Gazipur-(1)- 15 May 2016-Eaducation Minister at BOU-1

দেশে শিক্ষা ক্ষেত্রে পরীক্ষায় পাশের হার বাড়লেও শিক্ষার মান বাড়ছে না সমালোচকদের এমন বক্তব্য সঠিক না বলে মন্তব্য করে শিক্ষা মন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেছেন, শিক্ষার যে মান আজ প্রয়োজন তা আমরা অর্জন করতে পারিনি। পাশের হার বেড়েছে পাশাপাশি দেশে শিক্ষার্থী বেড়েছে, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানও বেড়েছে। কিন্তু যুগোপযোগী শিক্ষা ব্যবস্থা বাড়েনি। তবে এটা রাতারাতি করে ফেলবো এমন যাদুর কাঠিও কারো কাছে নেই। আমাদের ভুল ক্রটি কোথায় আছে- তা সবার কাছ থেকে শুনে বুঝে ও শিখে করতে চাই।

মন্ত্রী বলেন, শিক্ষা ব্যবস্থায় প্রযুক্তির সর্বোত্তম ব্যবহারের মাধ্যমে শিক্ষাকে সহজ লভ্য করে তোলা সম্ভব। একবিংশ শতাব্দীর চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় এর কোন বিকল্প নেই। শিক্ষা মন্ত্র্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ এমপি রবিবার গাজীপুরের বোর্ডবাজারস্থিত বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাউবি) বিএড প্রোগ্রামে শিক্ষা বিস্তরণ শীর্ষক দিনব্যাপি জাতীয় কর্মশালার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের এ সব কথা বলেন।

তিনি আরো বলেন, প্রাথমিক থেকে সর্বোচ্চ পর্যন্ত শিক্ষা লাভের সুযোগ বাউবি নিশ্চিত করেছে। বাউবি’র প্রযুক্তি শিক্ষার প্রসার, প্রযুক্তির মাধ্যমে তথা প্রযুক্তি ব্যবহার করে শিক্ষা দানের ব্যাপক কর্মসূচি এক যুগান্তকারি পদক্ষেপ। আর্থিক সামাজিক কারণ বা সুযোগ সুবিধার অভাব এবং বিভিন্ন স্তরে যারা ঝরে পড়ে তারা যে কোন বয়সে যে কোন স্তরে এই সুযোগ লাভ করতে পারে। বর্তমানে বাউবি’র ৫ লাখ ৭০ হাজার শিক্ষার্থী রয়েছে। আগামীতে ১০ লাখ শিক্ষার্থী এর আওতায় আসবে।

শিক্ষা মন্ত্রী বলেন, উচ্চশিক্ষা হবে জ্ঞানচর্চা, গবেষণা, নতুন জ্ঞান অনুসন্ধান। নতুন জ্ঞান সৃষ্টি করতে হবে। একদিকে জ্ঞান দিয়ে আমাদের এগুতে হবে, আরেক দিকে প্রযুক্তি ব্যবহার করতে হবে, আমাদের ছেলে-মেয়েদের দক্ষ করে গড়ে তুলতে হবে। তবেই সে দেশও গড়তে পারবে এবং ভবিষ্যতে এগিয়ে যেতে পারবে।

উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কুল অব এডুকেশন ও টিচিং কোয়ালিটি ইমপ্রুভমেন্ট প্রজেক্ট-২ এর সহযোগিতায় ন্যাশনাল ওয়ার্কশপ অন দি ডেলিভারী মোড অব বিএড প্রোগ্রামের শিক্ষা বিস্তরণ শীর্ষক দিনব্যাপি এ কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডঃ এমএ মান্নান।

অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডঃ এমএ মান্নান বলেন, একবিংশ শতাব্দীর শিক্ষা চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় বাউবি’কে ভার্চুয়াল বিশ^বিদ্যালয়ে পরিনত করা হবে। সে লক্ষে অনলাইন এডুকেশন, ই-বুক, ওয়েব রেডিও, ওয়েব টিভি, মোবাইল এ্যাপস সহ ব্লেন্ডেড এডুকেশনের সর্বোত্তম ব্যবহার ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে।

শিক্ষা কার্যক্রমে তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে শিক্ষা বিস্তরনের লক্ষ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার বিভাগের মাধ্যমে মোবাইল এ্যাপসের একটি ডিজিটাল ডিসপ্লে প্রদর্শিত হয়। বিশ^বিদ্যালয়ের কনফারেন্স হলে অনুষ্ঠিত ওই উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অন্যানের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ডিরেক্টরেট সেকেন্ডারি এন্ড হায়ার এডুকেশনের মহাপরিচালক অধ্যাপক ফাহিমা খাতুন, টিকিউআই-টু প্রজেক্ট এর প্রকল্প পরিচালক জহির উদ্দিন বাবর, প্রো-উপাচার্য অধ্যাপক ডঃ খোন্দকার মোকাদ্দেম হোসেন। কর্মশালায় ট্রেজারার অধ্যাপক ডঃ মোহাম্মদ আবুতাহের সহ শিক্ষা মন্ত্রনালয়ের উর্দ্ধতন কর্মকর্তা, স্কুল অব এডুকেশনের সকল শিক্ষক, দেশের সকল সরকারি বেসরকারী টিচার্স ট্রেনিং কলেজের অধ্যক্ষ, উপাধ্যক্ষ, নায়েম এর উর্দ্ধতন কর্মকর্তা, বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন স্কুলের ডিন ,প্রফেসর ও পরিচালক সহ ১৭৫ জন এ কর্মশালায় অংশ গ্রহন করেন।