abul-mal-abdul 2

দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ২৫ জানুয়ারি ২০১৬: তফসিলি ব্যাংকের হিসেব অনুযায়ী দেশে কোটি টাকার হিসাবধারী রয়েছেন ১ লাখ ১৪ হাজার ২৬৫ জন বলে সংসদে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত। সোমবার বিকেলে জাতীয় সংসদে প্রশ্ন-উত্তরকালে মো. সোহরাব উদ্দিনের (কিশোরগঞ্জ-২) প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ তথ্য জানান।অর্থমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ তফসিলি ব্যাংকে কোটি টাকার হিসাব সংখ্যা (আমানত এবং আগাম) ২০১৫ সালে ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ১ লাখ ১৪ হাজার ২৬৫টি।

সংসদে দেওয়া মন্ত্রীর তথ্য অনুযায়ী বিগত পাঁচ বছরে বাংলাদেশে কোটিপতির সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০১১ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত কোটিপতি হিসাব সংখ্যা ছিল ৭৮ হাজার ১৫০টি, ২০১২ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ছিল ৯০ হাজার ৬৫৫টি, ২০১৩ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ৯৮ হাজার ৫৯১টি, ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ১ লাখ ৮ হাজার ৯৭৪টি এবং ২০১৫ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ১ লাখ ১৪ হাজার ২৬৫টি।অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত বলেন, শীপব্রেকিং থেকে ২০১৪-১৫ অর্থবছরে ১৫১ কোটি ৭৯ লাখ ৬৭ হাজার ৯ টাকা রাজস্ব আয় হয়েছে।তিনি সংসদে সরকারি দলের সদস্য দিদারুল আলমের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা জানান।

অর্থমন্ত্রী জানান, শীপব্রেকিং থেকে ২০১৪-১৫ অর্থবছরে আয়কর খাতে ৫৩টি প্রতিষ্ঠান থেকে মোট ৯৭ কোটি ৩৫ লাখ ৮১ হাজার ৯ টাকা এবং ভ্যাট খাতে ৮১টি প্রতিষ্ঠান থেকে মোট ৫৪ কোটি ৪৩ লাখ ৮৬ হাজার টাকা রাজস্ব আয় হয়েছে।সরকারি দলের সদস্য মো. সোহরাব উদ্দিনের অপর এক প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ তফসিলি ব্যাংকে কোটি টাকার হিসাব সংখ্যা (আমানত এবং আগাম) ২০১৫ সালে ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ১ লাখ ১৪ হাজার ২৬৫টি।তিনি জানান, বিগত ৫ বছরে বাংলাদেশে কোটিপতির সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০১১ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত কোটিপতি হিসাব সংখ্যা ছিল ৭৮ হাজার ১৫০টি, ২০১২ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ছিল ৯০ হাজার ৬৫৫টি, ২০১৩ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ৯৮ হাজার ৫৯১টি, ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ১ লাখ ৮ হাজার ৯৭৪টি এবং ২০১৫ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ১ লাখ ১৪ হাজার ২৬৫টি।

এদিকে, ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী বেগম তারানা হালিম বলেছেন, ২০১৫ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী ৬টি মোবাইল কোম্পানির ১৩ কোটি ৩৭ লাখ ২০ হাজার ৪১০টি সিম বৈধভাবে চালু রয়েছে।তিনি সোমবার সংসদে সরকারি দলের সদস্য গোলাম দস্তগীর গাজীর এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন।প্রতিমন্ত্রী বলেন, বৈধভাবে চালুকৃত সিমের মধ্যে গ্রামীণফোন বাংলাদেশ লিমিটেডের ৫ কোটি ৬৬ লাখ ৭৯ হাজার ৪১২টি, রবি আজিয়াটা লিমিটেডের ২ কোটি ৮৩ লাখ ১৬ হাজার ৯৫৮টি, বাংলালিংক ডিজিটাল কমিউনিকেশন লিমিটেডের ৩ কোটি ২৮ লাখ ৬৫ হাজার ১১৬টি, এয়ারটেল বাংলাদেশ লিমিটেডের ১ কোটি ৭ লাখ ৯ হাজার ৬৬০টি, প্যাসিফিক বাংলাদেশ টেলিকম লিমিটেডের ১০ লাখ ৬ হাজার ৬৮৪টি এবং টেলিটক বাংলাদেশ লিমিটেডের ৪১ লাখ ৪২ হাজার ৪১০টি বৈধ সিম রয়েছে।