Gazipur-(3-1)- 03 April 2016-Pic (Rapped & 4 Arrest With Lady)-1

বিয়ের প্রস্তাবে রাজী না হওয়ায় গাজীপুরে পোশাক শ্রমিক এক কিশোরীকে দু’দিন আটকে রেখে গণধর্ষনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় রবিবার বিকেলে পুলিশ এক নারীসহ ৪জনকে আটক করেছে। আটককৃতরা হলো গাজীপুরের জয়দেবপুর থানার কোনাবাড়ি হরিণাচালা এলাকার মোঃ খোরশেদ আলমের ছেলে নাহিদ (২৮) ও আব্দুর রহিমের ছেলে শেখ শহিদুল ইসলাম শহিদ (২৬), একই থানার কোনাবাড়ির আমতলা এলাকার মোজাম্মেলের স্ত্রী মুদি দোকানদার মুক্তা বেগম (৩০) এবং পাবনা জেলার ইশ্বরদী থানার মানিক গ্রামের মোঃ মজিবুর রহমানের ছেলে লন্ড্রি ব্যাবসায়ী সুজন (৩০)।

ধর্ষিতার মা জানান, গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের কোনাবাড়ি এলাকার হরিণাচালার আমতলায় বিল্লাল শিখদারের বাড়িতে স্বামী ও দুই সন্তানকে নিয়ে তিনি ভাড়া থাকেন। তাদের গ্রামের বাড়ি গাইবান্দা জেলার সুন্দরগঞ্জে। গত কিছু দিন যাবৎ স্থানীয় লন্ড্রি মালিক সুজন তার কিশোরী মেয়েকে বিয়ের প্রস্তাব দিয়ে আসছিল। সুজন পুর্বে বিবাহ করায় এবং তার একাধিক সন্তান থাকায় কিশোরীর পরিবারটি বিয়ের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে। বিয়ের প্রস্তাবে রাজী না হওয়ায় ওই কিশোরীটিকে বিয়ের ব্যবস্থা করে দেয়ার জন্য সুজন স্থানীয় যুবলীগ ও ছাত্রলীগ নেতা শহিদ ও নাহিদের স্মরণাপন্ন হয়। এরপর তাদের পরামর্শ অনুযায়ী বৃহস্পতিবার রাত ৮টার দিকে কথা আছে বলে স্থানীয় মুদি দোকানদার মুক্তা বেগম ওই কিশোরীকে ওই এলাকার সুমনদের সাত তলা ভবনের সপ্তম তলার একটি কক্ষে নিয়ে যায়। সেখানে কিশোরীটিকে কৌশলে কক্ষে রেখে বাইরে থেকে তালা দিয়ে চলে আসে মুক্তা বেগম। রাতে নাহিদ, শহিদ ও সুজন ওই বাড়িতে গিয়ে কিশোরীটিকে পালাক্রমে ধর্ষন করে। পরদিন শুক্রবারও তারা ওই বাসায় গিয়ে একই ভাবে কিশোরীটিকে ফের ধর্ষণ করে। শনিবার তারা ধর্ষণের শিকার কিশোরীটিকে ছেড়ে দেয়। ধর্ষকদের মধ্যে শহিদ গাজীপুর মহানগরীর কোনাবাড়ি এলাকার ৮ নং ওয়ার্ডের যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী এবং নাহিদ একই ওয়ার্ডের ছাত্রলীগ নেতা।

কিশোরীটির মা আরো জানান, বাসায় না ফেরায় পরিবারের সদস্যরা বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুজি করে মেয়ের খোঁজ পাননি। এক পর্যায়ে শনিবার ছাড়া পেয়ে বাসায় ফিরে সে (ওই কিশোরী) পরিবারের সদস্যদের ঘটনাটি জানায়। পরে বিষয়টি স্থানীয় কাউন্সিলরকে জানানো হয়।

জয়দেবপুর থানার কোনাবাড়ি পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ এসআই মোবারক হোসেন জানান, কাউন্সিলর সেলিম রহমান অভিযুক্তদের রবিবার তার কার্যালয়ে ডেকে আনেন এবং বিষয়টি পুলিশকে জানান। খবর পেয়ে দুপুরে অভিযুক্তদের আটক এবং ধর্ষনের শিকার গার্মেন্টস কর্মী ওই কিশোরীকে উদ্ধার করে থানায় পাঠানো হয়।

জয়দেবপুর থানার ওসি খন্দকার রেজাউল হাসান রেজা জানান, এ ঘটনায় তিন ধর্ষক ও এক নারীসহ চারজনকে আটক করা হয়েছে। এব্যাপারে রাত সাড়ে ৭ টার দিকে থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।