%e0%a7%ad-%e0%a6%89%e0%a6%87%e0%a6%95%e0%a7%87%e0%a6%9f-%e0%a6%b9%e0%a6%be%e0%a6%a4%e0%a7%87-%e0%a6%a8%e0%a6%bf%e0%a7%9f%e0%a7%87-%e0%a7%a7%e0%a7%a8%e0%a7%ae-%e0%a6%b0%e0%a6%be%e0%a6%a8%e0%a7%87

৭ উইকেট হাতে নিয়ে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ঢাকা টেস্টের দ্বিতীয় দিন শেষে ১২৮ রানে এগিয়ে রয়েছে স্বাগতিক বাংলাদেশ। টাইগার অফ-স্পিনার মেহেদি হাসান মিরাজের নৈপুণ্যে প্রথম ইনিংসে ইংল্যান্ডকে ২৪৪ রানে অল-আউট করে দেয় স্বাগতিকরা। ৮২ রানে ৬ উইকেট নেন মিরাজ। এরপর নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংস ব্যাট হাতে নেমে ৩ উইকেটে ১৫২ রান তুলে দিন শেষ করে বাংলাদেশ। প্রথম ইনিংসে ২২০ রান করেছিলো বাংলাদেশ। ফলে প্রথম ইনিংস থেকে ইংলিশরা লিড পায় ২৪ রানের।শনিবার মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে ৩ উইকেটে ৫০ রান নিয়ে শুরু করে ইংল্যান্ড। কিন্তু মিরাজের ঘূর্ণিতে পড়ে দিনের শুরু থেকেই উইকেট হারাতে থাকে তারা। উইকেট হারানোর ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকে পরবর্তীতেও।

মিরাজের ঘূর্ণির কাছে অসহায় ছিলেন ইংল্যান্ডের ব্যাটসম্যানরা। এক পর্যায়ে ৮ উইকেটে ১৪৪ রানে পরিণত হয় ইংলিশরা। ইংলিশদের পতন হওয়া ৫ উইকেটের (দ্বিতীয় দিন সকালে) ৩টি নেন মিরাজ। আর দু’টি নেন তাইজুল। জাফর আনসারিকে ফিরিয়ে অভিষেকের পর টানা দ্বিতীয় ইনিংসেও ৫ উইকেট শিকার করেন মিরাজ। ফলে রেকর্ডের অংশ হয়ে যান মিরাজ।দ্রুতই ৮ উইকেট হারানোয় দেড়’শ রানের মধ্যে গুটিয়ে যাবার শংকায় পড়ে ইংল্যান্ড। কিন্তু নবম উইকেটে ৯৯ রানে জুটি গড়ে ইংল্যান্ডকে লিড এনে দেন ক্রিস ওকস ও আদিল রশিদ। দলীয় ২৪৩ রানে ওকসকে ফিরিয়ে দিয়ে জুটি ভাঙ্গেন মিরাজ। এরপর শেষ ব্যাটসম্যান স্টিভেন ফিনকে আউট করে ইংল্যান্ডকে ২৪৪ রানেই গুটিয়ে দেন তাইজুল। ওকস ৪৬ রানে ফিরলেও, ৪৪ রানে অপরাজিত আছেন রশিদ। মিরাজ ছাড়াও তাইজুল ৩টি ও সাকিব ১টি উইকেট নেন।

প্রথম ইনিংসে ইংল্যান্ডের চেয়ে ২৪ রানে পিছিয়ে থেকে নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে শুরুটা দুর্দান্তই করেছিলেন বাংলাদেশের দুই ওপেনার তামিম ইকবাল ও ইমরুল কায়েস। সর্তকতার সাথে শুরু করলেও, সময় গড়ানোর সাথে সাথে রান তোলার গতিও বাড়িয়ে দেন তারা। ফলে ৫৫ বলেই ৫০ রানের কোটা স্পর্শ করে বাংলাদেশ। এরমধ্যে তামিমের অবদান ছিলো ২৮। আর ইমরুলের ১৫ রান।দলের স্কোর হাফ-সেঞ্চুরিতে পৌছে দিয়েও ক্ষান্ত হননি তামিম ও ইমরুল। রানের চাকা সচল রেখেছিলেন তারা। তবে দলীয় ৬৫ রানে তামিমকে ফিরিয়ে দিয়ে টেস্ট ক্যারিয়ারের প্রথম উইকেট তুলে নেন জাফর আনসারি। প্রথম ইনিংসে ১০৪ রান করা তামিম এবার করেন ৪০ রান। তার ৪৭ বলের ইনিংসে ৭টি চার ছিলো।

তামিমের ফিরে যাবার ১ বল পরই প্যাভিলিয়নে নিজের জায়গা দখল করেন তিন নম্বরে নামা মোমিনুল হক। ইংল্যান্ডের মিডিয়াম পেসার বেন স্টোকসের শিকার হবার আগে ২ বলে ১ রান করেন মোমিনুল। ফলে ২ উইকেটে ৬৬ রানে পরিণত হয় বাংলাদেশ।দ্রুত তামিম ও মোমিনুলকে হারিয়ে চিন্তায় পড়ে যায় বাংলাদেশ। তবে বাংলাদেশকে বেশিক্ষণ চিন্তায় রাখেননি আরেক ওপেনার ইমরুল ও চার নম্বরে নামা মাহমুদুল্লাহ। চতুর্থ উইকেটে দারুন এক জুটি গড়ে তুলেন তারা। ফলে দিন শেষে চালকের আসনে বসে থাকার স্বপ্ন দেখছিলো বাংলাদেশ। কিন্তু সেটি হতে দেননি মাহমুদুল্লাহ। দিনের শেষ বলে আনসারির বলে বোল্ড হতাশা নিয়েই মাঠ ছাড়েন তিনি। তাই বাংলাদেশের মুখে আর দেখা গেলো না চওড়া হাসি। ৫টি চারের সহায়তায় ৫৭ বলে ৪৭ রান করেন মাহমুদুল্লাহ। তবে অন্যপ্রান্তে টেস্ট ক্যারিয়ারের চতুর্থ হাফ- সেঞ্চুরি তুলে ৮টি বাউন্ডারিতে ৫৯ রানে অপরাজিত থাকেন ইমরুল।