8611_13885

দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ২৬ নভেম্বর ২০১৫: আসন্ন পৌরসভা নির্বাচনে অংশ নিতে প্রার্থীদের হলফনামাসহ বিভিন্ন কাগজপত্রের সঙ্গে কর সনাক্তকরণ নম্বর (টিআইএন) সনদের অনুলিপি জমা দেয়ার নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন।প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ ২৪ নভেম্বর মঙ্গলবার পৌর ভোটের তফসিল ঘোষণার পর এরইমধ্যে প্রার্থীদের যোগ্যতা-অযোগ্যতা, মনোনয়নপত্র দাখিল ও গ্রহণ সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় নির্দেশনা ২৩৬ জন রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশনের সহকারী সচিব রাজীব আহসান।

এদিকে, আসন্ন পৌরসভা নির্বাচন উপলক্ষে বৃহস্পতিবার মধ্যরাত ১২টার আগেই সব ধরনের আগাম প্রচারণা বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।বিষয়টি জানিয়েছে ইসি সচিব সিরাজুল ইসলাম বলেন, বুধবার (২৫ নভেম্বর) সব ধরনের প্রচার-প্রচারণা সামগ্রী সরিয়ে ফেরতে প্রার্থীদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।এজন্য রিটার্নিং কর্মকর্তা ও সব আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে ইতোমধ্যে চিঠিও দেওয়া হয়েছে।ইসির সহকারী সচিব রাজীব আহসান আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও রিটার্নিং কর্মকর্তাদের নির্দেশনাটি পাঠিয়েছেন। রিটার্নিং কর্মকর্তা এরপরও কারো প্রচারণা সামগ্রী পেলে নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গের দায়ে ব্যবস্থা নিতে পারবেন। এক্ষেত্রে সর্বোচ্চ শাস্তি হিসেবে প্রার্থীর প্রার্থিতাও বাতিল হতে পারে।

আগামী ৩০ ডিসেম্বর দেশের ২৩৬ পৌরসভায় নির্বাচন হবে। মঙ্গলবার (২৪ নভেম্বর) ২৩৪ পৌরসভায় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হলেও বুধবার আরও দু’টি পৌরসভায় ভোটগ্রহণের প্রজ্ঞাপন জারি করে ইসি। এ দু’টি হলো- গাজীপুরের শ্রীপুর ও রাজশাহীর নওহাটা।ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, আগামী ৩০ ডিসেম্বর মেয়াদোত্তীর্ণ ২৩৬টি পৌরসভায় ভোট হবে। মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময় ৩ ডিসেম্বর। যাচাই-বাছাই ৫ ও ৬ ডিসেম্বর। মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন ১৩ ডিসেম্বর।

সহকারী সচিব রাজীব আহসান জানান, মেয়র ও কাউন্সিলর পদে মনোনয়নপত্রের সঙ্গে সংযুক্তি হিসেবে প্রার্থীর সর্বোচ্চ শিক্ষাগত যোগ্যতার সত্যায়িত সনদসহ হলফনামা দিতে হবে।এ ছাড়া নির্বাচনী ব্যয়ের জন্য সম্ভাব্য অর্থের উৎস ও ব্যয় বিবরণী, ১২ ডিজিটের টিআইন সনদের কপি, সম্পদের বিবরণী ও সর্বশেষ আয়কর রিটার্নের রশিদের কপি দিতে হবে। জামানত জমার কপি এবং প্রার্থীর দলীয় প্রত্যয়নপত্র ও স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষে সমর্থন তালিকা দিতে হবে।ইসির এ কর্মকর্তা জানান, বিদ্যমান আইন অনুযায়ী মেয়ররা স্বপদে থেকেও ভোট করতে পারবেন। এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের ভোটে দাঁড়াতে বাধা নেই। সরকারি চাকরি থেকে অবসর নিয়েও প্রার্থী হওয়া যাবে।

গত ২৪ নভেম্বর মঙ্গলবার প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ পৌর ভোটের তফসিল ঘোষণার পর এরইমধ্যে প্রার্থীদের যোগ্যতা-অযোগ্যতা, মনোনয়নপত্র দাখিল ও গ্রহণ সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় নির্দেশনা ২৩৬ জন রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে পাঠানো হয়েছে বলে নির্বাচন কমিশনের সহকারী সচিব রাজীব আহসান জানিয়েছেন। ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, আগামী ৩০ ডিসেম্বর মেয়াদোত্তীর্ণ ২৩৬টি পৌরসভায় ভোট হবে। মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময় ৩ ডিসেম্বর। যাচাই-বাছাই ৫ ও ৬ ডিসেম্বর। মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন ১৩ ডিসেম্বর।

সহকারী সচিব রাজীব আহসান জানান, মেয়র ও কাউন্সিলর পদে মনোনয়নপত্রের সঙ্গে সংযুক্তি হিসেবে প্রার্থীর সর্বোচ্চ শিক্ষাগত যোগ্যতার সত্যায়িত সনদসহ হলফনামা দিতে হবে।এছাড়া নির্বাচনী ব্যয়ের জন্য সম্ভাব্য অর্থের উৎস ও ব্যয় বিবরণী, ১২ ডিজিটের টিআইন সনদের কপি, সম্পদের বিবরণী ও সর্বশেষ আয়কর রিটার্নের রশিদের কপি দিতে হবে। জামানত জমার কপি এবং প্রার্থীর দলীয় প্রত্যয়নপত্র ও স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষে সমর্থন তালিকা দিতে হবে।ইসির এ কর্মকর্তা জানান, বিদ্যমান আইন অনুযায়ী মেয়ররা স্বপদে থেকেও ভোট করতে পারবেন। এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের ভোটে দাঁড়াতে বাধা নেই। সরকারি চাকরি থেকে অবসর নিয়েও প্রার্থী হওয়া যাবে।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার জানিয়েছেন, প্রতি পৌরসভায় কোনো রাজনৈতিক দল সর্বোচ্চ এক লাখ টাকা ব্যয় করতে পারবেন। চেকের মাধ্যমে সর্বোচ্চ ২০ হাজার টাকা অনুদান নিতে পারবেন তারা। ভোটের ৯০ দিনের মধ্যে ব্যয়ের হিসাব নির্বাচন কমিশনে জমা দিতে হবে দলকে। মেয়র পদে ব্যক্তিগত খরচ অনধিক ২৫ হাজার ভোটার সম্বলিত পৌরসভার ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ দশ হাজার টাকা, ২৫ হাজার এক থেকে পঞ্চাশ হাজার ভোটার সম্বলিত পৌরসভায় সর্বোচ্চ ২০ হাজার, পঞ্চাশ হাজার থেকে এক লাখ ভোটার সম্বলিত পৌরসভায় সর্বোচ্চ ৩০ হাজার এবং এক লাখ ও তদূর্ধ্ব ভোটার সম্বলিত পৌরসভায় সর্বোচ্চ পঞ্চাশ হাজার টাকা ব্যয় করা যাবে।

মেয়র প্রার্থীরা নির্বাচনী ব্যয় বাবদ এই ভোটার অনুপাতে দুই থেকে সর্বোচ্চ পাঁচ লাখ টাকা পর্যন্ত ব্যয় করতে পারবেন।কাউন্সিলর প্রার্থীরা ব্যক্তিগত খরচ পাঁচ থেকে সর্বোচ্চ ১৫ হাজার টাকা এবং নির্বাচনী ব্যয় বাবদ ৫০ হাজার থেকে সর্বোচ্চ দুই লাখ টাকা খরচ করতে পারবেন। বুধবার নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের জনসংযোগ পরিচালক এসএম আসাদুজ্জামান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল থেকে প্রতি পৌরসভায় মেয়র পদে শুধু একজনকে প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন দেওয়া যাবে। একাধিক ব্যক্তিকে মনোয়ন দিলে ওই রাজনৈতিক দলের সব প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিল হবে। দেশের মোট ৩২৩টি পৌরসভার মধ্যে এ দফায় ২৩৬টিতে ৩০ ডিসেম্বর ভোট করার বিষয়ে নির্বাচন কমিশন সিদ্ধান্ত নিলেও প্রধান নির্বাচন কশিনার তফসিল ঘোষণার সময় ২৩৪ পৌরসভায় ভোটের কথা বলেন।পরে প্রজ্ঞাপনে গাজীপুরের শ্রীপুর ও রাজশাহীর নওহাটা পৌরসভায় ভোটের তফসিলও সঙ্গে যুক্ত করা হয়