আবু নছরকে ১০ দিনের রিমান্ডে চায় পুলিশচট্টগ্রামে প্রকাশ্য দিবালোকে ছুরিকাঘাত ও গুলি করে পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতু হত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তার সাবেক শিবির কর্মী আবু নছর গুন্নুকে (৪০) ১০ দিনের রিমান্ড চায় মামলার তদন্ত সংস্থা ডিবি। বৃহস্পিতবার চট্টগ্রাম মহানগর হাকিম আদালতে এ আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবির পরিদর্শক কাজী রাকিব উদ্দিন। চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার (অপরাধ ও অভিযান) দেবদাস ভট্টাচার্য বৃহস্পতিবার দুপুরে সিএমপি মিডিয়া সেন্টারে নিয়মিত ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, ‘গতকাল জানিয়ে ছিলাম মাহমুদা খানম মিতু হত্যায় জড়িত সন্দেহে একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আজ তাকে আদালতে হাজির করে রিমান্ডের আবেদন করা হবে। তাকে ১০ দিনের রিমান্ডে চাওয়া হবে। এর আগে পুলিশ প্রাথমিক ভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে তাকে। তবে এসব পেশাদার অপরাধীদের কাছ থেকে তথ্য বের করা খুব কঠিন। তাই রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।’

এর আগে রোববার রাতে মাহমুদা খানম মিতুর স্বামী বাবুল আক্তার নিজেই বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা কয়েকজনের বিরুদ্ধে মামলা একটি করেন। মামলাটি সোমবার নথিভুক্ত হয়। যেটি ওই দিন থেকেই তদন্ত করছে ডিবি। পাশাপাশি সিআইডি, পিবিআই, র্যাব ও কাউন্টার টেরিরিজম ইউনিটও রহস্য উদঘাটনে কাজ করছে।

বুধবার (৮ জুন) সকালে হাটহাজারী উপজেলার ফরহাদাবাদ থেকে আবু নছরকে গ্রেপ্তার করা হয়। আবু নছরের বাড়ি হাটহাজারী উপজেলার পশ্চিম ফরহাদাবাদ গ্রামে। তিনি স্থানীয় মৃত মোফাজ্জল হোসেনের ছেলে। তিনি একসময় ইসলামী ছাত্রশিবিরের রাজনীতির সাথে জড়িত ছিল।

সাবেক এই শিবির ক্যাডার দীর্ঘদিন মধ্যপ্রাচ্যে থাকলেও ৫ বছর আগে তিনি দেশে ফেরেন। ফিরেই হাটহাজারী উপজেলার পশ্চিম ফরহাদাবাদের একটি মাজারে খাদেম হিসেবে যোগ দেন তিনি। মিতু হত্যায় আবু নছরের সম্পৃক্ততা আছে বলে নিশ্চিত করেছে পুলিশ। হত্যাকাণ্ডের সময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিল, এমন তথ্যের ভিত্তিতে তাকে আটক করা হয়েছে।  এদিকে আবু নাছেরকে মাজারকেন্দ্রিক বিরোধে হয়রানি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। মাজারের আধিপত্য নিয়ে আধ্যাত্মিক সাধক মূসাবিয়ার দুই মেয়ের মধ্যে বিরোধের জেরে এক মেয়ের অনুসারী গুন্নুকে স্পর্শকাতর এ মামলায় ফাঁসানো হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।