মেয়র অধ্যাপক এম এ মান্নানের দ্বিতীয় দফায় সাময়িক বরখাস্ত স্থগিতের আদেশ বুধবার গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনে এসে পৌচ্ছে। গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিও) কে এম রাহাতুল ইসলাম আদালতের আদেশের কপি প্রাপ্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

অধ্যাপক এমএ মান্নানের আইনজীবী ও গাজীপুর বারের সাধারণ সম্পাদক মঞ্জুর মোরশেদ প্রিন্স জানান, দীর্ঘ আইনী প্রক্রিয়া শেষে দুই বছর কারাবাসের পর চলতি বছরের ৬ জানুয়ারী তিনি গাজীপুরে কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-১ থেকে মুক্তি লাভ করেন। পরে তিনি তার পদ ফিরে পেতে হাইকোর্টে একটি রিট আবেদন করেন। ওই রিটের শুনানি শেষে গত ১৩ এপ্রিল হাইকোর্টের বিচারপতি সৈয়দ মোহাম্মদ দস্তগীর হোসেন ও বিচারপতি মো. আতাউর রহমান খানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ স্থানীয় সরকার মন্ত্রনালয় কর্তৃক সাময়িক বহিস্কারাদেশ তিন মাসের জন্য স্থগিতের আদেশ দেন। ৬দিন পর ওই আদেশের সার্টিফাই কপি বুধবার গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের ডাক ফাইলে জমা দেয়া হয়েছে। এর ফলে মেয়র মান্নান তার স্ব-পদে দায়িত্ব পালনে এখন থেকেই অফিস করতে পারবেন। এতে আইনগত আর কোনো বাধা নেই।

সিটি কর্পোরেশনের বিএনপি সমর্থক কাউন্সিলর তানভীর আহমেদ জানান, মেয়রের দায়িত্ব পালনে অধ্যাপক এমএ মান্নানের আইনগত কোন বাধা নেই। তবে তিনি স্থানীয় সরকার মন্ত্রনালয়ের চিঠি নিয়েই তিনি দায়িত্ব গ্রহণ করবেন।

উল্লেখ্য, যাত্রীবাহীবাসে পেট্রোলবোমা হামলার মামলায় ২০১৫ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় মেয়র এমএ মান্নানকে ঢাকার বারিধারার বাসভবন থেকে গ্রেফতার করা হয়। ২২ মামলায় জামিনের পর হাইকোর্ট থেকে সর্বশেষ জামিন লাভ করে গত বছরের ২ মার্চ তিনি কারা মুক্ত হন। এপ্রিল মাসে তিনি মেয়র পদ ফিরে পান। এ অবস্থায় গত বছর ১৫ এপ্রিল এমএ মান্নানকে ফের নাশকতার তিনটি মামলায় গ্রেফতার করে আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনী। একই মাসে তাকে ফের বরখাস্ত করা হয়। তার বিরুদ্ধে সব মিলিয়ে ২৯টি মামলা দায়ের করা হলেও সব ক’টি মামলায় তিনি জামিন লাভ করে এ বছরের ৬ জানুয়ারি তিনি ফের কারা মুক্ত হন। মান্নানের অবর্তমানে ২০১৫ সালের ৮ মার্চ থেকে প্যানেল মেয়র আসাদুর রহমান কিরণ গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের ভারপ্রাপ্ত মেয়র হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।