বিশাল জয়ে শুরু বাংলাদেশের

দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ০৭ নভেম্বর ২০১৫: মাশরাফি বিন মুর্তজা চেয়েছিলেন জিম্বাবুয়ে সিরিজ জয় দিয়ে শুরু করতে। আর সাকিব আল হাসান চেয়েছিলেন দাপটের সঙ্গে জিততে। চাওয়া পূরণ হয়েছে অধিনায়ক আর সহ অধিনায়ক দুজনেরই।আর এতে চতুর্থ শতক পাওয়া মুশফিকুর রহিম, ক্যারিয়ার সেরা ব্যাটিং করা সাব্বির রহমানের মতো অবদান রয়েছে তাদের নিজেরও। মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে প্রথম ওয়ানডে ম্যাচে টাইগারদের ছুঁড়ে দেওয়া ২৭৪ রানের টার্গেটে ব্যাটিংয়ে নেমে সফরকারীরা ১২৮ রানেই গুটিয়ে যায়। ফলে, তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ম্যাচে টাইগাররা ১৪৫ রানে বিশাল জয় তুলে নিয়ে ১-০ তে এগিয়ে গেল।ক্যারিয়ারে প্রথমবারের মতো পাঁচ উইকেট পেয়েছেন বিশ্বের অন্যতম সেরা অলরাউন্ডার সাকিব। শেষের দিকে ঝড়ো ব্যাটিং করা অধিনায়ক মাশরাফি পেয়েছেন দুই উইকেট। প্রথম ওয়ানডেতে ১৪৫ রানের এই জয়ে তিন ম্যাচের সিরিজে এগিয়ে গেছে বাংলাদেশ। আগামী সোমবার হবে দ্বিতীয় ওয়ানডে। শনিবার মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে ৯ উইকেটে ২৭৩ রান করে বাংলাদেশ। জবাবে ৩৬ ওভার ১ বলে ১২৮ রানে অলআউট হয়ে যায় জিম্বাবুয়ে।প্রথম আঘাত হানেন সাকিব আল হাসান। চামু চিবাবাকে ফিরিয়ে দেন এই বাঁহাতি স্পিনার।

দলকে দ্বিতীয় উইকেটও এনে দিয়েছেন সাকিব। তার ঠিকমতো খেলতে না পেরে মিড অফে নাসির হোসেনকে ক্যাচ দেন ক্রেইগ আরভিন। উড়িয়ে সীমানা ছাড়া করতে গিয়ে লিটন দাসের চমৎকার ক্যাচে পরিণত হন চিবাবা।এর আগে মধুর প্রতিশোধ নেন আল আমিন হোসেন। তার বলে একটি করে ছক্কা ও চার হাঁকানো লুক জংউইকে ফিরিয়ে দিয়েছেন এক বছর ওয়ানডে খেলতে নামা এই পেসার।রিচমন্ড মুতুমবামির চোটের জন্য প্রথমবারের মতো ইনিংস উদ্বোধন করতে নামা জংউইয়ের ব্যাটের কানা ছুঁয়ে আসা বল গ্লাভসবন্দি করতে কোনো ভুল করেননি মুশফিকুর রহিম।সাকিব আল হাসানের তৃতীয় শিকার শন উইলিয়ামস। সরে গিয়ে কাট করতে চেয়েছিলেন এই বাঁহাতি ব্যাটসম্যান। বলে ব্যাট ছোঁয়াতে না পেরে বোল্ড হয়ে যান তিনি।বাংলাদেশের ২৭৩ রানের জবাবে ৩৬.১ ওভারে গুটিয়ে যায় জিম্বাবুয়ে। সফরকারীদের বিপক্ষে একাই ৫ উইকেট তুলে নেন সাকিব আল হাসান।দুপুর একটায় তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ম্যাচে মিরপুর শের-ই-বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে মাঠে নামে স্বাগতিক বাংলাদেশ এবং সফরকারী জিম্বাবুয়ে। টস জিতে আগে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেন জিম্বাবুয়ের অধিনায়ক এলটন চিগুম্বুরা।টপ অর্ডারের ব্যাটসম্যানরা খুব একটা ভালো না করলেও মুশফিকুর রহিমের অনবদ্য সেঞ্চুরি, তামিম ইকবাল আর সাব্বির রহমানের দারুণ ব্যাটিংয়ে নির্ধারিত ৫০ ওভার শেষে ৯ উইকেট হারিয়ে টাইগাররা তোলে ২৭৩ রান। ক্যারিয়ার সেরা রান করেন সাব্বির।ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ পাওয়ায় টাইগারদের হয়ে ব্যাটিং উদ্বোধন করতে নামেন তামিম ইকবাল এবং লিটন দাস। সৌম্য সরকার ইনজুরির কারণে ছিটকে গেলে তামিম ইকবালের সঙ্গে ওপেনিং করতে নামেন লিটন দাস। প্রথমবারের মতো জাতীয় দলের ওপেনিং ব্যাটসম্যান হিসেবে নেমে নিজের নামের প্রতি সুবিচার করতে পারেননি লিটন দাস। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারের শেষ বলে লুক জঙ্গোর করা বলের লাইন মিস করলে ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টে গ্রায়েম ক্রেমারের তালুবন্দি হন লিটন। আউট হওয়ার আগে ৬ বল মোকাবেলা করলেও কোনো রান আসেনি তার ব্যাট থেকে। লিটনের বিদায়ে ব্যাটিংয়ে আসেন মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ।

শুরুতে লিটন দাসের উইকেট হারালেও বেশ ভালোই এগিয়ে চলছিল স্বাগতিকরা। তবে, ইনিংসের নবম ওভারের তৃতীয় বলে পানিয়াঙ্গারার বলে সরাসরি বোল্ড হয়ে সাজঘরে ফেরেন ১২৩ ওয়ানডে খেলা মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। বিদায় নেওয়ার আগে ২০ বল খেলে একটি চারে মাত্র ৯ রান করেন তিনি। দলীয় ৩০ রানের মাথায় আউট হওয়ার আগে তামিমের সঙ্গে ২৮ রানের জুটি গড়েন রিয়াদ।দলীয় একশ রানের মাথায় আউট হন তামিম ইকবাল (৪০)। ২৪তম ওভারে সিকান্দার রাজার বলে জঙ্গোর তালুবন্দি হওয়ার আগে বাঁহাতি এ ওপেনার ৬৮ বলে তিনটি চার আর দুটি ছক্কা হাঁকান। আউট হওয়ার আগে মুশফিকের সঙ্গে ৭০ রানের জুটি গড়েন তামিম। আরও ২৩ রান যোগ হতেই উইকেট বিলিয়ে দিয়ে আসেন সাকিব আল হাসান (১৬)। সিকান্দার রাজার বলে ডাউন দ্য উইকেটে খেলতে গিয়ে স্ট্যাম্পিংয়ের শিকার হন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার।দলীয় ১২৩ রানে চার উইকেট হারিয়ে চাপে পড়া বাংলাদেশ দলকে উদ্ধার করেন দেশসেরা ব্যাটসম্যান মুশফিকুর রহিম। এ ম্যাচে ওয়ানডে ক্যারিয়ারের চতুর্থ শতকের দেখা পান ১৫৬ ওয়ানডে খেলা মুশফিক। ৮টি বাউন্ডারি আর একটি ওভার বাউন্ডারির সাহায্যে মাত্র ১০৪ বলে মুশফিক তার শতক তুলে নেন। এর আগে ৪৫তম ওভারে ছক্কার পর চার হাঁকিয়ে ওয়ানডে ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় অর্ধশতক তুলে নেন সাব্বির। তবে, বেশিক্ষণ ক্রিজে থাকতে পারেননি তিনি। ব্যক্তিগত ৫৭ রান করে রান আউট হয়ে ফেরেন সাব্বির। আউট হওয়ার আগে ৫৮ বল মোকাবেলা করে তিনি চারটি চার আর দুটি ছক্কা হাঁকান। মুশফিকের সঙ্গে ইনিংস সর্বোচ্চ ১১৯ রানের জুটি গড়েন সাব্বির।সাব্বিরের বিদায়ে ব্যাট হাতে নামেন নাসির হোসেন। চিবাবার তালুবন্দি হওয়ার আগে তার ব্যাট থেকে কোনো রান আসেনি। একই ওভারে রান আউট হয়ে ফেরেন মুশফিক (১০৭ রান)। টাইগারদের সপ্তম ব্যাটসম্যান হিসেবে আউট হওয়ার আগে তিনি ১০৯ বলে ৯টি চার আর একটি ছক্কা হাঁকান।ছয় বলের মধ্যে সাব্বির-নাসির-মুশফিকের বিদায়ের শেষের দিকে হঠাৎ করেই চাপে পড়ে বাংলাদেশ। তবে, শেষ ওভারের প্রথম বলে ডেঙ্গু জ্বর থেকে ফেরা অধিনায়ক মাশরাফি চার হাঁকিয়ে পরের বলেই বিশাল ছক্কা হাঁকান। তৃতীয় বলে আরেকটি ছক্কা হাঁকাতে গিয়ে বাউন্ডারি সীমানায় ক্যাচ দেন তিনি। আউট হওয়ার আগে তার ব্যাট থেকে আসে ৮ বলে ১৪ রান। আরাফাত সানি তিনটি চারে ৮ বল মোকাবেলা করে ১৫ রান করেন। অতিরিক্ত খাত থেকে আরও ১৫ রান যোগ হয় টাইগারদের স্কোরবোর্ডে।জিম্বাবুয়ের হয়ে দুটি করে উইকেট নেন মুজারাবানি এবং সিকান্দার রাজা। একটি করে উইকেট পান পানিয়াঙ্গারা এবং লুক জঙ্গো। বোলিং করেননি জিম্বাবুয়ের দলপতি এলটন চিগুম্বুরা। শেন উইলিয়ামস এবং গ্রায়েম ক্রেমার উইকেটশূন্য থাকেন।

টাইগারদের বোলিং সূচনা করেন কাটার মাস্টার মুস্তাফিজুর রহমান। প্রথম ওভার থেকে মাত্র দুই রান তুলতে সমর্থ হয় জিম্বাবুয়ের দুই ওপেনার চামু চিবাবা এবং লুক জঙ্গো। দ্বিতীয় ওভারে আরাফাত সানি আক্রমণে এসে মেইডেন ওভার তুলে নেন।ভালো শুরু করা জিম্বাবুয়ের ওপেনার চামু চিবাবাকে ফিরিয়ে দিয়ে টাইগারদের প্রথম উইকেটের দেখা পাইয়ে দেন সাকিব আল হাসান। দশম ওভারের প্রথম বলে লংঅফে দাঁড়ানো লিটন দাসের হাতে ক্যাচ দিতে বাধ্য হন ৯ রান করা চিবাবা। দলীয় ৪০ রানের মাথায় প্রথম ইউকেট হারায় জিম্বাবুয়ে।ওপেনার চামু চিবাবাকে ফিরিয়ে দিয়ে দলীয় ১৪তম ওভারে আরেকবার জিম্বাবুয়ের ব্যাটিং লাইনআপে আঘাত হানেন সাকিব। ব্যক্তিগত ২ রান করে নাসির হোসেনের হাতে ধরা পড়েন ক্রেইগ আরভিন। সাকিবের পর উইকেট শিকারে যোগ দেন আল আমিন হোসেন। দীর্ঘদিন পর জাতীয় দলে ফিরে জিম্বাবুয়ের আরেক ওপেনার জঙ্গোকে উইকেটের পেছনে মুশফিকের গ্লাভসবন্দি করেন। ৩৯ রান করে বিদায় নেন জঙ্গো।

১৮তম ওভারের শেষ বলে সফরকারীদের ইনফর্ম ব্যাটসম্যান শেন উইলিয়ামসকেও ফিরিয়ে দেন সাকিব আল হাসান। সাকিবের তৃতীয় শিকারে সরাসরি বোল্ড হয়ে ফেরার আগে উইলিয়ামসের ব্যাট থেকে আসে ৮ রান।

দলীয় ৬৫ রানের মাথায় টপঅর্ডারের চার ব্যাটসম্যানকে হারিয়ে ধুঁকতে থাকা সফরকারীদের ইনিংস মেরামতের দায়িত্ব পালন করতে থাকেন ১৯২ ওয়ানডে খেলা চিগুম্বুরা এবং ৪৮ ওয়ানডে খেলা সিকান্দার রাজা। রাজা ও নতুন ব্যাটসম্যান ওয়ালারকে দ্রুত ফিরিয়ে দেন টাইগার দলপতি মাশরাফি।ইনিংসের ২৬তম ওভারে মাশরাফির দারুণ সুইংয়ে সিকান্দার রাজা উইকেটের পেছনে মুশফিকের গ্লাভসবন্দি হয়ে সাজঘরের পথ ধরেন। আউট হওয়ার আগে তার ব্যাট থেকে আসে ৩ রান। এ উইকেটের মধ্য দিয়ে মাশরাফি ওয়ানডে ক্যারিয়ারের ২০১তম উইকেট লাভ করেন। এক ওভার পর আবারো আক্রমণে এসে ম্যালকম ওয়ালারকে ফিরিয়ে দেন নড়াইল এক্সপ্রেস। নাসিরের তালুবন্দি হয়ে ওয়ালার ফেরার আগে করেন ১ রান।কিছুটা বিরতি দিয়ে মাশরাফি আবারো সাকিবকে বোলিং আক্রমণে আনলে দলপতির আস্থা রাখেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার। চতুর্থ শিকার তুলে নিতে ৩৪তম ওভারে ক্রেমারকে এলবির ফাঁদে ফেলেন সাকিব। আউট হওয়ার আগে ব্যক্তিগত ১৫ রান করেন ক্রেমার। এরপর পানিয়াঙ্গাকেও বোল্ড করে ফিরিয়ে দেস সাকিব। এ উইকেটের মধ্য দিয়ে ওয়ানডে ক্যারিয়ারে প্রথম বার ৫ উইকেট শিকার করেন সাকিব।পরের উইকেটটি দখল করেন নাসির হোসেন। তার শিকারে ফেরেন ৪১ রান করা চিগুম্বুরা। উইকেটরক্ষক মুতুম্বামি আহত হওয়ায় ব্যাটিংয়ে নামেননি। এর আগে টপ অর্ডারের ব্যাটসম্যানরা খুব একটা ভালো না করলেও জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে প্রথম ওয়ানডেতে ভালো সংগ্রহ গড়েছে বাংলাদেশ। মুশফিকুর রহিমের চতুর্থ শতক ও সাব্বির রহমানের ক্যারিয়ার সেরা ব্যাটিংয়ে এল্টন চিগুম্বুরার দলকে ২৭৪ রানের লক্ষ্য দিয়েছে স্বাগতিকরা।

শনিবার মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে ৯ উইকেটে ২৭৩ রান করে বাংলাদেশ। চোটের জন্য সৌম্য সরকারের অনুপস্থিতিতে তামিম ইকবালের সঙ্গে ইনিংস উদ্বোধন করেন লিটন দাস। তবে ভালো করতে পারেননি; দ্বিতীয় ওভারে লুক জংউইয়ের বলে ড্রাইভ করতে গিয়ে পয়েন্টে গ্রায়েম ক্রেমারের ক্যাচে পরিণত হন এই তরুণ।ভালো করতে পারেননি টপ অর্ডারের আরেক ব্যাটসম্যান মাহমুদউল্লাহও। টিনাশে পানিয়াঙ্গারার ভেতরে আসা একটি বলে বোল্ড হয়ে যান তিনি।নিজেকে গুটিয়ে রাখা তামিম ইকবালকে সঙ্গে নিয়ে প্রতিরোধ গড়েন নবম ওভারে ক্রিজে আসা মুশফিক। তাদের ৭০ রানের জুটিতে ২৪তম ওভারে একশ’ স্পর্শ করে বাংলাদেশের সংগ্রহ।

দলকে শতরানে পৌঁছে দিয়ে ধৈর্য্য হারিয়ে ফিরে যান তামিম। সিকান্দার রাজার বলে এগিয়ে এসে লং অন দিয়ে সীমানা ছাড়া করতে গিয়ে জংউইয়ের হাতে ক্যাচ দেন এই বাঁহাতি ব্যাটসম্যান। ৬৮ বলে খেলা তামিমের ৪০ রানের ইনিংসটি গড়া ৩টি চার ও দুটি ছক্কায়।শুরু থেকেই আত্মবিশ্বাসী ছিলেন সাকিব আল হাসান। কিন্তু বেশিক্ষণ টেকেননি বিশ্বের অন্যতম সেরা এই অলরাউন্ডারও। রাজার বলে চার হাঁকানোর পরের বলেই এগিয়ে এসে খেলতে চেয়েছিলেন সাকিব; কিন্তু দলের বিপদ বাড়িয়ে স্টাম্পড হয়ে যান তিনি।২৮তম ওভারে ১২৩ রানে চার উইকেট হারানো বাংলাদেশ তাকিয়ে ছিল টেস্ট অধিনায়ক মুশফিকের দিকে। দলকে বিপদ থেকে টেনে তোলা নতুন কিছু নয় তার জন্য। হতাশ করেননি এবারও। তরুণ সাব্বিরকে নিয়ে দলকে ঠিকই লড়াইয়ের পুঁজি এনে দিয়েছেন তিনি।শুরুতে নিজেকে একটু গুটিয়ে রাখলেও সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে জিম্বাবুয়ের বোলারদের ওপর চড়াও হন সাব্বির। শতকের কাছে গিয়ে মুশফিক নিজেকে একটু গুটিয়ে নিলেও তার কোনো প্রভাব পড়তে দেননি তিনি। তরুণ সঙ্গীর রানের গতি বাড়ানোর ফাঁকেই ৪৬তম ওভারে নিজের রান তিন অঙ্কে নিয়ে যান মুশফিক।

ওয়ানডেতে এটি মুশফিকের চতুর্থ আর জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দ্বিতীয় শতক। চলতি বছর এ নিয়ে দ্বিতীয়বার শতক পেলেন তিনি। এর আগে গত এপ্রিলে পাকিস্তানের বিপক্ষে ১০৬ রানের চমৎকার এক ইনিংস খেলেছিলেন এই উইকেটরক্ষক-ব্যাটসম্যান।সাব্বিরের রান আউটে ভাঙে তার সঙ্গে মুশফিকের ১১৯ রানের চমৎকার জুটিটি। ১৮.৫ বল স্থায়ী এই জুটি গড়ার পথেই নিজের আগের সর্বোচ্চ ৫৩ রানকে ছাড়িয়ে যান সাব্বির। ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় অর্ধশতক পাওয়া এই তরুণ ফেরেন ৫৭ রানে। তার ৫৮ বলের ইনিংসটি সাজানো ৪টি চার ও দুটি ছক্কায়।চলতি বছর খুব একটা ব্যাটিংয়ের সুযোগ না পাওয়া নাসির হোসেন এগিয়ে এসে সীমানা ছাড়া করতে গিয়ে টাউরাই মুজারাবানির বলে চামু চিবাবার হাতে ধরা পড়েন তিনি।নাসিরের বিদায়ের পর তুমুল করতালির মধ্যে ক্রিজে আসেন অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা।প্রস্তুতি ম্যাচে মুশফিকের সঙ্গে খেলার সময় রান আউট হয়েছিলেন মাশরাফি। এবার এক রান নিতে গিয়ে রান আউট হয়েছেন মুশফিক। ১০৯ বলে খেলা তার ১০৭ রানের চমৎকার ইনিংসটি ৯টি চার ও একটি ছক্কা সমৃদ্ধ।ছয় বলের মধ্যে সাব্বির-নাসির-মুশফিকের বিদায়ের শেষের দিকে হঠাৎ করেই চাপে পড়ে যায় বাংলাদেশ। তবে মাশরাফি ও আরাফাত সানি দলের সংগ্রহ পৌনে তিনশ’ রানের কাছাকাছি নিয়ে যান। শেষ ওভারে ফিরে যাওয়ার আগে ৯ বলে ১৪ রান করেন অধিনায়ক। শেষ বলে রান আউট হওয়া আরাফাত করেন ১৫ রান। জিম্বাবুয়ের রাজা ও মুজারাবানি দুটি করে উইকেট নেন।