তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা ও বাপা’র সহ-সভাপতি এ্যাডভোকেট সুলতানা কামাল বলেছেন, রামপাল কয়লা ভিত্তিক তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র ইস্যুতে আমাদের কথা আমরা বহুদিন ধরে বলে আসছি। দীর্ঘদিন ধরে আমরা এটা নিয়ে বিভিন্ন সময়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছি। আমাদের কথা হলো সুন্দরবন এমন একটা সম্পদ এর কোন রমক ঝুকি আমরা নিতে পারি না। বিজ্ঞান সম্মত পরিবেশ সমীক্ষা করে তারপর সরকারের এখানে সিদ্ধান্ত নেয়া উচিৎ, যেটা সরকার করেনি। আমরা সরকারের টেন্ডার বিশ্লেষণ করে দেখেছি তারা যে আধুনিক পদ্ধতি ব্যবহার করবেন সে ব্যাপারে আমরা নিশ্চিত হতে পারছি না। সবচেয়ে বড় কথা হচ্ছে কয়লা তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র এখন হয়তো বাস্তব গ্রহণযোগ্যতা পেতে পারে, যেহেতু এই মুহূর্তে আমাদের কোন উৎস্য নাই যেখান থেকে আমরা বিদ্যুৎ করতে পারি। কিন্তু সুন্দরবন থেকে সেটা অবশ্যই সরিয়ে নিতে হবে। যে কথা বলা হচ্ছে, সুন্দরবন থেকে এটা নিরাপদ দুরত্বে আছে, আমরা বলতে চাই এটা কোন সত্য ভাষন নয়। সেটা মিথ্যাচার। আমরা এ মিথ্যাচার মেনে নিতে পারি না। তাই সুন্দরবন ধ্বংস না করে অন্য জায়গার সরিয়ে নেয়া হোক যাতে সুন্দরবন বাচবে।

মংলায় পশুর নদীর ভাঙ্গন ও দুই পাড়ের অধিবাসীদের রক্ষার দাবীতে রবিবার দুপুরে সুন্দরবন সংলগ্ন চিলা বাজারে অনুষ্ঠিত মহা সমাবেশে তিনি এ সব কথা বলেন। এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ওয়াটারকির্পাস বাংলাদেশ’র সমন্বয়কারী শরীফ জামিল, খুলনা প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি ফারুক আহমেদ, সুন্দরবন একাডেমির মংলার পরিচালক সুভাষ চন্দ্র বিশ্বাস, পশুর রিভার ওয়াটারকিপার মংলার মো: নুর আলম শেখ। আগামী ১৪ ফ্রেব্রুয়ারী সুন্দরবন দিবস সফল হোক শ্লোগানে সুন্দরবন সংলগ্ন চিলা এলাকায় এ মহা সমাবেশের আয়োজন করে পশুর রিভার ওয়াটারকিপার, বাপা ও ওয়াটারকির্পাস বাংলাদেশ। সমাবেশে নদী ভাঙ্গনে ক্ষতিগ্রস্থ পরিবার, জেলেসহ সুন্দরবন নির্ভরশীল পরিবারের বিপুল সংখ্যক নারী-পুরুষ অংশ নেয়।