Jhenidah 7 years old  rapist Photo 21-12-15

দৈনিকবার্তা-ঝিনাইদহ, ২১ ডিসেম্বর ২০১৫: বাবার কোলে চড়ে আদালতে হাজিরা দিলো ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার মোস্তবাপুর গ্রামের আব্দুল মালেকের ৭ বছর বয়সী ছেলে সজিব।সোমবার দুপুরে ঝিনাইদহের অবকাশকালীন দায়রা জজ আদালতে সে হাজিরা দেয়।আদালতের বিজ্ঞ বিচারক কোন সিন্ধান্ত না দিয়ে মানবিক দৃষ্টিকোন থেকে বিবেচনা করে সাময়িকভাবে পদক্ষেপ নিতে মৌখিক ভাবে নির্দেশ দেয় রাষ্টপক্ষের আইনজীবিকে।
মামলার এজাহার সুত্রে জানা যায়, চলতি বছরের ২৪ এপ্রিল বিকেলে মোস্তবাপুর গ্রামের ২য় শ্রেণীর এক স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণ করে একই গ্রামের আজগর আলীর ছেলে ১৪ বছর বয়সী আবু ইউসুফ। ঘটনাটি শিশু সজিব দেখে ফেলে চিৎকার করলে ধর্ষক পালিয়ে যায়।

এ ঘটনায় ধর্ষিতার পিতা পরের দিন কালীগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করে।তবে এজাহারে ইউসুফকে আসামী করা হলেও মামলার চার্জশীটে শিশু সজিবকে ধর্ষণে সহযোগীতার অপরাধে আসামী করেন মামলা তদন্তকারী কর্মকতা।এ ব্যাপারে শিশু সজিবে পিতা আব্দুল মালেক বলেন, সেদিন আমার ছেলে সেখানে খেলা করছিল। ঘটনাটি দেখেছিল তাই সে আসামী হয়েছে। আমার ছেলের বয়স ৭ বছর। সে কোন অপরাধ করেনি। আদালতের কাছে আমি সুষ্টু বিচার চাই।আদালতে কেন এসেছো এমন প্রশ্নের জবাবে শিশু সজিব বলে, মামলা হয়েছে তাই এসেছি। কি মামলা সে বলতে পারে না।

এ ব্যাপারে ঝিনাইদহ জজ কোর্টের পাবলিক প্রসিউকিউটর এ্যাড. ইসমাইল হোসেন বলেন, সজিব মামলায় স্বাক্ষী হওয়ার কথা ছিল। হইতো ভুলবশত মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা চার্জশীটে তাকে আসামী করেছেন। তাছাড়াও নথি না দেখে সঠিক ভাবে বিষয়টি বলতে পারছি না। সজিব যেন হয়রানী না হয় সেজন্য বিজ্ঞ বিচারক আমাকে মৌখিক ভাবে পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন। আমি সে মোতাবেক কালীগঞ্জ থানার ওসিকে জানিয়েছি।
এ ব্যাপারে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কালীগঞ্জ থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তদন্ত ও বর্তমান চুয়াডাঙ্গা গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত ইউনুস আলী বলেন, এজাহারে আসামী না উল্লেখ করা হলেও ধর্ষিতার জবানবন্দি অনুসারে চার্জশীটে সহযোগীতার আসামী করা হয়েছে।