photo-1449057777

দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ০২ ডিসেম্বর ২০১৫: শেষ বেলার চাপটা নিতে পারেনি ঢাকা ডায়নামাইটসের ব্যাটসম্যানরা। বিশেষ করে আবু হায়দার রনির ১৯তম ওভারটাই চাপ হয়ে যায় দলটির জন্য। শেষ দুই ওভারে ঢাকার প্রয়োজন ছিল ২৫ রান। কিন্তু রনি তার ওভারে দিয়েছেন ৮ রান, নিয়েছেন একটি উইকেটও। শেষ ওভারে ১৭ রান করে আর জয় পাওয়া সম্ভব হয়নি ঢাকার পক্ষে। তাই বিপিএলে বুধবার চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে বুধবার দিনের প্রথম ম্যাচে ১৪২ রানের জয়ের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ৬ উইকেটে ১৩১ রানে থেমেছে ঢাকার ইনিংস। ফলে ১০ রানের হার নিয়েই মাঠ ছাড়তে হয়েছে সাঙ্গাকারা-নাসিরদের। বিপিএলের তৃতীয় আসরের উদ্বোধনী দিনে ঢাকার কাছে ছয় উইকেটে হেরেছিল কুমিল্লা।

এই জয়ের মধ্য দিয়ে সেই হারের প্রতিশোধ নিল মাশরাফি বাহিনী। এই জয়ে ছয় ম্যাচে (চার জয়) আট পয়েন্ট নিয়ে তালিকায় শীর্ষে উঠে এসেছে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। সমান ম্যাচে ছয় পয়েন্ট নিয়ে ঢাকা ডায়নামাইটসের অবস্থান চতুর্থ। শেষ তিন ওভারে জয়ের জন্য ঢাকার প্রয়োজন ছিল ৩৭ রান। এর মধ্যে কুলাসেকারার প্রথম ওভারে ১২ রান নিয়ে আশাটা বাঁচিয়ে রাখে সাঙ্গাকারা বাহিনী। তবে আবু হায়দার রনি পরের ওভারে ৮ রান দিলেও এক উইকেট হারায় ঢাকা। আর শেষ ওভারে কোনো উইকেট না পেলেও কুলাসেকারা মাত্র ৬ রানের মিতব্যয়ী বোলিং করেছেন। আবুল হাসান ও ফরহাদ রেজা অপরাজিত থাকলেও টার্গেটের সঙ্গে তাল মিলিয়ে ব্যাট করতে পারেননি।

অবশ্য লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুটাই খুব ভাল হয়নি ঢাকার। ৪০ রানের মধ্যে দুই ওপেনার ফিরে যান সাজঘরে। দলীয় ১৮ রানে সৈকত আলী (৮) রান আউটের ফাঁদে পড়েন। এরপর অধিনায়ক সাঙ্গাকারা সঙ্গী হন আরেক ওপেনার সাদমান ইসলামের। কিন্তু সাঙ্গাকারাকে বেশিক্ষণ সঙ্গ দিতে পারেননি সাদমান। ব্যক্তিগত ১০ রানে শুভাগতর বলে বোল্ড হয়ে ফিরে যান ঢাকার এই ওপেনার।সাঙ্গাকারার সঙ্গে এরপর জুটি বাঁধেন ঢাকার আইকন ক্রিকেটার নাসির হোসেন। কিন্তু সেই জুটিও বেশিদূর এগুতে পারেনি। এবার রান আউট হয়ে যান সাঙ্গাকারা।

২৭ বলে চারটি চারের মারে ৩০ রান করা সাঙ্গাকারাকে রান আউটের ফাঁদে ফেলেন লিটন দাস। চতুর্থ উইকেটে নাসিরের সঙ্গে জুটি বাঁধেন রায়ান টেন ডেসকাট। তবে ডেসকাটকে একপ্রান্তে রেখে ২৭ বল থেকে দুই ছক্কায় ৩২ রান করে আবু হায়দারের বলে মাশরাফির হাতে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফিরেন নাসির।ইনিংসের ১৬ ও ১৭তম ওভারে নাসির ও ডেসকাট পরপর আউট হয়ে গেলে ঢাকার জয়ের আশা অনেকটাই ফিকে হয়ে যেতে থাকে। সেই অর্থে মারকুটে ব্যাটসম্যান ক্রিজে না থাকায় কুমিল্লার বোলাররাই দাপট দেখিয়েছেন। পরে আবুল হাসান ছাড়া আর কোনো ব্যাটসম্যান আউট না হলেও রানের গতির সঙ্গে তাল মেলাতে পারেননি ঢাকার ব্যাটসম্যানরা।

এর আগে টস জিতে শুরুতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন ঢাকার অধিনায়ক কুমার সাঙ্গাকারা। তাই প্রথমে ব্যাট হাতে নামতে হয় কুমিল্লাকে। ব্যাটিংয়ে নেমে আজহার জাইদির দৃঢ়তায় ৭ উইকেটে ১৪১ রান করেছে তারা। জাইদি ২৯ বলে দুই চার ও তিন ছক্কার মারে ৪৫ রান করে ম্যাচসেরা হয়েছেন। এছাড়া লিটন দাস ৩৪ বল খেলে ৩১ এবং শুভাগত হোম ১১ বলে ২১ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেন। ঢাকার হয়ে ইয়াসির শাহ ও ফরহাদ রেজা ২৬ রানের বিনিময়ে দুটি করে উইকেট নেন।