প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মঙ্গলবার লক্ষ্মীপুর জেলা স্টেডিয়ামে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে রামগতি ও কমলনগর মেঘনা নদীর তীর সংরক্ষণ প্রকল্প (প্রথম পর্যায়)সহ বেশ কয়েকটি উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন ও নির্মাণ কাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছেন।প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ দুপুরে লক্ষ্মীপুর জেলা স্টেডিয়ামে এসে পৌছেন। এরপর তিনি স্টেডিয়াম থেকে ১০টি প্রকল্পের উদ্বোধন এবং ১৭টি প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, সাংগঠনিক সম্পাদক এনামুল হক শামীম, যুব ও ক্রীড়া উপমন্ত্রী আরিফ খান জয়, আওয়ামী লীগের যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক হারুন-অর রশিদ, আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক পংকজ দেবনাথ এমপিসহ দলের স্থানীয় নেতৃবৃন্দ ও প্রশাসনের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাগণ।প্রধানমন্ত্রী অন্যান্য যে সব প্রকল্প উদ্বোধন করেন সেগুলো হচ্ছে, চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ভবন, যুব প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, উপজেলা পরিষদ ভবন (লক্ষীপুর সদর) উপজেলা পরিষদ অডিটোরিয়াম (লক্ষ্মীপুর সদর), উপজেলা পরিষদ ভবন (কমলনগর), উপজেলা পরিষদ অডিটোরিয়াম (কমলনগর), লক্ষ্মীপুর পৌর আইডিয়াল কলেজ ভবন, মোহাম্মদিয়া বাজার পুলিশ তদন্ত কেন্দ্র নির্মাণ (৩য় ও ৪র্থ) এবং উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর ও প্রাণী হাসপাতাল (কমলনগর)।

প্রধানমন্ত্রী যেসব প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন সেগুলো হচ্ছে- ২৫০-শয্যাবিশিষ্ট সদর হাসপাতাল, প্রশাসনিক ভবন ও নাবিক নিবাস, বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড, মজু চৌধুরীর হাট, পুলিশ অফিসার্স মেস, লক্ষ্মীপুর সদর পুলিশ ফাঁড়ি, আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস ভবন, লক্ষ্মীপুর সদর খাদ্য গুদামে ৫০০ মে. টন ধারণ ক্ষমতা সম্পন্ন নতুন গুদাম নির্মাণ, রামগঞ্জ উপজেলায় ১৩২/৩৩ কেবি গ্রিড উপকেন্দ্র নির্মাণ, পিয়ারপুর সেতু, চেউয়াখালী সেতু, মজু চৌধুরীর হাটে নৌ-বন্দর, লক্ষ্মীপুর পৌর আধুনিক বিপণি বিতান, আনসার ও ভিডিপি ব্যাটালিয়ন সদর দপ্তর কমপ্লেক্স (রামগঞ্জ), পৌর আজিম শাহ (রা) হকার্স মার্কেট, লক্ষ্মীপুর সরকারি কলেজ একাডেমিক ভবন-কাম-পরীক্ষা কেন্দ্র, লক্ষ্মীপুর পুলিশ লাইন মহিলা ব্যারাক নির্মাণ, লক্ষ্মীপুর শহর সংযোগ সড়কে পিসি গার্ডার সেতু নির্মাণ, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স স্টেশন (রায়পুর) এবং ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স স্টেশন (কমলনগর)।পরে লক্ষ্মীপুর জেলা স্টেডিয়ামে জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত এক জনসভায় যোগ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।