লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলার কাকিনা ইউনিয়নের গোপালরায় গ্রামের নুরুল হক, অল্প খরচে স্বল্প সময়ে বিষমুক্ত ফ্রুট ব্যাগিং পদ্ধতিতে থাই পেয়ারা চাষ করে ব্যাপক সফলতার মুখ দেখেছেন। আর এ সফলতার মুলেই রায়েছে, মাটির উর্বরা শক্তি ও আবহাওয়া অনুকূলের পাশাপাশি ভালো চারা, জৈব সার, সেচ ও নিয়মিত পরিচর্চা করা।

নুরুল হক প্রায় ৭ একর জমিতে এ থাই পেয়ারা চাষ করেছেন। প্রতি মৌসুমে থাই পেয়ারা বিভিন্ন জেলা ও উপজেলার পাইকার, আড়ৎদার বাগান থেকে ক্রয় করে রংপুর, ঢাকা, চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে নিয়ে যাচ্ছে।

থাই পেয়ারা বিক্রি করে বাগানের খরচ বাদ দিয়ে এ পর্যন্ত প্রায় ১০ লাখ টাকা আয় করেছেন নুরুল হক। সে নিজেরসহ লীজ নেওয়া প্রায় ৭ একর জমিতে থাই পেয়ারা চাষ শুরু করেন।
জেলা ও উপজেলার কৃষি অফিসারের পরামর্শ অনুযায়ী ফ্রুট ব্যাগিং পদ্ধতিতে চাষ করেন তিনি। এতে পেয়ারা সুস্বাদু হওয়ায় অধিক লাভজনকে সাফল্য এসেছে তার।

নুরুল হক জানান, ২০১২ সালের শেষের দিকে থাই পেয়ারার চাষ শুরু করেন। ভালো ফলন পেতে তিনি নাটোর, পাবনা, চাঁপাইনবাবগঞ্জসহ বিভিন্ন এলাকার বাগানও পরিদর্শন করেছেন। চারা লাগানোর দশ মাসের মধ্যেই তার পেয়ারা গাছে ফল আসে।

বাগানের প্রতিটি থাই পেয়ারার ওজন ৪০০ থেকে ৫০০ গ্রাম। প্রতিটি গাছে কমপক্ষে ২৫ কেজি পেয়ারা পাওয়া যায়। খেতেও খুবই সুস্বাদু। প্রতি কেজি পেয়ারা বাগানে পাইকারি দর ৮০ থেকে ৯০ টাকা। খুচরা বিক্রি ১১০ থেকে ১২০ টাকা কেজি। নিয়মিত পরিচর্যা করে চাষ করলে প্রতিটি থাই গাছ থেকে এক হাজার টাকার অধিক লাভবান হওয়া যায়। তার বাগানে এখন ৪৪০০ গাছ রয়েছে এবং প্রতিটিতেই ফ্রুট ব্যাগিং পদ্ধতি ব্যবহার করে বিষমুক্ত থাই পেয়ারা চাষ হচ্ছে।

এরই মধ্যে থাই পেয়ারার ৪ হাজার কলম চারা করা হয়েছে। প্রতিনিয়তই বাগান দেখার জন্য কৃষি বিভাগের বিভিন্ন কর্মকর্তা পরিদর্শন করেন এবং পরামর্শ দেন।

কালীগঞ্জ উপজেলা কৃষি অফিসার নজরুল ইসলাম জানান, ফ্রুট ব্যাগিং পদ্ধতিতে জৈব সার ব্যবহার করে বিষমুক্ত থাই পেয়ারা চাষ করায় এটা যেমন সুস্বাদু তেমনি লাভজনক। নুরুল হকের এ থাই পেয়ারা বাগান অনেকের কাছে অনুকরণীয় হয়ে উঠেছে।

মোঃ ইউনুস আলী, লালমনিরহাট প্রতিনিধি