প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রোববার টঙ্গীতে তুরাগ নদের তীরে অনুষ্ঠিত পবিত্র হজের পর বিশ্বে মুসলমানদের বৃহত্তম সমাবেশ বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্বের শেষ দিনে আখেরী মোনাজাতে অংশগ্রহণ করেছেন। রোববার বেলা ১১টার পর টঙ্গীর তুরাগতীরে আখেরি মোনাজাত শুরু হয়, মোনাজাত পরিচালনা করেন তাবলিগ জামাতের মারকাজের শূরা সদস্য মাওলানা মুহাম্মদ সাদ।

প্রধানমন্ত্রী তাঁর সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে এই মোনাজাতে অংশ নেন। কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী, সাবেক মন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতি মন্ডলীর সদস্য এডভোকেট সাহারা খাতুন, প্রধানমন্ত্রীর পরিবারের সদস্যগণ এবং আত্মীয়রা তাঁর সঙ্গে এই মোনাজাতে শরিক হয়েছেন।এই মোনাজাতে বিশেষ করে দেশের অব্যাহত শান্তি, অগ্রগতি ও কল্যাণ এবং মুসলিম উম্মাহর ব্যাপক ঐক্য লাভের জন্য প্রার্থনা করা হয়। ভারতের বিশিষ্ট আলেম মাওলানা সাদ এই মোনাজাত পরিচালনা করেন।

প্রথম পর্যায়ের ইজতেমায় দেশের ১৬টি জেলার হাজার-হাজার মুসল্লী অংশ নিয়েছেন। জেলাগুলো হচ্ছে- গাজীপুর, ঢাকা, টাঙ্গাইল, ময়মনসিংহ, ব্রাহ্মণবাড়ীয়া, মানিকগঞ্জ, রংপুর, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, রাঙামাটি, বান্দরবান,গোপালগঞ্জ, শরীয়তপুর,যশোর, খাগড়াছড়ি, জয়পুরহাট, মৌলভীবাজার ও সাতক্ষীরা।গাজীপুর পুলিশ সুপার হারুন-অর-রশিদ জানান- ভারত, পাকিস্তান, সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমীরাত, কাতার, মিশর, জর্দান, আলজেরিয়া, ওমান, ইয়েমেন, সুদান, ফিলিস্তিন, তিউনিসিয়া, বাহরাইন, ফ্রান্স, কুয়েত, সোমালিয়া, কেনিয়া, জার্মানী, সুইজারল্যান্ড, কানাডা, যুক্তরাষ্ট্র, ইরাক ও ইরানসহ ৯১টির বেশী দেশের ৭ হাজার ৮০৪ জন বিদেশী মুসল্লী এবার ইজতেমায় যোগ দিয়েছেন।

অন্য জেলার মুসল্লীরা ২০-২২জানুয়ারি পর্যন্ত অনুষ্ঠিতব্য দ্বিতীয় পর্যায়ের ইজতেমায় অংশগ্রহণ করবেন।শুক্রবার বাদ ফজর আলেমদের বয়ান ও মোনাজাতের মধ্য দিয়ে বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব শুরু হয় এবং আজ আখেরী মোনাজাতের মধ্য দিয়ে এর সমাপ্তি হয়েছে।ইজতেমায় পবিত্র কোরআন ও হাদিসের আলোকে বিশিষ্ট ওলামা-মাশরেকগণ বয়ান করে থাকেন এবং অন্যন্য আলেমগণ তা বিশ্বের বিভিন্ন ভাষায় তরজমা করে শোনান।স্থান সংকুলান ও পরিবহন সমস্যার প্রেক্ষিতে ২০১১ সাল থেকে দুটি পর্যায়ে ইজতেমা অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে।নয়াদিল্লী ভিত্তিক তাবলিগ ই জামাত ১৯৬৭ সাল থেকে ইজতেমা আয়োজন করে আসছে।