হোয়াইটওয়াশে চোখ মুস্তাফিজের

দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ১০ নভেম্বর ২০১৫: মূল লড়াই শুরুর আগে প্রস্তুতি ম্যাচ এক ধরনের অস্বস্তি তৈরী করে দিয়েছিল বাংলাদেশের ক্রিকেট সমর্থকদের মনে। কারণ মাশরাফি-মুশফিক খেলা সত্ত্বেও জিম্বাবুয়ের কাছে ৭ উইকেটের বড় ব্যবধানে হারতে হয়েছি বিসিবি একাদশকে। তবে, মূল লড়াইয়ে এসেই সেই চেনা বাংলাদেশ। প্রথম দুই ম্যাচে জিম্বাবুয়েকে উড়িয়ে দিয়ে ইতিমধ্যেই সিরিজ নিজেদের করে নিয়েছে মাশরাফি বাহিনী।প্রথম ম্যাচেই সফরকারীদেরকে ১৪৫ রানের বিশাল ব্যবধানে পরাজিত করার পর, দ্বিতীয় ম্যাচেও ৫৮ রানের ব্যবধানে বড় জয় পেলো বাংলাদেশ। ফলে এক ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজ নিজেদের করে নিয়েছে টাইগাররা। এবার বাংলাদেশের সামনে জিম্বাবুয়েকে হোয়াইটওয়াশের হাতছানি। তৃতীয় ম্যাচে পরিকল্পনা অনুযায়ী খেলতে পারলে সেই কাংখিত হোয়াইটওয়াশ সম্ভব বলে মনে করছেন বাংলাদেশ দলের বাঁহাতি পেসার মুস্তাফিজুর রহমান।তিন ম্যাচ ওয়াডে সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ম্যাচটি বুধবার মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে দুপুর একটায় শুরু হবে। শেষ ওয়ানডে ম্যাচের প্রস্তুতির জন্য এদিন বিকেলে বাংলাদেশ দলের মাত্র ছয়জন খেলোয়াড় মাঠে আসেন অনুশীলন করতে। অনুশীলনের আগে সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হন মুস্তাফিজুর রহমান।

বাঁহাতি এই কার্টার মাস্টার বাংলাদেশে দলে ঢোকার পর স্বপ্নে মতোই কাটছে তার দিনগুলো। ঘরের মাঠে ওয়ানডে সিরিজে খেলা মুস্তাফিজকে এখনো হারের কোনো লজ্জায় পড়তে হয়নি। পাকিস্তানের পর বাংলাদেশের সামনে আবারো হোয়াইটওয়াশের হাতছনি। আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলনে মঙ্গলবার বিকেলে এ নিয়ে প্রসঙ্গে মুস্তাফিজ বলেন, আমরা যেভাবে খেলছি, আর যদি আল্লাহ’র ইচ্ছা থাকে তাহলে অবশ্যই সম্ভব। আমরা অবশ্যই চেষ্টা করবো হোয়াইটওয়াশের জন্য। কারণ, আমাদের ইচ্ছা আছে।পরপর দুই ওয়ানডে হেরে জিম্বাবুয়ের ক্রিকেটারদের মানসিক অবস্থা এখন একেবারে তলানিত। তাই তৃতীয় ম্যাচে তাদের পক্ষে ঘুরে দাঁড়ানো অনেকটাই কষ্টসাধ্য ব্যপার। জিম্বাবুয়ে দলের মানসিক অবস্থা প্রসঙ্গে জানতে চাওয়া হলে অনেকটা মজা করে মুস্তাফিজ বলেন, আমি কি করে বলব ওদের মানসিক অবস্থা কেমন? যতোটুকু জানি ওরা এখানে খেলতে এসেছে, সেই হিসেবে ওরা অবশ্যই ভালো দল।