দেশের মানুষের মাথাপিছু আয় ১৩১৬ ডলার

দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৬: বাংলাদেশের মানুষের মাথাপিছু আয় বেড়ে ১ হাজার ৩১৬ ডলার হয়েছে বলে জানিয়েছে পরিসংখ্যান ব্যুরো।গত ২০১৪-১৫ অর্থবছরের তথ্য বিশ্লেষণ করে চূড়ান্ত হিসাবে মাথাপিছু আয়ের এই তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে। তার আগের অর্থবছর এর পরিমাণ ছিল ১ হাজার ১৯০ ডলার।

মঙ্গলবার রাজধানীর শেরে বাংলা নগর পরিকল্পনা কমিশনের এনইসি সম্মেলনে মিট দ্য প্রেসে পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বিবিএসের দেওয়া জানুয়ারি মাসের ভোক্তা মূল্য সূচকের (সিপিআই) সর্বশেষ হালনাগাদ তথ্য প্রকাশ করেন।তিনি বলেন, নয় মাসের (জুলাই-মার্চ) তথ্য বিশ্লেষণ করে পরিসংখ্যান ব্যুরো মোট দেশজ উৎপাদনে (জিডিপি) ৬ দশমিক ৫১ শতাংশ প্রবৃদ্ধির আভাস দিয়েছিল। চূড়ান্ত হিসাবে দেখা গেছে, ২০১৪-১৫ অর্থবছরে ৬ দশমিক ৫৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে।প্রবৃদ্ধি বৃদ্ধি পাওয়ায় মাথাপিছু আয়ও বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রাথমিক হিসাবে মাথাপিছু আয় ধরা হয়েছিল ১ হাজার ৩১৪ ডলার। চূড়ান্ত হিসাবে তা দুই ডলার বেড়ে হয়েছে ১ হাজার ৩১৬ ডলার।

গতবছর প্রাথমিক হিসাবের তথ্য তুলে ধরে এক সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রী জানিয়েছিলেন, মাথাপিছু আয়ের হিসাবে (নমিনাল) বাংলাদেশের অর্থনীতি পৃথিবীতে ৫৮তম। আর ক্রয় ক্ষমতার ভিত্তিতে (পারচেজিং পাওয়ার প্যারিটি) এর পরিমান ৩ হাজার ১৯০ ডলার। ক্রয় ক্ষমতার ভিত্তিতে বাংলাদেশের অর্থনীতি পৃথিবীর ৩৬তম। চলতি বছরে জানুয়ারি মাসে বেড়েছে বাড়িভাড়া। অন্যদিকে সোনামনিদের হাতে উঠেছে নতুন বই। বইয়ের যতেœ কেনা হয়েছে নতুন নতুন ব্যাগ। বাচ্চাদের নতুন পোশাকও কেনা হয়। এসব কারণে ডিসেম্বর মাসের তুলনায় জানুয়ারি মাসে খাদ্যবর্হিভূত পণ্যের মূল্যস্ফীতি অস্বাভাবিক হারে বেড়েছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো(বিবিএস)।

বিবিএসের দেওয়া হালনাগাদ তথ্যে দেখা গেছে, জনুয়ারি মাসে খাদ্যবর্হিভূত মূল্যস্ফীতির হার আরও একধাপ বেড়ে হয়েছে ৮ দশমিক ৭৪ শতাংশ, ডিসেম্বর মাসে যা ছিল ৭ দশমিক ০৫ শতাংশ।অন্যদিকে বাড়িভাড়াসহ আসবাবপত্র, গৃহস্থালি, চিকিৎসা সেবা, পরিবহন ও শিক্ষা উপকরণের দামও বাড়তির দিকে।

মন্ত্রী বলেন, বছরের শুরুতে বাচ্চারা নতুন বইয়ে নিয়ে স্কুলে ভর্তি হয়। এ সময় বাচ্চাদের ব্যাগসহ সরঞ্জামাদি কিনতে হয়। এসব জিনিসের দাম কম নয়। তাছাড়া বাড়িওয়ালারা বছরে দুইবার বাড়িভাড়া বৃদ্ধি করেন। জানুয়ারি মাসেও বাড়িভাড়া বৃদ্ধি পায়। এসব কারণে খাদ্যবর্হিভূত পণ্যের মূল্যস্ফীতির হার বাড়তির দিকে।অন্যদিকে জানুয়ারি মাসে খাদ্যপণ্যে মূল্যস্ফীতির হার কমে হয়েছে ৪ দশমিক ৩৩ শতাংশ। ডিসেম্বর মাসে যা ছিল ৫ দশমিক ৪৮ শতাংশ। বিবিএস বলছে, মাছ, মাংস, সবজি, মসলা ও তামাক জাতীয় পণ্যের দাম কমায় খাদ্যে মূল্যস্ফীতির হার কমেছে।তবে মাসের ব্যবধানে সাধারণ মূল্যস্ফীতির হার কমেছে। ডিসেম্বর মাসে সাধারণ মূল্যস্ফীতির হার ছিল ৬ দশমিক ১০ শতাংশ, জানুয়ারি মাসে যা কমে হয়েছে ৬ দশমিক ০৭ শতাংশ।