ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম

গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারি রেস্তোরাঁয় হামলার ঘটনায় আগামী ২৪ আগস্টের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম (সিএমএম) আদালত।বুধবার পুলিশ ওই মামলার নথি আদালতে উপস্থাপন করে। পরে মহানগর হাকিম স্নিগ্ধা রাণী চক্রবর্তী আগামী ২৪ আগস্টের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন।১ জুলাই রাতে ওই হামলার ঘটনায় গত সোমবার রাতে গুলশান থানায় সন্ত্রাস দমন আইনে একটি মামলা করা হয়। এতে ওই ঘটনায় নিহত পাঁচ হামলাকারীসহ অজ্ঞাত কয়েকজনকে আসামি করা হয়।

গুলশানের রেস্তোরাঁয় ওই হামলায় ২০ জন জিম্মি নিহত হন। কমান্ডো অভিযানে নিহত হন পাঁচ হামলাকারী। নিহত জিম্মিদের মধ্যে তিনজন ছাড়া সবাই বিদেশি। ১৩ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়।গুলশানের ক্যাফেতে জঙ্গি হামলার ঘটনায় সন্ত্রাস দমন আইনে পুলিশ যে মামলা করেছে, তার তদন্ত করে ২৪ অগাস্টের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলেছে আদালত।গুলশান থানার পরিদর্শক মো.সালাউদ্দিন মিয়া গত সোমবার মধ্যরাতে ওই মামলা করার কথা জানিয়ে বলেছিলেন, এজাহারে ‘পাঁচ হামলাকারীর নাম উল্লেখ কওে অজ্ঞাত পরিচয় আরও অনেককে আসামি করা হয়েছে।

মঙ্গলবার সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামালও পাঁচজনের নাম আসামির তালিকায় থাকার কথা বলেন।তবে পুলিশ বা মন্ত্রী ওই পাঁচ আসামির নাম বলেননি।আর বুধবার মামলার যে এফআইআর আদালতে তোলা হয়েছে, সেখানে আসামির কোনো সংখ্যা বা কারও নাম উল্লেখ করা হয়নি বলে আদালত পুলিশের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা এসআই ফরিদ মিয়া জানান।

গত শুক্রবার রাজধানীর কূটনীতিকপাড়া গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারিতে অস্ত্র ও বিস্ফোরক নিয়ে হানা দেয় একদল তরুণ। হামলার খবর শুনে গিয়ে গুলি ও বোমায় নিহত হন দুই পুলিশ কর্মকর্তা। এর ১২ ঘণ্টা পর শনিবার সকালে সশস্ত্র বাহিনীর নেতৃত্বে অভিযান চালিয়ে ক্যাফেটি নিয়ন্ত্রণে আনার পর জানানো হয়, হামলাকারীরা ১৭ বিদেশিসহ ২০ জনকে ধারাল অস্ত্রের আঘাতে হত্যা করেছে।অভিযানে ছয় হামলাকারী নিহত এবং একজন জীবিত অবস্থায় ধরা পড়েন বলে সরকারের পক্ষ থেকে প্রাথমিকভাবে জানানো হয়। এরপর পুলিশ প্রধান এ কে এম শহীদুল হক বলেন, নিহতদের মধ্যে পাঁচ জঙ্গিকে তারা খুঁজছিলেন।

প্রাথমিক তথ্য সংশোধন করে মঙ্গলবারের সংবাদ সম্মেলনে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ছয়টি লাশ সন্ত্রাসীদের বলে প্রাথমিকভাবে অনুমান করা হলেও পরে এদের পাঁচজনের পরিচয় পাওয়া যায়।তাদের অভিভাবকগণ তাদের সনাক্ত করেছেন। তারা জঙ্গি বলে তথ্য প্রমাণ পাওয়া গেছে।