14423627_10210632497477226_688858875_oবাইসাইকেল লেন তৈরি এবং গাড়ি নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে যানজট ও বায়ু দূষণ হ্রাস করে ঢাকা শহরকে অধিকতর বাসযোগ্য করে তোলার জন্য দি ইনস্টিটিউট অব ওয়েলবিয়িংএর উদ্যোগে আজ ২৪ সেপ্টেম্বর সকাল ৮টায় ধানমন্ডি ৫/এ থেকে প্রেস ক্লাব পর্যন্ত একটি সাইকেল র‌্যালীর আয়োজন করা হয়।যানজট ও দূষণ হ্রাসে ব্যক্তিগত গাড়ি নিয়ন্ত্রণ এবং বাইসাইকেল লেন তৈরির সুপারিশ, বায়ু দূষণ এবং যানজট হ্রাসে একটি দক্ষ ও সম্ভাবনাময় যাতায়াত মাধ্যম হিসেবে সাইক্লিংএর গুরুত্ব অপরিসীম। সাইকেলে চলাচল নিরাপদ এবং সুবিধাজনক; চলাচল ও পার্কিংএর মাধ্যমে সাইকেল খুব অল্প জায়গা দখল করে তাছাড়া সাইকেলে যাতায়াত খরচ অতি অল্প। তাই শহরে বসবাসের পরিবেশ নিশ্চিতকরণ এবং মানোন্নয়নের বাহন হিসেবে সাইকেলের বিকল্প নেই।

নেদারল্যান্ড ও ডেনমার্কের মতো উন্নত তথা আধুনিক দেশগুলোতে সাইক্লিং অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ যাতায়াত মাধ্যম হিসেবে বিবেচিত হয় এবং তাদের যাতায়াত অবকাঠামো ও বাজেটে সাইক্লিং প্রাধান্য পায়। নেদারল্যান্ডে মানুষের চেয়ে সাইকেলের সংখ্যা বেশি। আমস্টার্ডাম এবং হেগের মতো শহরে ৭০ শতাংশ যাতায়াত সাইকেলের মাধ্যমে সংঘটিত হয়।

উক্ত র‌্যালীতে অংশগ্রহণকারীরা বলেন, বাইসাইকেল লেন তৈরি করে এবং সাইক্লিং-কে উৎসাহিত করার মাধ্যমে মোটরযান দ্বারা সৃষ্ট দুর্ঘটনায় মৃত্যুর সংখ্যা কমিয়ে আনা সম্ভব। সাইক্লিং যানজট হ্রাস করে এবং স্বাস্থ্য ও পরিবেশের সুরক্ষা দেয়। শিশু ও তরুনদের কাছে সাইক্লিং বিশেষভাবে জনপ্রিয়। কিন্তু সাইকেল লেন না থাকায় শিশুরা রাস্তায় সাইকেল চালাতে পারে না। অনেকে সাইক্লিং পছন্দ করলেও সাইকেল চালাতে ভয় পায়। তারা আরো উল্লেখ করেন যদি পৃথক বাইসাইকেল লেন থাকতো তবে গাড়িতে যেতে যেখানে এক ঘন্টা বা তারও বেশি সময় লাগে, সাইকেলে তা অর্ধেকেরও কম সময়ে লাগতো। পাশাপাশি এর ফলে ব্যক্তিগত গাড়ি দ্বারা সৃষ্ট যানজটে আটকে না থেকে নিরাপদে গন্তব্যে পৌঁছানো যেতো।

হেলথ ব্রীজের দেবরা ইফরইমসন বলেন,

“ ঢাকার যানজট নিরসনের একমাত্র উপায় ব্যক্তিগত গাড়ি নিয়ন্ত্রণ এবং বিকল্প বাহনের ব্যবস্থা করা। বিশ্বের উন্নত শহরগুলোতে যাতায়াত মাধ্যম হিসেবে সাইকেলকে উৎসাহিত করা হচ্ছে। ব্যক্তিগত গাড়ির জন্য কনজেশন চার্জ আরোপ ও পার্কিং ফি বৃদ্ধি করে এবং পৃথক বাইসাইকেল লেন তৈরির মাধ্যমে সাইক্লিংএর জন্য নিরাপদ ও নির্ঝঞ্ঝাট পরিবেশ সৃষ্টি করে যানজট নিয়ন্ত্রন সম্ভব।”

দি ইনস্টিটিউট অব ওয়েলবিয়িং-এর রশ্মি সরকার বলেন, “সকলের সুবিধার্থে আমরা চাই ঢাকা একটি বাইসাইকেল নগরী হিসেবে গড়ে উঠুক।” উক্ত কর্মসূচীতে অংশগ্রহণ করে সাইকেলারস অব বাংলাদেশ, হলিডে রাইডার্স, মিরপুর রাইডার্স, বাংলাদেশ স্কাউট ও গাইড ফেলোশিপ, বাংলাদেশ সাইকেল লেন বাস্তবায়ন পরিষদ, সাউথ ঢাকা সাইক্লিস্ট, মাস্তুল ফাউন্ডেশন, স্ট্যামফোর্ড ইউনিভার্সিটি, গড়বো বাংলাদেশসহ বিভিন্ন সংগঠন।

উল্লেখ্য, বিশ্বজুড়ে সহস্রাধিক শহরে উদযাপিত ২২ সেপ্টেম্বের ‘বিশ্ব কার ফ্রি দিবস’ পালন উপলক্ষে সপ্তাহব্যাপী কর্মসূচীর অংশ হিসেবে এই র‌্যালীর আয়োজন করা হয়।