2015-12-13_6_554826

দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ১৩ ডিসেম্বর ২০১৫: কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী বলেছেন,মাটির যথোপযুক্ত ব্যবহার ও জনসচেতনতাই মৃত্তিকার সুস্থতায় উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখতে পারে। মাটি সুস্থ থাকলে ভবিষৎ প্রজন্মের বেঁচে থাকার ক্ষেত্র সুনিশ্চিত হবে।তিনি রোববার রাজধানীর ফার্মগেটে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল(বিএআরসি)মিলনায়তনে ‘আন্তর্জাতিক মৃত্তিকা বর্ষ’ উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন।কৃষি মন্ত্রণালয় সচিব শ্যামল কান্তি ঘোষের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের নির্বাহী চেয়ারম্যান ড.আবুল কালাম আযাদ।এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন, এফএও বাংলাদেশ প্রতিনিধি মাইক রবসন,ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক সহিদ আখতার হোসাইন।এবার আন্তর্জাতিক মৃত্তিকা বর্ষের প্রতিপাদ্য সুস্থ জীবনের জন্য সুস্থ মাটি’।

খাদ্য নিরাপত্তার সঙ্গে মাটির গুনাগুন সম্পৃক্ততা রয়েছে উল্লেখ করে মতিয়া চৌধুরী বলেন, নিজেদের বেঁচে থাকার তাগিদ থেকেই মাটিকে রক্ষা করার সময় এসেছে।মাটি বাঁচলেই আমরা বাঁচব। নইলে আমাদের অস্তিত্ব সংকটে পরতে হবে।তিনি বলেন, বর্তমান সরকারের সময়ে দেশ খাদ্যে স্বংসম্পূর্ণ হয়েছে। উচ্চফলনশীল ধান উৎপন্ন হচ্ছে। এখন একফসলি জমিতে তিন ফসল হয়। দেশের খাদ্য চাহিদা পূরণ করেও চাল রফতানি করা হচ্ছে।কৃষিমন্ত্রী বলেন, মাটির উর্বরা শক্তি বাড়াতে তাই মাটির গুনাগুন সর্ম্পকে কৃষককে আরও সচেতন হতে হবে।মাটির গুণগতমান রেখে পেশাদারিত্বের সঙ্গে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করার উপর গুরুত্বর্পর্ণ ভূমিকা রাখতে হবে। পাশাপাশি সরকারী ও বেসরকারি উদ্যোগে মাটি রক্ষায় সকলকে এগিয়ে আসার আহবান জানান তিনি।এতে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর এমিরিটাস ও সাবেক ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক আমিনুল ইসলাম।

সেমিনারে বক্তারা বলেন, মাটিকে সস্তা উপাত্ত হিসেবে দেখা ঠিক নয়। বিশ্বেও অনেক দেশে মাটির এতো উর্বরতা নেই। আমাদের দেশের মাটির অপচয় ও যথেচ্ছার ব্যবহারে দ্রুত এর উর্বরতা শক্তি হারাচ্ছে।মাটিকে সুস্থ রাখতে হবে।মাটির যতœ নিতে হবে।তারা বলেন,রাজধানীসহ সারাদেশে ইটেরভাটা স্থাপনে যেমন ফসলি জমি ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে তেমনি অপরিকল্পিত কলকারখানা এবং যত্রতত্র বর্জ্য ফেলার কারণে নানা রাসায়নিক উপাদান মাটিতে মিশে যাওয়ার কারণে মাটি ক্রমশ বিষাক্ত হয়ে পড়ছে।ফসলের উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি ও মাটির স্বাস্থ্য ভালো রাখতে মাটির টেকসই উন্নয়ন বাড়ানোর ওপরও গুরুত্বারোপ করেন বক্তারা।