image_1
প্রতিশ্রুতিশীল চারুশিল্পীদের বিকশিত করার লক্ষে ১৯৭৫ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর থেকে যাত্রা শুরু করে নবীন শিল্পী চারুকলা প্রদর্শনী। প্রতি দুই বছর পর পর পক্ষকালব্যাপী দ্বিবার্ষিক এ আয়োজনটি করে আসছে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি। ১৯৭৫ সালে প্রথম নবীন শিল্পী চারুকলা প্রদর্শনী পুরস্কার লাভ করেন শিল্পী চন্দ্র শেখর দে।

আয়োজনের ধারাবাহিকতায় নবীন শিল্পী চারুকলা প্রদর্শনী ২০১৬ এ ৪৬৪জন নবীন শিল্পীর মোট ১০২০টি শিল্পকর্ম জমা পড়ে। বিজ্ঞ বিচারকমন্ডলীর প্রাথমিক যাচাই বাছাইয়ের মাধ্যমে ১৮৮জন শিল্পীর ২২৭টি শিল্পকর্ম নিয়ে হয়েছে ২০তম নবীন শিল্পী চারুকলা প্রদর্শনী ২০১৬। প্রাথমিক নির্বাচকমন্ডলীর সদস্যবৃন্দ হলেন যথাক্রমে শিল্পী ড. মোহাম্মদ ইকবাল, শিল্পী আতিয়া ইসলাম এ্যানী ও শিল্পী নাসিমুন খবীর।

প্রদর্শনীতে প্রতিবারের ন্যায় এবারও ছাপচিত্র, চিত্রকলা ও মিশ্র মাধ্যমসহ সকল মাধ্যমে ১টি শ্রেষ্ঠ পুরস্কার ‘নবীন শিল্পী চারুকলা পুরস্কার ২০১৬’ এছাড়াও থাকছে ৩টি বিষয়ে ৩টি শ্রেষ্ঠ পুরস্কার ও ৪টি সম্মাননা পুরস্কার। সব বিষয়ে শ্রেষ্ঠ পুরস্কার বিজয়ী পাচ্ছেন গোল্ড মেডেল, এক লক্ষ টাকা ও সনদপত্র, তিনটি বিষয়ে তিনজন পাচ্ছেন পঁচাত্তর হাজার টাকা করে ও সনদপত্র, সম্মাননা পুরস্কার পাচ্ছেন চারজন পঁঞ্চাশ হাজার টাকা করে ও সনদপত্র এবং যাদের শিল্পকর্ম প্রদর্শনীতে স্থান পাচ্ছে তাঁরা সকলে পাচ্ছেন সনদপত্র। চুড়ান্ত পর্যায়ে বিচারকমন্ডলীর সদস্যবৃন্দ ছিলেন যথাক্রমে শিল্পী নাইমা হক, শিল্পী রনজিৎ দাস, শিল্পী গোলাম ফারুক বেবুল ও শিল্পী শিশির ভট্টাচার্য।

সকল মাধ্যমে শ্রেষ্ঠ পুরস্কার ‘নবীন শিল্পী চারুকলা পুরস্কার ২০১৬’ লাভ করেছেন শিল্পী সৈয়দ তারেক রহমান (০১৭১৬৫৪৫৪৯৪), ৩টি বিষয়ে শ্রেষ্ঠ পুরস্কার যথাক্রমে শিল্পী মোহাম্মদ ফকরুল ইসলাম মজুমদার (০১৭৩৪৬১৩৩৬৮) (শ্রেষ্ঠ পুরস্কার (উড কাট), শিল্পী সনদ কুমার বিশ্বাস (০১৬৮৫০০৫৫৪৯) শ্রেষ্ঠ পুরস্কার (মিশ্র মাধ্যম), শিল্পী মো. তানভীর জালাল (০১৮১৬৬২৪৪৬) শ্রেষ্ঠ পুরস্কার (তেল রং) এবং সম্মান সূচক পুরস্কার শিল্পী নিয়াজ উদ্দিন আহমেদ (০১৭০৩৮৬২৪৪১), শিল্পী মো. জয়নুল আবেদীন (০১৭১৮৮৪০৩৩৩), শিল্পী জুবলী দেওয়ান(০১৮৪০২৭৯৪০৫) ও শিল্পী আখিনুর বিনতে আলী (০১৭২৫২৯৮৬৪৭)।

আজ ২৬ মে ২০১৬ বৃহস্পতিবার বিকাল ৫টায় একাডেমির জাতীয় চিত্রশালা মিলনায়তনে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব জনাব আক্তারী মমতাজ, বিশিষ্ট চিত্রশিল্পী রফিকুন নবী এবং সৈয়দ জাহাঙ্গীর। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক জনাব লিয়াকত আলী লাকী এবং স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন একাডেমির চারুকলা বিভাগের পরিচালক জনাব উৎপল কুমার দাস।
উদ্বোধনী আলোচনা শেষে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি রেপার্টরি সঙ্গীত ও নৃত্য দলের পরিবেশনায় পরিবেশিত হয় সমবেত সঙ্গীত ও সমবেত নৃত্য। উদ্বোধনী ও পুরস্কারপ্রাপ্তদের ছবি সংযুক্ত।

২৬ মে-০৯ জুন ২০১৬ প্রদর্শনী প্রতিদিন বেলা ১১টা থেকে রাত ৮টা এবং শুক্রবার বেলা ৩টা থেকে রাত ৮টা ও রমাজান মাসে বেলা ১১টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত দর্শকদের জন্য উন্মুক্ত থাকবে।