30-06-16-Sadarghat_Lanch Terminal-14

ঈদ উপলক্ষে সড়ক পথে ঘরমুখো মানুষের ঢল । বেলা বাড়ার সাথে সাথে মহাসড়কগুলোতে বাড়ছে গাড়ির চাপ। বৃহস্পতিবার মেষ কর্মদিবস হওয়ায় আগেবাগেই অনেকে বাড়ির পথে রওনা হয়েছেন । মহাসড়কে গাড়ির সংখ্যা বেশী থাকায় যানজটও বেশী। এতে করে চরম ভোগান্তি পোহাতে নাড়ির টানে ঘরে মানুষদের। ঈদুল ফিতরের আগে সরকারি কর্মজীবীদের শেষ কর্মদিবস বৃহস্পতিবার। তাই চাকরিজীবীদের একটি বড় অংশ ঘরে ফিরতে শুরু করেছে। সকাল থেকে এই যাত্রা শুরু হলেও পরিবহন-সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, সন্ধ্যার পর থেকে শুরু হয়ে গভীর রাত পর্যন্ত এই চাপ থাকবে সবচেয়ে বেশি। সকাল থেকে রাজধানীর গাবতলী, কল্যাণপুর বাস টার্মিনাল, কমলাপুর রেলস্টেশন, সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনালসহ অন্যান্য বাসস্ট্যান্ড ঘুরে দেখা গেছে, ঘরে ফেরা মানুষের চাপ বাড়ছে। অনেকে পরিবার নিয়ে গ্রামের বাড়ি ফেরার জন্য বাস টার্মিনালে ভিড় করছেন।তবে ঢাকা চট্রগ্রাম ঢাকা সিলেট মহাসড়কে ও যানজটও তুলনামূলক কম। হাইওয়ে পুলিশ বলছে শৃঙ্খলা রেখে যান চলাচল নিশ্চিত করতে তাদের বেগ পেতে হচ্ছে । তবে আগের এবার বেশী প্রস্তুুতি নেওয়া হয়েছে বলেও জানান তারা। সড়ক পথে যাত্রা নিরাপদ করতে ও দূভোগ কমাতে রাখা হয়েছে সিসি ক্যামেরা, বসানো হয়েছে ওয়াচ টাওয়ার । গুরুত্বপূর্ণ সব সড়কে থাকছে আইন- শৃঙ্খলা বাহিনীর অতিরিক্ত সদস্য।

জানতে চাইলে দেশর অন্যতম বড় বাস সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান হানিফ পরিবহনের জ্যেষ্ঠ মহাব্যবস্থাপক আবদুস সামাদ ম-ল বলেন, আজ সকাল থেকেই চাপ আছে। তবে বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত মানুষের প্রচন্ড চাপ রয়েছে। মূলত আজকেই সবচেয়ে বেশি মানুষ ঢাকা ছেড়ে যাচ্ছেন। মহাসড়কেও তাই এই দিন চাপ বেশি থাকছে।সরকারি চাকরিজীবী আবদুল মান্নানের সঙ্গে বৃহস্পতিবার দুপুরে কথা হয় গাবতলী বাস টার্মিনালে। পরিবার সদস্যদের আগেই গ্রামের বাড়ি গোপালগঞ্জে পাঠিয়ে দিয়েছেন তিনি। সকালে ঈদের আগে শেষ অফিস করে তিনি বাড়িতে যাচ্ছেন। তিনি বলেন, বেশ লম্বা একটা ছুটি পেয়েছি। নয় দিনের এই ছুটিতে এবার আত্মীয়স্বজনদের বাড়িতে বেড়াতে পারব। তাই এবারে বাড়ি ফেরার আনন্দ অন্য রকম।আগামীকালও সারা দিন যাত্রীদের চাপ আছে বাস-ট্রেন-লঞ্চে। পরিবহন কর্তৃপক্ষের কর্মীরা জানান, যাঁরা আজকের টিকিট পাচ্ছেন না, তাঁরা আগামীকাল শুক্রবার সকাল থেকে যাওয়ার টিকিট সংগ্রহ করেছেন। তবে আগামী ২ ও ৩ জুলাই যাত্রীদের চাপ কিছুটা কম হলেও ৪ জুলাই এই চাপ অনেক বেশি বলে জানালেন পরিবহন-সংশ্লিষ্টরা। এই দিন বেসরকারি চাকরিজীবীদের ঈদের আগে শেষ কর্মদিবস। তবে ৫ জুলাই, অর্থাৎ ঈদের আগের দিনের টিকিট ফাঁকা আছে বলে জানালেন তাঁরা।

আসন্ন ঈদ-উল-ফিতর উদযাপনে বাড়ি আসা-যাওয়া যাত্রীদের জন্য বাংলাদেশ রেলওয়ের পশ্চিম জোনে বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।জোনের জেনারেল ম্যানেজার ইঞ্জিনিয়ার খায়রুল আলম বৃহস্পতিবার জানান, যাত্রীদের যাত্রা নিরাপদ এবং নিবিঘœ রাখতে আমরা সর্বাত্মক প্রস্তুতি গ্রহণ করেছি।ঈদ-উল-ফিতর উপলক্ষে জোনের রাজশাহী সদর দফতর থেকে ঢাকা-পার্বতীপুর-ঢাকা এবং ঢাকা-খুলনা-ঢাকা রুটে দুই জোড়া বিশেষ ট্রেন নামানো হচ্ছে। ঈদ সামনে রেখে এই বিশেষ ট্রেন সার্ভিস তিনদিন আগে চালু করা হবে এবং ঈদের পরের পাঁচ থেকে সাত দিন পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে।এছাড়া ঈদের সাত দিন আগে থেকে ঢাকা থেকে ছেড়ে যাওয়া অন্যান্য ট্রেনে বিশেষভাবে আন্তনগরে অতিরিক্ত এক বা দুই বগি যোগ করা হবে।

তিনি বলেন, অনিয়ম ও টিকিট কালোবাজারি ক্ষেত্রে কঠোর ব্যবস্থাগ্রহণ করে সফলভাবে আন্তঃনগর ট্রেনের টিকেট বিক্রি সম্পন্ন করা হয়েছে।জিএম বলেন, এই জোনে ১১০টি ট্রেন চলাচল করবে। এর মধ্যে ৩৬টি আন্তঃনগর এবং ২৬টি এক্সপ্রেস ট্রেন বিভিন্ন রুটে চলবে। এছাড়াও রাজধানী ঢাকার সাথে পাকশী এবং লালমনিরহাট রুটেও ট্রেনের সংযোগ দেয়া হয়েছে।

বর্তমানে রাজশাহী-ঢাকা রুটে ধূমকেতু, সিল্ক সিটি ও পদ্মা এই তিনটি আন্তঃনগর ট্রেন চলাচল করছে। এখন উচ্চ গতির ধুমকেতু ট্রেনের ১৩টি বগিকে আধুনিক ও আরামদায়ক করা হয়েছে ।এতে দু’টি শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত চেয়ার কোচ ও দুটি স্লিপিং কেবিন রাখা হয়েছে।তিনি আরো জানান, আসন্ন ঈদে রেলওয়ে খাতের আধুনিকীকরণ ও নতুন মাত্রাযুক্ত এই ট্রেনের প্রতিটি ট্রিপে ৩০০০ যাত্রী পরিবহণ করা হবে।এই জোনের আওতায় রাজশাহী, রংপুর ও খুলনা বিভাগকে যুক্ত করায় এর বিভিন্ন রুটে ১৪১টি ট্রেন চলাচল করবে। এতে ৫০টি আন্তঃনগর ট্রেন সহ বিভিন্ন স্বল্প দূরত্বের রুটে কমিউটার অথবা শাটল ট্রেন চলবে।খায়রুল ইসলাম জানান, রেলওয়েকে আধুনিক এবং জনপ্রিয় করতে ভারত থেকে ১২০টি এবং ইন্দোনেশিয়া থেকে ৫০টি বিলাসবহুল বগি ক্রয় করা হয়েছে। তিনি আশা প্রকাশ করেন, এতে যাত্রী পরিবহন সমস্যার সমাধানসহ এই সার্ভিসের মান উন্নত হবে।পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে বাংলাদেশ রেলওয়ে ৭ জোড়া বিশেষ ট্রেন পরিচালনা করবে।ঈদের আগে ৩ থেকে ৫ জুলাই এবং ঈদের পরে ৮ থেকে ১৪ জুলাই এই বিশেষ ট্রেন বিভিন্ন রুটে চলাচল করবে। বাংলাদেশ রেলওয়ে বিশেষ ট্রেন চালুর ব্যাপারে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে। যেসকল রুটে বিশেষ ট্রেন চলাচল করবে সেগুলো হচ্ছে- পার্বতীপুর-ঢাকা-পার্বতীপুর রুটে পার্বতীপুর স্পেশাল, খুলনা-ঢাকা-খুলনা রুটে খুলনা স্পেশাল, ঢাকা-দেওয়ানগঞ্জ-ঢাকা রুটে দেওয়ানগঞ্জ স্পেশাল, চট্টগ্রাম-চাঁদপুর-চট্টগ্রাম রুটে চাঁদপুর স্পেশাল-১, চট্টগ্রাম-চাঁদপুর-চট্টগ্রাম রুটে চাঁদপুর স্পেশাল-২ এবং ঈদের দিন ভৈরববাজার-কিশোরগঞ্জ-ভৈরববাজার রুটে সোলাকিয়া স্পেশাল-১ ও ময়মনসিংহ-কিশোরগঞ্জ-ময়মনসিংহ রুটে সোলাকিয়া স্পেশাল-২।বাংলাদেশ রেলওয়ের পশ্চিমাঞ্চল পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ঘরমুখী যাত্রীদের জন্য পার্বতীপুর-ঢাকা-পার্বতীপুর এবং খুলনা-ঢাকা-খুলনা রুটে ২ জোড়া বিশেষ ট্রেন পরিচালনা করবে।বাংলাদেশ রেলওয়ের পশ্চিমাঞ্চলের চিফ অপারেটিং সুপারিনটেনডেন্ট (সিওপিএস) বাসসকে জানান, বিশেষ ট্রেন পার্বতীপুর রেল স্টেশন থেকে সকাল ৬টা ৪৫ মিনিটে ছেড়ে ঢাকায় পৌঁছাবে বিকেল ৩টা ৫০মিনিটে। এই ট্রেনটি ঢাকা থেকে বিকেল ৫টা ২০ মিনিটে ছেড়ে রাত ৩টায় পার্বতীপুর পৌঁছাবে। বিশেষ ট্রেনটিতে ৯টি বগি থাকবে।তিনি জানান, অপর বিশেষ ট্রেনটি খুলনা থেকে সকাল সাড়ে ১০টায় ছেড়ে ঢাকায় পৌঁছাবে রাত ৮টা ২০মিনিটে এবং ট্রেনটি ঢাকা থেকে রাত ৯টা ২৫ মিনিটে ছেড়ে খুলনা পৌঁছাবে পরদিন সকাল ৭টায়। বিশেষ ট্রেনটিতে ১০টি বগি থাকবে।বাংলাদেশ রেলওয়ে (পূর্ব) জেনারেল ম্যানেজার আবদুল হাই জানান, ঢাকা থেকে দেওয়ানগঞ্জ পর্যন্ত বিশেষ ট্রেন সকাল ৮টা ৪৫ মিনিটে ঢাকা থেকে ছেড়ে বিকেল ৩টা ৪০ মিনিটে দেওয়ানগঞ্জ পৌঁছাবে। ট্রেনটি পুনরায় বিকেল ৪টায় দেওয়ানগঞ্জ থেকে ছেড়ে ঢাকায় পৌঁছাবে রাত ১১টা ১০ মিনিটে।চট্টগ্রাম-চাঁদপুর-চট্টগ্রামের মধ্যে চলাচলকারী বিশেষ ট্রেন চাঁদপুর স্পেশাল-১ সকাল সাড়ে ১১টায় চট্টগ্রাম ছেড়ে বিকেল ৫টা ৫ মিনিটে চাঁদপুর পৌঁছাবে। ট্রেনটি পুনরায় রাত ৩টা ৪৫ মিনিটে চাঁদপুর ছেড়ে সকাল ৯টা ১৫ মিনিটে চট্টগ্রাম পৌঁছাবে।

চাঁদপুর স্পেশাল-২ বিকেল ৩টা ৩০ মিনিটে চট্টগ্রাম ছেড়ে চাঁদপুর পৌঁছাবে রাত ৮টা ৫ মিনিটে। ট্রেনটি পরদিন সকাল ৬টায় চাঁদপুর ছেড়ে চট্টগ্রাম পৌঁছাবে দুপুর ১২টায়।কিশোরগঞ্জের সোলাকিয়ায় পবিত্র ঈদুল ফিতরের নামাজ আদায়ে মুসল্লীদের যাতায়াতের সুবিধার্থে বাংলাদেশ রেলওয়ে ঈদের দিনে ২ জোড়া বিশেষ ট্রেন পরিচালনা করবে।বাংলাদেশ রেলওয়ের ঢাকা বিভাগের বিভাগীয় পরিবহন কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান জানান, ঈদের দিন সকাল ৬টায় ভৈরববাজার থেকে সোলাকিয়া এক্সপ্রেস ট্রেন ছেড়ে সকাল ৮টায় কিশোরগঞ্জ পৌঁছাবে। ট্রেনটি ঈদের নামাজ শেষে দুপুর ১২টায় কিশোরগঞ্জ ছেড়ে দুপুর ২টায় ভৈরববাজার পৌঁছাবে।তিনি জানান, ময়মনসিংহ থেকে সকাল ৫টা ৪৫ মিনিটে অপর সোলাকিয়া এক্সপ্রেস ট্রেন কিশোরগঞ্জের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করবে এবং সকাল ৮টায় কিশোরগঞ্জ পৌঁছাবে। ট্রেনটি দুপুর ১২টায় কিশোরগঞ্জ ছেড়ে বিকেল ৩টায় ময়মনসিংহ পৌঁছাবে।উল্লেখ্য, ট্রেন ২টি যাত্রাপথে সকল স্টেশনে থামবে।

এদিকে, বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন সংস্থা (বিআইডব্লিউটিসি) পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে বৃহস্পতিবার থেকে স্পেশাল সার্ভিস শুরু করবে।ঢাকা-বরিশাল নৌ-রুটে রাষ্ট্রীয় এই সংস্থার ৫টি জাহাজ দিয়ে ১০ জুলাই পর্যন্ত স্পেশাল সার্ভিস পরিচালিত হবে।এছাড়া আগামী ২ জুলাই থেকে ১৯টি লঞ্চের মাধ্যমে বেসরকারি লঞ্চ মালিকদের সংগঠন অভ্যন্তরীণ যাত্রী পরিবহন সংস্থা বিশেষ সার্ভিস শুরু করবে।
বরিশালের বিআইডব্লিউটিসি’র সহকারী মহাব্যবস্থাপক সৈয়দ আবুল কালাম আজাদ জানান, এবার সংস্থার নিয়মিত ৫টি জাহাজ যাত্রী পারাপারে নিয়োজিত থাকবে। এগুলো হলো- পিএস মাহসুদ, অস্ট্রিচ, লেপচা, এমভি মধুমতি ও বাঙালি। এসব জাহাজ বরিশাল-ঢাকা-চাঁদপুর, ঝালকাঠী, হুলারহাট ও মোড়েলগঞ্জ রুটে চলাচল করবে। এর মধ্যে বৃহস্পতিবার ঢাকা থেকে লেপচা সন্ধ্যা ৬টায় ও মধুমতি সাড়ে ৬টায় যাত্রী নিয়ে ছেড়ে আসবে। আগামী ১০ জুলাই পর্যন্ত স্পেশাল সার্ভিস চলবে।

তিনি বলেন, ঘরমুখো যাত্রীদের ভোগান্তি লাঘবে জাহাজের ৫০ ভাগ টিকেট এবার অনলাইনে দেয়া হয়েছে। ভাড়া পূর্বের ন্যায় রাখা হয়েছে। এছাড়া অভ্যন্তরীণ নৌ-রুটে বিআইডব্লিউটিসি’র সি-ট্রাক খিজির-৮ ও খিজির-৫ নিয়মিত চলাচল করবে। ১০ জুলাই পর্যন্ত বিশেষ সার্ভিস চালু থাকার কথা থাকলেও যাত্রীদের চাপ বেশি থাকলে তা বাড়ানো হতে পারে।অন্যদিকে বেসরকারি লঞ্চ মালিকদের সংগঠন অভ্যন্তরীণ যাত্রী পরিবহন সংস্থা আগামী ২ জুলাই থেকে বরিশাল-ঢাকাসহ অভ্যন্তরীণ ২৮টি রুটে ঈদের বিশেষ লঞ্চ সার্ভিস চালু করবে।বরিশাল-ঢাকা নৌ রুটে এবার দিবা সার্ভিস গ্রীন লাইন ওয়াটার ওয়েজের ২টি জাহাজসহ মোট ১৯টি লঞ্চ যাত্রী পারাপার করবে। বিশেষ এই সেবা চলবে ঈদের ৭ দিন পর্যন্ত। এর মধ্যে পারাবাত কোম্পানির ৫টি, সুন্দরবন কোম্পানির ৩টি, সুরভীর ৩টি, কীর্তনখোলার ২টি, টিপুর ১টি, ফারহানের ১টি, কালাম খানের ১টি ও দ্বীপরাজের ১টি। এছাড়া গ্রীনলাইন ওয়াটার ওয়েজের ২টি জাহাজসহ মোট ১৯টি লঞ্চ যাত্রী পরিবহণ করবে। বেসরকারি লঞ্চ মালিক সমিতির সহ-সভাপতি সাইদুর রহমান বলেন, আগামী ২ জুলাই বেসরকারি লঞ্চের ঈদ স্পেশাল সার্ভিস শুরু করা হবে। এবছর যাত্রীদের যাত্রা নিরাপদ ও নিশ্চিত করতে সর্বোচ্চসংখ্যক লঞ্চের ব্যবস্থা করা হয়েছে। ঢাকার ঘাটে স্ট্যান্ডবাই রাখা হবে ৫ থেকে ৭টি লঞ্চ । যাত্রীবোঝাই হলেই এসব লঞ্চ ঢাকা থেকে বরিশালের উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসবে।এদিকে ঈদে ঘরে ফেরা মানুষদের নিরাপদে গন্তব্যে পৌঁছে দিতে ব্যাপক নিরাপত্তামুলক প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে বিআইডব্লিউটিএ কর্তৃপক্ষ। এগুলো হলো পন্টুন ও গ্যাংওয়ে ব্যবহার উপযোগী রাখাসহ দুর্ঘটনা রোধে উদ্ধারকারী জাহাজ নির্ভীক ও টাগ স্ট্যান্ডবাই রাখা। নৌপথে পর্যাপ্ত বয়া-বিকনবাতি স্থাপন। অজ্ঞান ও মলম পার্টির অপতৎপরতা রোধে আইন-শৃ্খংলা রক্ষাকারী বাহিনী তৎপর থাকবে বন্দর এলাকায়। ভিআইপি যাত্রীদের জন্য অপেক্ষা না করে যাত্রী বোঝাই হওয়ার সাথে সাথে লঞ্চগুলো ঘাট ত্যাগ করতে হবে। ১ থেকে ১৪ জুলাই পর্যন্ত নৌবন্দরে মেডিকেল টিম, ফায়ার সার্ভিস এবং সিভিল ডিফেন্সের ডুবুরি দলের একটি টিম সার্বক্ষণিক উপস্থিত থাকবে। এছাড়া রাতের বেলায় বরিশাল-ঢাকা নৌ পথে মালবাহী কার্গো ও বালুবাহী বাল্কহেড চলাচল নিষিদ্ধ করা হয়েছে।