় দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। সে সময় পুলিশ বলল-রং সাইডে গেলে ১৫ মিনিটের পথ। আমি সায় দিইনি। সাড়ে চার ঘণ্টা জ্যামে বসে ছিলাম।তিনি বলেন, ঢাকায় যানজট যেভাবে বাড়ছে, তাতে যে কোনো সময় এ শহর অচল হয়ে যেতে পারে। রাজধানীতে বাসে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করায় মালিকদের সমালোচনা করে মন্ত্রী বলেন, বাস মালিকদের সাথে কথা বলে নতুন ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে। কিন্তু কোন মালিকই তা মানছেন না। তারা অতিরিক্ত আদায় করছেন।

মালিক সমিতির নেতাদের তিনি প্রশ্ন করেন-সমিতির সদস্যরা যদি কথাই না শোনে, তাহলে তারা কীসের নেতা? অবৈধ বিলবোর্ডে অৎস্র রাজনৈতিক নেতার প্রচারের বিষয়টি তুলে ধরে কাদের বলেন, অতি নেতা, পাতি নেতা, আধুলি নেতা- এদেশে নেতার কোনো শেষ নাই। বাংলাদেশ যেন নেতা উৎপাদনের বিশাল কারখানা। বিলবোর্ডে যাদের ছবি যতো উঠছে তাদের জনপ্রিয়তা তত কমছে। এই বিলবোর্ড দেখিয়ে কেউ কেউ চাঁদাবাজিও করেন বলে মন্তব্য কাদেরের। তিনি বলেন, বিলবোর্ডে বঙ্গবন্ধুর ছবি, প্রধানমন্ত্রী ছবি দেখলে কষ্ট লাগে। গত ১৫ অগাস্টের কয়েকটি বিলবোর্ড দেখলাম, বঙ্গবন্ধুর ছবি ম্লান হয়ে আছে। এগুলো দেখা যাবে আগামী ১৫ অগাস্ট পর্যন্ত ঝুলছে।সড়ক ব্যবস্থাপনা নিয়ে এই নীতি আলোচনায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন তত্বাবধাক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা হোসেন জিল্লুর রহমান।