12-04-16-PM_ECNEC Meeting-3

জামালপুর অর্থনৈতিক অঞ্চলসহ ৩ হাজার ৫৮৩ কোটি ৯৯ লাখ টাকা ব্যয়ে ৮ প্রকল্পের অনুমোদন দিয়েছে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক)। এর মধ্যে ‘জামালপুর অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপন’ প্রকল্পটিতে ব্যয় ধরা হয়েছে ৩০২ কোটি ৫৮ লাখ টাকা।মঙ্গলবার রাজধানীর শেরেবাংলা নগরস্থ এনইসি সম্মেলন কক্ষে একনেক চেয়ারপারসন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে একনেক বৈঠকে প্রকল্পগুলোর অনুমোদন দেয়া হয়। বৈঠক শেষে পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, আজকের একনেক বৈঠকে ৩ হাজার ৫৮৩ কোটি ৯৯ লাখ টাকা ব্যয়ে ৮ প্রকল্পের অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে সরকারি অর্থায়ন ১ হাজার ৫৭১ কোটি ৪৬ লাখ টাকা, সংস্থার নিজস্ব তহবিল ৯৮ কোটি ৭২ লাখ এবং প্রকল্প সাহায্য ১ হাজার ৯১৩ কোটি ৮১ লাখ টাকা।পরিকল্পনামন্ত্রী আরো বলেন, বাইরের দেশেগুলোকে বিনিয়োগের সুযোগ দেয়ার জন্য দেশের বিভিন্ন স্থানে অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এ লক্ষ্যে জামালপুর অর্থনৈতিক অঞ্চল’ নামে একটি প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। প্রকল্পটিতে ৩০২ কোটি ৫৮ লাখ টাকা ব্যয় ধরা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল (বেজা) জানুয়ারী ২০১৬ সালে থেকে ২০১৭ মেয়াদে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হবে।

তিনি বলেন, জামালপুরে অর্থনৈতিক অঞ্চলটি প্রতিষ্ঠিত হলে সেখানে হালকা ইঞ্জিনিয়ারিং, রেডিমেট গার্মেন্টস, ভোগ্যপণ্য ও খাদ্যসামগ্রী তৈরি করে রপ্তানির ক্ষেত্রে বাংলাদেশ-ভারতের রাজ্যগুলোর শিল্প ‘হাব’ হিসেবে বিবেচিত হবে।প্রকল্পে ৪৮৮ একর জমি অধিগ্রহণ, ৫৯ লাখ ২৪ হাজার ৬০৩ ঘনমিটার ভূমি উন্নয়ন, এক হাজার ৬৮০ বর্গমিটার অফিস ভবন, ডরমেটরি ভবন ও কাস্টমস অফিস নির্মাণ করা হবে। এছাড়া ৫ হাজার ৬২৫ মিটার সীমানা প্রাচীর ও এক হাজার মিটার অ্যাপ্রোচ রোড নির্মাণ করা হবে বলে জানান পরিকল্পনামন্ত্রী।

অনুমোদিত অন্য প্রকল্পগুলো হলো- ন্যাশনাল এগ্রিকালচারাল টেকনোলজি প্রোগ্রাম-২য় পর্যায় প্রকল্প, এটি বাস্তবায়নে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ১ হাজার ৮৭৮ কোটি টাকা; মানসম্পন্ন বীজ সরবরাহ বৃদ্ধিকরণ প্রকল্প, এর ব্যয় ধরা হয়েছে ৩৪৪ কোটি ৯১ লাখ টাকা; প্রাণিসম্পদ উৎপাদন উপকরণ ও প্রাণিজাত খাদ্যেও মান নিয়ন্ত্রণ গবেষণাগার স্থাপন প্রকল্প, এর ব্যয় ধরা হয়েছে ৬৬ কোটি ১৩ লাখ টাকা।পল্লী বিদ্যুতায়ন কার্যক্রমের আওতায় ৭০ হাজার ওভাল লোডেড বিতরণ ট্রান্সফরমার প্রতিস্থাপন প্রকল্প, এর ব্যয় ধরা হয়েছে ৭৯৯ কোটি ৯৪ লাখ টাকা; ইনিসটলেশন অব সিঙ্গেল পয়েন্ট মুড়িং প্রকল্প, এর ব্যয় ধরা হয়েছে ৮৮ কোটি ৮৩ লাখ টাকা; সৌদি আরবের রিয়াদে বাংলাদেশ চ্যান্সারি কমপ্লেক্স নির্মাণ প্রকল্প, এর ব্যয় ধরা হয়েছে ৪৭ কোটি ১৫ লাখ টাকা; এছাড়া গাইবান্ধা-ফুলছড়ি-ভারতখালী-সাঘাটা সড়ক প্রশস্তকরণ ও উন্নয়ন প্রকল্প, এর ব্যয় ধরা হয়েছে ৫৬ কোটি ৪৬ লাখ টাকা।