সনদ বাণিজ্য, ঢাকার বাইরে একাধিক ক্যাম্পাস, মালিকানা দ্বন্দ্ব ও বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগে বেসরকারি দারুল ইহসান বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যক্রম বন্ধে হাইকোর্টের রায় বহাল রেখেছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। এ রায়ের ফলে বিশ্ববিদ্যালয়টি মূলত বন্ধ হয়ে গেল।

বুধবার প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বে আপিল বিভাগের চার সদস্যের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ এই রায় ঘোষণা করেন। বেঞ্চের অপর সদস্যরা হলেন- বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন, বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী ও বিচারপতি মির্জা হোসেইন হায়দার।আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার রোকন উদ্দিন মাহমুদ ও খায়রুল আলম চৌধুরী।আদালতের আদেশের পর অ্যাটর্নি জেনারেল সাংবাদিকদের জানান, এখন থেকে দারুল ইহসান বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল কার্যক্রম বন্ধ হয়ে গেল। বিশ্ববিদ্যালয়ের অনিয়মের ক্ষেত্রে আদালত অত্যন্ত কঠোর। এ রায় বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর জন্য একটি বার্তা।২০১৬ সালের ২৫ জুলাই এলএলবি কোর্স সম্পর্কে কিছু নির্দেশনা দেন হাইকোর্ট।

একইসঙ্গে দারুল ইহসান বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধের নির্দেশও দেয়া হয়। হাইকোর্টের সেই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করে দারুল ইহসান বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। ওই আপিলের শুনানি নিয়ে বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়টির আপিল খারিজ হয়ে যায়।এদিকে গত বছরের ২৬ জুলাই দারুল ইহসান বিশ্ববিদ্যালয়ের সব কার্যক্রম বন্ধের নির্দেশ দিয়ে পরিপত্র জারি করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। পরিপত্রে বলা হয়, কোনো শিক্ষার্থী ক্ষতিপূরণ চাইলে সরকার সহায়তা করবে। শিক্ষার্থীরা সর্বোচ্চ পাঁচ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ চাইতে পারবে।