05-06-16-PM_MOU Sinning_JCCI Bhaban-1

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সৌদি আরবের ব্যবসায়ী ও উদ্যোক্তদের বাংলাদেশে বিনিয়োগ, ব্যবসা-বাণিজ্য, সমৃদ্ধি এবং লভ্যাংশের অংশীদার হওয়ার মাধ্যমে কোটি মানুষের জীবনমানের পরিবর্তন আনার প্রচেষ্টায় শরিক হওয়ার আহবান জানিয়েছেন।তিনি বলেন, আমরা ইতোমধ্যেই নি¤œ মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হয়েছি। ২০২১ সালের মধ্যে মধ্যম আয়ের দেশ এবং ২০৪১ সাল নাগাদ উন্নত সমৃদ্ধ দেশে উন্নীত হওয়ার লক্ষ্য পূরণে আমি সৌদি ব্যবসায়ী এবং উদ্যোক্তা নেতৃবৃন্দকে আমাদের দেশে বিনিয়োগ, ব্যবসা-বাণিজ্য, সমৃদ্ধি এবং লভ্যাংশের অংশীদার হওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। .. সম্মিলিত উদ্যোগের মাধ্যমেই আমরা কোটি মানুষের জীবনমানের পরিবর্তন আনতে পারব।

প্রধানমন্ত্রী রোববার সকালে জেদ্দা চেম্বার্স অব কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্টির (জেসিসিআই) নেতৃবৃন্দের সঙ্গে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকের ভাষনে এ আহবান জানান।প্রধানমন্ত্রী বর্তমানে সৌদি বাদশাহ সালমান বিন আব্দুল আজিজ আল সৌদের আমন্ত্রণে ৫ দিনের সরকারি সফরে সৌদি আরবে অবস্থান করছেন।বৈঠকের পরে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।

প্রধানমন্ত্রী সৌদি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশের শিল্প খাতগুলোর মধ্যে বস্ত্র, চামড়া শিল্প, পাট, সিরামিক, পেট্রো-কেমিকেল, ফার্মাসিউটিক্যালস, শিপ বিল্ডিং, কৃষি প্রক্রিয়াজাতকরণ, প্লাস্টিক পণ্য, হালকা প্রকৌশল ও ইলেকট্রনিকস, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য-প্রযুক্তি, বিদ্যুৎ, জ¦ালানি,পানি এবং মেরিন ও অন্যান্য অবকাঠামো প্রকল্প, হাইটেক ম্যানুফেকচারিং ও মাইক্রো প্রসেসরের মত প্রকৌশল খাতে বিনিয়োগের আহ্বান জানান।বাংলাদেশের উদার বিনিয়োগ নীতির প্রসংগ উল্লেখ করে প্রদানমন্ত্রী বিদেশি ব্যবসায়ীদের জন্য সরকারের দেয়া সুবিধাদির প্রসঙ্গে বলেন, আইন করে বিদেশী বিনিয়োগকারীদের নিরাপত্তা প্রদান, ট্যাক্স হলিডে,যন্ত্রপাতি আমদানিতে কর রেয়াত,রয়্যালটির রেমিটেন্স, শতভাগ বিদেশী বিনিয়োগ, অনিয়ন্ত্রিত প্রত্যাহার নীতি, লভ্যাংশ ও পুঁজি দেশে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়ার সুবিধাসহ অনেক সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হচ্ছে।

প্রধানমন্ত্রী অন্যান্য প্রাপ্ত সুবিধাবলী সম্পর্কে ব্যবসায়ীদের জানান- দেশে পরিশ্রমী এবং তুলনামূলক স্বল্প বেতনে প্রশিক্ষিত জনশক্তির প্রাপ্যতা, স্বল্প খরচে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা, ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ), অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, ভারত, জাপান ও নিউজিল্যান্ডের বাজারে পণ্যের শুল্কমুক্ত ও কোটামুক্ত প্রবেশ সুবিধা-প্রভৃতি।

বৈঠকে শতভাগ রপ্তানিমুখী শিল্পের জন্য দেশে প্রায় একশ’ বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠায় তাঁর সরকারের উদ্যোগের তথ্যও তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী ।আইটি শিল্পের জন্য সরকারের হাইটেক পার্ক গড়ে তোলার প্রসংগ উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তাঁর সরকার তথ্য-প্রযুক্তি শিল্পের জন্যও বাংলাদেশে একাধিক হাইটেক পার্ক স্থাপন করছে এবং এই অঞ্চলগুলোতে বিনিয়োগ করতে বিদেশী বিনিয়োগকারীদের জন্য বিশেষ প্যাকেজ সুবিধা ঘোষণা করা হয়েছে বলেও তিনি জানান।প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ে তোলার মাধ্যমে দেশ থেকে ক্ষুধা,দারিদ্রমুক্ত করার লক্ষ্যে বাংলাদেশ এখন ২০২১ সালের মধ্যে ডিজিটালাইজড জ্ঞান ভিত্তিক মধ্যম আয়ের দেশ এবং ২০৪১ সাল নাগাদ উন্নত সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে গড়ে তোলার পথে রয়েছে।

এদিকে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের তেল আমদানিতে দেয়া ইসলামী উন্নয়ন ব্যাংক (আইডিবি)-র স্বায়ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠান ইন্টারন্যাশনাল ইসলামিক ট্রেড ফাইন্যান্স কর্পোরেশন (আইটিএফসি)-র সুদের হার আরো হ্রাস করে তা ‘প্রতিযোগিতামূলক’ করার জন্য আইডিবির প্রতি অনরোধ জানিয়েছেন।আইডিবির ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট ড. আহমেদ তিকতিক শনিবার সন্ধ্যায় রয়েল কনফারেন্স প্যালেসে তাঁর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে এলে প্রধানমন্ত্রী এ অনুরোধ জানান। বৈঠকের পরে পররাষ্ট্র সচিব শহিদুল হক এবং প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের এ কথা জানান।শরীয়াহ সম্মত অর্থায়নে শীষস্থানীয় প্রতিষ্ঠান আইটিএফসি-এর সদস্য দেশগুলোর সরকারকে ব্যবসার জন্য পরামর্শ ও তহবিল দিয়ে সহযোগিতা করে থাকে। এর প্রাথমিক লক্ষ্য হচ্ছে ওআইসি’র সদস্য দেশগুলোর মধ্যে আন্তঃবাণিজ্য উৎসাহিত করা।আইডিবি ‘র সদস্য দেশ হিসেবে বাংলাদেশ তেল আমদানির জন্য আইটিএফসি থেকে ঋণ নিয়ে থাকে।আইডিবি’র ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট প্রধানমন্ত্রীকে জানান যে, আইডিবি মুসলিম দেশগুলোতে বড় ধরনের অবকাঠামো নির্মাণ প্রকল্পে অর্থায়নের লক্ষে একটি ইসলামী ইনফ্রাস্ট্রাকচার ব্যাংক গঠনের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।

জবাবে শেখ হাসিনা এই ধরনের একটি উদ্যোগে অংশ নিতে তার দেশের আগ্রহের কথা ব্যক্ত করেন।

প্রধানমন্ত্রীকে বিভিন্ন বিষয়ে অবহিত করে ড. আহমেদ তিকতিক বলেন, আইডিবি বাংলাদেশে এর সহযোগিতা জোরদার করার লক্ষে একটি নতুন গেটওয়ে অফিস খুলতে যাচ্ছে।তিনি বলেন, আইডিবি জ্বালানী, গ্রামীণ গৃহায়ন ও সড়ক প্রকল্পকে অগ্রাধিকার দিয়ে বাংলাদেশে এর কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে।
আইডিবি ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বলেন, সিডোর ও আইলা দুর্গত দেশের দক্ষিণাঞ্চলের ১৩ জেলায় কিং আব্দুল্লাহ ইন্টারন্যাশনাল হিউম্যানেটারিয়ান চ্যারিটেবল ফাউন্ডেশন প্রদত্ত ১৩ কোটি ডলার ব্যয়ে ‘ফায়েল খায়ের’ কর্মসূচির আওতায় নির্মাণাধীন ১৭৩ টি স্কুল-কাম-সাইক্লোন শেল্টারের মধ্যে ৯০টির কাজ ইতোমধ্যেই শেষ হয়েছে।ডা. আহমেদ তিকতিক প্রধানমন্ত্রীকে জানান যে, আইডিবি আগামী বছরের মধ্যে বাংলাদেশের প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলে চিকিৎসা সেবা সহজতর করে তোলার লক্ষ্যে ১০টির মত মোবাইল ক্লিনিক স্থাপন করবে।

আইডিবি ভারপ্রাপ্ত সভাপতিকে বাংলাদেশ উন্নয়নের মডেল তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ ৭ দশমিক ০৫ শতাংশ জিডিপি প্রবৃদ্ধি অর্জনের পাশাপাশি এর বাজেট আকার বেশ কয়েকগুণ বাড়িয়েছে।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ এইচ মাহমুদ আলী ও প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. আবুল কালাম আজাদ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।প্রধানমন্ত্রী বর্তমানে সৌদি বাদশাহ সালমান বিন আব্দুল আজিজ আল সৌদের আমন্ত্রণে ৫ দিনের সরকারি সফরে সৌদি আরবে অবস্থাান করছেন।

অর্গানাইজেশন অব ইসলামিক কোঅপারেশন (ওআইসি) মহাসচিব আইয়াদ বিন আমিন মাদানী এনজিও, নারীর ক্ষমতায়ন এবং সামষ্টিক অর্থনীতিতে বাংলাদেশের অভূতপূর্ব সাফল্যের চিত্র বিশ্বের অন্যান্য মুসলিম দেশের কাছে তুলে ধরতে সহযোগিতা কামনা করেছেন।তিনি বলেন, বাংলাদেশ এনজিও, নারীর ক্ষমতায়ন এবং সামষ্টিক অর্থনীতিতে ব্যাপক সাফল্য অর্জন করে আন্তর্জাতিক বিশ্বে স্বীকৃতি অর্জন করেছে… এই সাফল্যকে বিশ্বের অন্যান্য মুসলিম দেশের কাছে তুলে ধরার জন্য আমরা বাংলাদেশের বিশেষ করে প্রধানন্ত্রীর কাছে সহযোগিতা চাই।ওআইসি মহাসচিব শনিবার সন্ধ্যায় রয়্যাল কনফারেন্স প্যালেসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করে এই অনুরোধ জানান।বৈঠকের পরে পররাষ্ট্র সচিব মো. শহীদুল হক এবং প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।ব্রিফিংয়ে বলা হয়, প্রধানমন্ত্রী ওআইসি মহাসচিবের অনুরোধের জবাবে বলেন, ওআইসি এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক প্রস্তাব পাঠালে বাংলাদেশ এ বিষয়ে সহযোগিতায় প্রস্তুত রয়েছে।

অন্যদিকে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রিয়াদে বাংলাদেশের চ্যান্সেরি ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনকালে বলেছেন, এ ধরনের একটি দূতাবাস ভবন একটি স্বাধীন দেশের প্রতীক।

প্রধানমন্ত্রী এ সময় সমগ্র বিশ্বেই ধাপে ধাপে নিজস্ব দূতাবাস ভবন গড়ে তোলার জন্য তাঁর সরকারের পদক্ষেপের কথাও পুনর্ব্যক্ত করেন।তিনি বলেন, তাঁর সরকার সৌদি আরবে বসবাসকারী প্রবাসী বাংলাদেশীদের উন্নত সেবা প্রদানের লক্ষ্যে জেদ্দায় কনস্যুলেট ভবন নির্মাণ করবে।গতরাতে রয়্যাল কনফারেন্স প্যালেসে এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী রিয়াদে বাংলাদেশের চ্যান্সেরি ভবন ও সৌদি আরবে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতের বাসভবন নির্মাণের ভিত্তিপ্রস্তরে ফলক উন্মোচন করেন।

প্রধানমন্ত্রী বর্তমানে সৌদি বাদশাহ সালমান বিন আব্দুল আজিজ আল সৌদের আমন্ত্রণে ৫ দিনের সরকারি সফরে সৌদি আরবে অবস্থান করছেন।প্রবাসী বাংলাদেশীরা সৌদি আরবসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে কাজ করে দেশের অর্থনীতি শক্তিশালীকরণে বিশাল ভূমিকা রাখছেন উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী অনুষ্ঠানে বলেন, কাজেই এই প্রবাসীদের সুবিধা-অসুবিধা দেখা সরকারের দায়িত্ব।

এই প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশ মিশনে কর্মরত রাষ্ট্রদূতদের ভালভাবে প্রবাসী বাংলাদেশীদের স্বার্থ দেখার নির্দেশ প্রদান করেন।যুক্তরাষ্ট্র, ভারত, পাকিস্তান এবং জাপানে নিজস্ব চ্যান্সেরি ভবন উদ্বোধনের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তাঁর সরকার ৯৬-২০০১ মেয়াদে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় আসার পর অষ্ট্রেলিয়াতেও এই ভবন নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছিল। অথচ পরবর্তী সরকার সেখানে ভবণ নির্মাণে ব্যর্থ হওয়ায় বাংলাদেশ সেখানে ভবন নির্মাণের জমির প্রায় অর্ধেকটাই হারিয়ে ফেলেছে।

প্রধানমন্ত্রী প্রবাসী বাংলাদেশীর সর্বোচ্চ সততা এবং আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করে বিদেশে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করারও আহবান জানান।

প্রধানমন্ত্রী দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটানোর জন্য জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবদানের কথা স্মরণ করে বলেন, তিনি গণমানুষের অধিকার আদায়ে এবং তাদের জীবন মান উন্নত করার প্রচেষ্টায় নিজের জীবনকে উৎসর্গ করে গেছেন।

এই মহান নেতার স্বপ্নকে বাস্তবায়িত করতে তাঁর সরকারের উদ্যোগের কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তাঁর ব্যক্তিগতভাবে কিছুই চাওয়া পাওয়ার নেই এবং তাঁর সরকার শিক্ষা, স্বাস্থ্য, তথ্যপ্রযুক্তি এবং অন্যান্য খাতের উন্নয়নে ব্যাপক উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে।

দেশের সর্বত্র উন্নয়নের ছোঁয়া লেগেছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তাঁর সরকার দেশের উন্নয়নে এমন ভাবে পদক্ষেপ নিচ্ছে যাতে করে বাংলাদেশ বিশ্বে একদিন মর্যাদার সঙ্গে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পারে।
বিশ্বে বাংলাদেশ আজ বাংলাদেশ মর্যাদার আসনে অধিষ্ঠিত হয়েছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশকে এখন আর কেউ অবহেলার চোখে দেখে না।

শেখ হাসিনা দেশের সম্ভাবনার কথা উল্লেখ করে ব্যবসা-বাণিজ্যের সম্প্রসারণ এবং দেশে আরো বিনিয়োগের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।এ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে আরো বিনিয়োগের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে অংশগ্রহণের আহবান জানিয়ে বলেন, দেশে বিনিয়োগের ব্যাপক সুযোগ রয়েছে।প্রধানমন্ত্রী এ সময় ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে মধ্যম আয়ের এবং ২০৪১ সালনাগাদ উন্নত সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে তাঁর অঙ্গীকারের কথা উল্লেখ করেন।এ সময় অন্যান্যের মধ্যে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এএইচ মাহমুদ আলী, মুখ্য সচিব মো. আবুল কালাম আজাদ, পররাষ্ট্র সচিব মো. শহীদুল হক, প্রেস সচিব ইহ্সানুল করিম, সৌদি আরবে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত গোলাম মসীহ উপস্থিত ছিলেন।