পাকিস্তানে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিল ‘নব্য জেএমবির’ দুই দম্পতি

নব্য জেএমবির সদস্য সন্দেহে ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জ থেকে আটক দুই দম্পতির পাকিস্তানে যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল। র‌্যাবের পক্ষ থেকে এমনটাই দাবি করা হয়েছে। আটক হওয়া দুই দম্পতির বিষয়ে বিস্তারিত জানাতে বুধবার দুপুরে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে র‌্যাব-২ কার্যালয়ে সংবাদ ব্রিফিং করেন র‌্যাবের গণমাধ্যম শাখার পরিচালক মুফতি মাহমুদ খান।

র‌্যাবের ভাষ্য, মঙ্গলবার রাতে ঢাকার ফার্মগেট ও নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা থেকে ওই দুই দম্পতিকে আটক করা হয়।আটক হওয়া দুই দম্পতি হলেন আমিনুল ইসলাম (৩৪) ও তাঁর স্ত্রী নাহিদ সুলতানা (৩০) এবং শরিফুল ইসলাম মাহমুদ (১৮) ও তাঁর স্ত্রী মারজিয়া আক্তার ওরফে সুমি (১৯)। ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জে অভিযান চালিয়ে দুই দম্পতিকে আটকের পর র‌্যাব বলছে, তারা ‘নব্য জেএমবি’র সদস্য।র‌্যাব সদর দপ্তরের সহকারী পরিচালক (লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া) মিজানুর রহমান ভূঁইয়া জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে’ র‌্যাব ২ ও ১১ এর দুটি দল মঙ্গলবার রাতে ওই অভিযান চালায়। আটকরা হলেন- মো. আমিনুল ইসলাম ও তার স্ত্রী নাহিদ সুলতানা এবং শরীফুল ইসলাম মাহমুদ ও মারজিয়া আক্তার সুমি।তারা বিদেশে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন জানিয়ে মিজানুর রহমান বলেন, এরা নিও জেএমবির সদস্য। অবস্থা প্রতিকূল দেখলে এরা বিদেশে চলে যায়।তারা কোন দেশে যাওয়ার চেষ্টায় ছিলেন সে বিষয়েও কোনো তথ্য তাৎক্ষণিকভাবে প্রকাশ করেনি র‌্যাব।

র‌্যাবের ভাষ্য, গত রাত সাড়ে ১২টার দিকে ফার্মগেট এলাকার একটি রেস্তোরাঁ থেকে আমিনুল, শরিফুল ও মারজিয়াকে আটক করা হয়। তাঁদের তথ্যের ভিত্তিতে ফতুল্লার একটি বাসা থেকে নাহিদকে আটক করা হয়। তাঁদের কাছ থেকে বেশ কিছু জিহাদি বই, প্রচারপত্র, সিডি ও মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়েছে।মুফতি মাহমুদ খান বলেন, আটক চারজন অনলাইনের মাধ্যমে জঙ্গি কর্মকান্ডে জড়িয়ে পড়েন। সংগঠনের সিদ্ধান্তে দুই দম্পতি বিয়ে করেন। তাঁরা অনেক দিন ধরে জঙ্গি তৎপরতার সঙ্গে যুক্ত।এক প্রশ্নের জবাবে মুফতি মাহমুদ খান বলেন, আটক দুই দম্পতিকে প্রাথমিকভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, এই দুই দম্পতির পাকিস্তানে যাওয়ার কথা পরিকল্পনা ছিল। কী উদ্দেশ্যে তাঁরা পাকিস্তানে যাওয়ার পরিকল্পনা করছিলেন, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।