02-07-16-Shootings Blasts At Gulshan Restaurant-70গুলির শব্দ থেমেছে, এগুচ্ছে ফায়ার ব্রিগেড। গুলশানের হলি বেকারির জিম্মি দশা এখন অবসানের পথে। সেখানে সেনাবাহিনীর কমান্ডোরা অভিযান চালাতে শুরু করলে প্রায় ৪৫ মিনিট ধরে চলে অভিযান। এসময় ‍গুলি-পাল্টাগুলি চলে। ভেসে আসে গ্রেনেডেরও শব্দ।

উদ্ধার অভিযান (সকাল ৮টা১৫য় শুরু)

সকাল সোয়া ৮টায় গুলির শব্দ থেমে যায়। এরপরপরই ফায়ার ব্রিগেডের সদস্যদের ভেতরে ঢুকতে দেখা যায়। এরপর একে একে অন্তত ১৩ জন বের করে আনা হয়।

নিচে দেখুন ঘটনার ধারাবাহিকতা:

সকাল ৯টা ০৫: ঘটনাস্থল থেকে নৌ ও সেনা প্রধানদের প্রস্থান।

সকাল ৯টা ০২: বিকট একটি শব্দে কেঁপে ওঠে গুলশানের ৭৯ নম্বর রোড। এটি হতে পারে গ্রেনেডের শব্দ।

সকাল ৮টা ৪০: পুলিশের একটি অ্যাম্বুলেন্সে উদ্ধারকৃতদের নিয়ে ঘটনাস্থল থেকে বের হয়ে যায়।

সকাল ৮টা ৩৪ মিনিটে নৌবাহিনী প্রধান এডমিরাল নিজাম উদ্দিন আহমেদ ঘটনাস্থলে পৌঁছান।

৮টা ৩৪ মিনিটে সেনা প্রধান শফিউল হক ঘটনাস্থলে পৌছান।

সকাল ৮টা ২৭ মিনিটে সেনাবাহিনীর চারটি অ্যাম্বুলেন্স ঘটনাস্থলের দিকে এগিয়ে যায়।

সকাল ৮টা ২০ মিনিটে র‌্যাব এর একটি অ্যাম্বুলেন্স বাইরে বের হয়ে যেতে দেখা যায়।

সকাল ৮টা ১৭ মিনিটে একাধিক আহত ব্যক্তিকে বের করে আনতে দেখা যায়। এদের মধ্যে অন্তত একজন বিদেশি নাগরিক ছিলেন।

সকাল ৮টা ১৫ মিনিটে অক্ষত অবস্থায় বের করে আনা হয় কয়েকজন নারী ও শিশুকে।

কমান্ডো অভিযান (৭:৩০-৮:১৫)

রাজধানীর গুলশানের ‘হলি আর্টিসান বেকারি’ রেস্টুরেন্টে সৃষ্ট জিম্মি সংকটের অবসান ঘটাতে সেনা কম্যান্ডোরা স্পটে এসে পেঁৗছান সকাল সাড়ে ৭টায়। এরপরপরই তাদের অভিযান শুরু হয়। তাদের সঙ্গে অংশ নেয় র‌্যাব, পুলিশ, সোয়াট, বিজিবিসহ অন্য বাহিনীও। সকাল পৌনে আটটার দিকে স্পট থেকে ভেসে আসতে থাকে টানা গুলির শব্দ। গুলির পাশাপাশি, গ্রেনেডের শব্দও আসতে থাকে। বেলা ৭টা ৫০ মিনিটের মধ্যে অনেকটাই ভবনের কাছাকাছি পৌঁছে যায় কমান্ডোরা।

এর আগে সকাল সাড়ে ৭টার কিছু আগে সেনাবাহিনীর ১১টি এপিসি, ১৬টি জিপ ও ৩টি ভ্যানসহ বেশ কিছু সাঁজোয়া যান রেস্টুরেন্ট সংলগ্ন এলাকায় প্রবেশ করে। আর আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর জন্য চিহ্নিত এলাকার বাইরে দায়িত্ব পালন করতে দেখা যায় মিলিটারি পুলিশকে। এরপর একে একে বাড়তে থোকে সেনা সদস্যের সংখ্যা।