f8fdc4fb42bb6b10bc336ec92ae609db-ZKS

দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ০২ জানুয়ারি ২০১৬: প্রস্তাবিত শিল্পনীতির বাস্তবায়ন চান ব্যবসায়ী, শিল্পোদ্যোক্তা, গবেষক ও অর্থনীতিবিদেরা। তাঁদের মতে, নীতিটি কতটা বাস্তবায়ন হবে তার ওপর নির্ভর করছে এটির সফলতা-ব্যর্থতা। কারণ, আইনি বাধ্যবাধকতা না থাকায় সরকারের অন্যান্য মন্ত্রণালয় ও বিভাগ এ নীতি মানতে চায় না।নিউজপেপার ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (নোয়াব) আয়োজিত কেমন চাই জাতীয় শিল্পনীতি’ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় এ মন্তব্য করেন বক্তারা। শনিবার সকালে কারওয়ান বাজারে প্রথম আলো কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় শিল্প মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়, শিল্পনীতি-২০১৫ প্রণয়নের কাজটি এখন শেষ পর্যায়ে রয়েছে। কিছু দিনের মধ্যেই এটি মন্ত্রিসভার অনুমোদনের জন্য পাঠানো হবে। নোয়াবের সভাপতি ও প্রথম আলো সম্পাদক মতিউর রহমানের সঞ্চালনায় সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু। আর প্রস্তাবিত শিল্পনীতির উল্লেখযোগ্য দিকগুলো তুলে ধরেন শিল্পসচিব মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া ও জ্যেষ্ঠ সহকারী সচিব মো. সলিমউল্লাহ।

সভায় আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন ইন্টারন্যাশনাল চেম্বার অব কমার্স ইন বাংলাদেশের (আইসিসিবি) সভাপতি মাহবুবুর রহমান, সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ও বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস অ্যাসোসিয়েশনের (বিটিএমএ) সভাপতি তপন চৌধুরী, ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন বাংলাদেশ শিল্প ও বণিক সমিতি ফেডারেশনের (এফবিসিসিআই) সাবেক সভাপতি মীর নাসির হোসেন ও এ কে আজাদ, সামিট গ্রুপের চেয়ারম্যান আজিজ খান, অগ্রণী ব্যাংকের চেয়ারম্যান ও বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের সাবেক গবেষণা পরিচালক জায়েদ বখত, বিশ্বব্যাংক ঢাকা কার্যালয়ের মুখ্য অর্থনীতিবিদ জাহিদ হোসেন, তৈরি পোশাক শিল্প মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএর সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান ও সহসভাপতি মোহাম্মদ নাসির,দৈনিক মানবজমিনের সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী, গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) অতিরিক্ত গবেষণা পরিচালক খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম, আবদুল মোনেম লিমিটেডের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক মঈনউদ্দিন মোনেম।ব্যবসায়ী ও শিল্পোদ্যোক্তারা বলেন, প্রস্তাবিত শিল্পনীতিতে বেশ ভালো ভালো কিছু উদ্যোগের কথা বলা হয়েছে। ছোটখাটো কিছু বিষয় ছাড়া এ নীতির সঙ্গে মোটামুটি তাঁরা একমত। কিন্তু আদৌ এ নীতির বাস্তবায়ন হবে কি না—সেটি নিয়ে তাঁরা সংশয় প্রকাশ করে বলেছেন, অতীতে দেখা গেছে আইনি বাধ্যবাধকতা না থাকায় সরকারের অন্যান্য মন্ত্রণালয় ও বিভাগ এ নীতি মানতে চায় না। ফলে শেষপর্যন্ত এ নীতির কোনো কার্যকারিতা থাকে না।

শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু বলেন, প্রস্তাবিত নীতি বাস্তবায়নে শিল্প মন্ত্রণালয়ের যেসব করণীয় রয়েছে তা অবশ্যই করা হবে। এ ছাড়া সরকারের সংশ্লিষ্ট অন্যান্য মন্ত্রনালয় ও বিভাগও যাতে এ নীতি অনুসরণ করে সে জন্য উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। অতীতে অভিজ্ঞতার পরিপ্রেক্ষিতে এবারের শিল্পনীতি প্রণয়নের সঙ্গে সঙ্গে এটির বাস্তবায়নের দিকেও বিশেষ নজর দেওয়া হয়েছে।এ সময় শিল্পসচিব মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া বলেন, প্রস্তাবিত শিল্পনীতির বাস্তবায়ন নিশ্চিত করতে আলাদা তিনটি শক্তিশালী কমিটি ও সুনির্দিষ্ট কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে।আইসিসিবি সভাপতি মাহবুবুর রহমান বলেন, অতীতে শিল্পনীতি গুলোর বাস্তবায়ন খুব একটা হয়নি বলে এ নীতির বাস্তবায়ন নিয়েও ব্যবসায়ী এবং শিল্পোদ্যোক্তাদের মধ্যে সংশয় রয়েছে।