%e0%a6%8f%e0%a6%95-%e0%a6%95%e0%a7%87%e0%a6%9c%e0%a6%bf-%e0%a6%a6%e0%a6%b6-%e0%a6%97%e0%a7%8d%e0%a6%b0%e0%a6%be%e0%a6%ae-%e0%a6%93%e0%a6%9c%e0%a6%a8%e0%a7%87%e0%a6%b0-%e0%a6%95%e0%a6%be%e0%a6%81

উপকূলীয় খুলনার পাইকগাছায় ১কেজি ১০গ্রাম ওজনের বিশাল একটি কাঁকড়া পাওয়া গেছে। কাঁকড়াটির স্বাস্থ্যগত বিভিন্ন দিক পরীক্ষা করেন বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট লোনাপানি কেন্দ্রের উর্দ্ধতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মোঃ লতিফুল ইসলাম। গবেষকের মতে কাঁকড়া সন্ধিপদ বিশিষ্ট জলজ প্রাণী।

পৃথিবীতে প্রায় ১৩৩ প্রজাতির কাঁকড়া পাওয়া যায়। বাংলাদেশের স্বাদু পানিতে ৪টি প্রজাতি এবং সমুদ্রের লোনাপানিতে ১১ প্রজাতির কাঁকড়া পাওয়া যায়। এর মধ্যে বাণিজ্যিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ মাড ক্রাব বা গ্রীন ক্রাব বা ম্যানগ্রুভ ক্রাব। স্থানীয় ভাষায় একে শীলা কাঁকড়া বলে। যার বৈজ্ঞানিক নাম হলো ঝপুষষধ ঝবৎৎধঃধ. এই প্রজাতির কাঁকড়া সুন্দরবন এবং দেশের উপকূলীয় অঞ্চলে সর্বাধিক পাওয়া যায়। বাংলাদেশের অর্থনীতিতে শীলা কাঁকড়া একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। মৎস্য খাতে হতে প্রাপ্ত রপ্তানি আয়ে অংশীদারিত্বে চিংড়ির পরেই কাঁকড়ার অবস্থান। বাংলাদেশ হতে কাঁকড়া হংকং, মালয়েশিয়া, তাইওয়ান, সিঙ্গাপুর সহ এশিয়ার বিভিন্ন দেশ ও ইউরোপ মহাদেশে রপ্তানি হয়ে থাকে। ইতোমধ্যে বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট, লোনাপানি কেন্দ্র পাইকগাছা কাঁকড়ার ফ্যাটেনিং কলাকৌশল ও কৃত্রিম প্রজনন প্রযুক্তি উদ্ভাবন করেছে। উপজেলা মৎস্য দপ্তর সূত্র মতে পাইকগাছা থেকে বছরে ৪ হাজার ৭৫ মেট্রিক টন কাঁকড়া উৎপাদন হয়। কাঁকড়ার উৎপাদন বৃদ্ধিতে এর চাষাবাদের উন্নত কলা কৌশল উদ্ভাবন ও পর্যাপ্ত পোনা সরবরাহ নিশ্চিত করা জরুরি বলে মনে করেন সংশ্লিষ্ট সকলেই।

Image : Collected