13-04-16-PM_Chaina Assistant Minister of Foreign Affairs-2প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঢাকা ও বেইজিংয়ের মধ্যে বিদ্যমান চমৎকার সম্পর্কে সন্তোষ প্রকাশ করে দুই দেশে পারস্পরিক সহযোগিতা উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন। তিনি আজ সকালে প্রধানমন্ত্রীর তেজগাঁওস্থ কার্যালয়ে বাংলাদেশে সফররত চীনের পররাষ্ট্র বিষয়ক সহকারী মন্ত্রী কং জুয়ানইউ’র সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতকালে এ আশাবাদ ব্যক্ত করেন। পরে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম এ বিষয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।

প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশের বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকান্ডে সম্পৃক্ততার জন্য চীন সরকারকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, দু’দেশের মধ্যকার কূটনৈতিক সম্পর্কের ৪০ বছর পূর্তি উপলক্ষে চীনা প্রেসিডেন্ট জি জিনপি’কে বাংলাদেশ সাদরে বরণ করার জন্য অপেক্ষায় আছে। প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশের উন্নয়নে চীনের সহযোগিতার প্রশংসা করেন এবং বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে চীনা মন্ত্রীর ফলপ্রসূ আলোচনায় সন্তোষ প্রকাশ করেন। তিনি বাংলাদেশে বিদেশী বিনিয়োগের প্রয়োজন রয়েছে উল্লেখ করে বলেন, এ লক্ষ্যেই সরকার সারাদেশে বিশেষ ইকোনমিক জোন প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশের উন্নয়নে শিল্প এবং কৃষি দু’টোরই প্রয়োজন রয়েছে।

চীন বিশ্বে শীর্ষ স্থানীয় দেশ উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে চীনা বিনিয়োগের জন্য সরকার সে সব ইকোনমিক জোনে জায়গা বরাদ্দ রেখেছে। প্রধানমন্ত্রী আঞ্চলিক সম্পর্ক জোরদার করার ক্ষেত্রে গুরুত্বারোপ করে বলেন, বিসিআইএম (বাংলাদেশ, চীন, ভারত, মিয়ানমার) ইকোনমিক করিডোর সৃষ্টি হওয়ায় ব্যবসা-বাণিজ্য সম্প্রসারিত হবে। পাশাপাশি এটি অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির নতুন দ্বার উন্মোচন করবে। সফররত চীনা মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যকার সকল চুক্তি ও কার্যক্রম বাস্তবায়নে তারা এদেশের কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করে চলেছেন এবং পররাষ্ট সচিবের সঙ্গেও তাঁর ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে।

বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের প্রশংসা করে চীনা মন্ত্রী বলেন, বিশ্ব অর্থনৈতিক মন্দার মধ্যে বাংলাদেশের ৭ শতাংশের ওপর জিডিপি প্রবৃদ্ধি অর্জন দারুন একটি ব্যাপার। তিনি আশা প্রকাশ করেন, বাংলাদেশ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে তাদের রূপকল্প-২০২১ এবং ২০৪১ সফলভাবে অর্জনে সক্ষম হবে। মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনে চীন তাদের সহযোগিতা অব্যাহত রাখবে।বাংলাদেশকে দক্ষিণ এশিয়ার একটি গুরুত্বপূর্ণ রাষ্ট্র আখ্যায়িত করে চীনা মন্ত্রী বাংলাদেশের ‘ওয়ান চায়না পলিসি’র জন্য প্রধানমন্ত্র্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানান। এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপদেষ্টা ড. গওহর রিজভী, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব সুরাইয়া বেগম, পররাষ্ট্র সচিব শহিদুল হক ও চীনা রাষ্ট্রদূত মা মিং কিয়াং।