শাহ মোয়াজ্জেম

দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ২৫ ডিসেম্বর ২০১৫: পুলিশ ও নির্বাচন কমিশনের উপর আস্থা নেই বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শাহ মোয়াজ্জেম হোসেন।তিনি বলেন, পুলিশ, নির্বাচন কমিশন বা নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কোনো পক্ষই বিশ্বাসযোগ্য এমন কোনো কাজ করেনি যে তাদের উপর আমরা আস্থা রাখবো।শুক্রবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে ‘বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী নাগরিক দলের ৯ম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী’ উপলক্ষে আলোচনা সভায় তিনি একথা বলেন।আওয়ামী লীগকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, সেনাবাহিনী উপস্থিত থাকলে আপনারা অনেক অপকর্ম করতে পারবেন না। তাই আপনারা সেনাবাহিনীকে বিশ্বাস করতে পারছেন না। আমরা সেনাবাহিনীকে বিশ্বাস করতে পারলে আপনারা কেন বিশ্বাস করতে পারবেন না? সেনাবাহিনী ছাড়া আর কোনো বাহিনীর ওপর বিএনপির আস্থা নেই বলে মন্তব্য করেছেন দলটির ভাইস চেয়ারম্যান শাহ মোয়াজ্জেম হোসেন।

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শাহ মোয়াজ্জেম হোসেন বলেছেন, বিজয় ছিনিয়ে নিতেই পৌর নির্বাচনে সরকার সেনাবাহিনী মোতায়েন করতে চাচ্ছে না। কিন্তু সেনাবাহিনী মোতায়েন ছাড়া নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হওয়ার সুযোগ নেই।নির্বাচন কমিশনের প্রতি প্রশ্ন রেখে শাহ মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, কেন সেনাবাহিনী দেবেন না? সেনাবাহিনীকে আমরা বিশ্বাস করি, আপনারা কেন বিশ্বাস করেন না? জাতির প্রয়োজনে যদি সেনাবাহিনী কাজে না লাগে, তবে জনগণের টাকা দিয়ে এতো বড় বাহিনী কেন রাখা হয়? সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হোক। কারণ সেনাবাহিনীর প্রতি আমাদের আস্থা আছে।

সরকারকে উদ্দেশ্য করে মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন,সেনাবাহিনী ছাড়া আর কোনো বাহিনীকে আমরা বিশ্বাস করি না। নির্বাচন কমিশন তো নয়ই, এমনকি পুলিশ, বিজিবি,র‌্যাবের প্রতিও আমাদের কোনো আস্থা নেই।প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, আপনার বিশেষ দূত (হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ) যেখানে বলেছেন সকাল ৯টার আগেই নির্বাচন শেষ হয়ে যাবে, সেখানে এ নির্বাচন কেমন হবে তা বুঝে নিন!সরকারের প্রতি হুশিয়ারী উচ্চারণ করে মোয়াজ্জেম বলেন, ‘ভাষা আন্দোলন করেছি, মুক্তিযুদ্ধ করেছি, এবারের পৌর নির্বাচন সুষ্ঠু না হলে প্রয়োজনে দেশ বাঁচানোর জন্য আন্দোলন করবো।একই অনুষ্ঠানে বিএনপির আরেক জেষ্ঠ্য নেতা জয়নুল আবেদীন ফারুক নির্বাচন কমিশনকে উদ্দ্যেশ্য করে বলেন, আপনার মার্কা হল ফ্রক আর চুড়ি। যদি সুষ্ঠু নির্বাচন করতে না পারেন তবে ফ্রক আর চুড়ি পরে ঘরে বসে থাকেন।আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে জয়নাল আবেদিন ফারুক বলেন, ঝিমিয়ে ছিলাম ঝিমিয়ে আছি। মামলা-হামলা, নির্যাতন কতো সহ্য করা যায়! আমার ওপর আক্রমণ হয়েছে, আরো হবে। নেতাকর্মীদের হতাশ না হওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, নিরাশ হওয়ার কোনো কারণ নেই। সময় খুব কাছে। তাছাড়া নির্বাচনে যেহেতু এসেছি, ফিরে যাবো না। ভোটগণনা পর্যন্ত ভোট কেন্দ্রে থাকবো।

সাবেক বিরোধীদলীয় চিফ হুইপএসময় নির্বাচন কমিশনারকে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ পৌর নির্বাচন করে উদাহরণ সৃষ্টির আহ্বান জানান। আয়োজক সংগঠনের সভাপতি ওমর ফারুক পীরসাহেবের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন জাগপা সভাপতি শফিউল আলম প্রধান, স্বাধীনতা ফোরামের সভাপতি আবু নাসের মোহাম্মাদ রহমাতুল্লাহ, জাতীয়তাবাদী নাগরিক দলের সাধারণ সম্পাদক জাবেদ ইকবাল, আনোয়ার হোসেন প্রমুখ।