হেপাটাইটিস সি মুখে খাওয়ার ওষুধে সম্পূর্ণ নির্মূল

বাংলাদেশে তৈরিকৃত মুখে খাওয়ার ওষুধে হেপাটাইটিস সি ভাইরাস সম্পূর্ণ নির্র্মূল হয় এবং সি ভাইরাস থেকে রোগীর আরোগ্যলাভের মাত্রাও অনেক বেশি।রোববার শহীদ ডা. মিলন হলে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সেমিনার সাব কমিটির উদ্যোগে হেপাটাইটিস সি: এন আপডেট বিষয়ক মাসিক এক সেমিনারে এ কথা জানানো হয়।এতে জানানো হয়, দেশীয় ওষুধের দাম রোগীদের সাধ্যের মধ্যে এবং রোগীর আরোগ্যলাভে সময়ও আগের থেকে কম লাগে। তাছাড়া এসব ওষুধ পূর্বের তুলনায় অনেকটাই পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াহীন।

২ থেকে ৩ বছর আগেও হেপাটাইটিস সি-এর তেমন কার্যকরী চিকিৎসা ছিলো না। তখন হেপাটাইটিস সি-এর চিকিৎসায় ইজেকশনের মাধ্যমে ওষুধ সংশ্লিষ্ট রোগীদের শরীরের প্রয়োগ করা হতো। ওই চিকিৎসা ছিলো দীর্ঘ মেয়াদী, ব্যয়বহুল, পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াযুক্ত এবং আরোগ্য লাভের মাত্রা ছিলো সামান্য। কিন্তু গত ২ থেকে ৩ বছরে হেপাটাইটিস সি এর চিকিৎসায় ব্যাপক পরিবর্তন ও সাফল্য পরিলক্ষিত হয়। এতে আরও জানানো হয়, বাংলাদেশসহ বিশ্ব থেকে ২০৩৬ সালের মধ্যে হেপাটাইটিস সি ভাইরাস সম্পূর্ণ নির্মূল করা সম্ভব হবে।শিশু হেমাটোলজি ও অনকোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান ডা. চৌধুরী ইয়াকুব জামালের সভাপতিত্বে সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কামরুল হাসান খান।

এতে বিশেষজ্ঞ হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গ্যাস্ট্রোএন্টারোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. প্রজেশ কুমার রায়, ভাইরোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. শাহিনা তাবাসসুম, কিডনী চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. মোঃ শহিদুল ইসলাম সেলিম, হেপাটোলজি বিভাগের অধ্যাপক ডা. সেলিমুর রহমান।সেমিনারে হেপাটাইটিস সি-এর উপর গুরুত্বপূর্ণ প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্যাস্ট্রোএন্টারোলজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. চঞ্চল কুমার ঘোষ ও সহযোগী অধ্যাপক ডা. রাজিবুল আলম।ডা. চঞ্চল কুমার ঘোষ বলেন, মুখে খাওয়ার বাংলাদেশী ওষুধে সি ভাইরাস প্রায় শতভাগ নির্মূল করা যায়। আর বাংলাদেশী ওষুধের দাম কম হওয়ায় বিশ্বের ৫০টিরও বেশি দেশে সি ভাইরাস চিকিৎসার বাংলাদেশী ওষুধ রফতানি হচ্ছে।