বনানীতে দুই তরুণীকে ধর্ষণ ঘটনার মামলা দেরিতে গ্রহণ এবং তদারকিতে অবহেলার অভিযোগে ঘটনার সময় গুলশান জোনের ভারপ্রাপ্ত উপকমিশনার, বনানী থানার ওসিসহ তিন পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করেছে তদন্ত কমিটি। অভিযুক্ত পুলিশ কর্মকর্তারা হলেন- ঘটনার সময় গুলশান জোনের ভারপ্রাপ্ত উপকমিশনার মানস কুমার পোদ্দার, বনানী থানার ওসি ফরমান আলী এবং একই থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) আব্দুল মতিন। তাদের বিরুদ্ধে অসদাচরণ, দেরিতে মামলার এজাহার গ্রহণ এবং তদারকিতে অবহেলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। পুলিশের একটি দায়িত্বশীল সূত্র এসব তথ্য নিশ্চিত করেছে।

পুলিশের ‘গাফিলতি’ বিষয়ে গঠিত তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন সোমবার ডিএমপি কমিশনারের হাতে তুলে দেন তদন্ত কমিটির প্রধান এডিশনাল কমিশনার মিজানুর রহমান। দুই তরুণীকে ধর্ষণের ঘটনায় মামলা নিতে বনানী থানা পুলিশের কর্তব্য পালনে কোনও গাফিলতি ছিল কিনা, তা জানতে ডিএমপি ওই তদন্ত কমিটি গঠন করে। এই তদন্ত প্রতিবেদনের সুপারিশ অনুযায়ী সংশ্লিষ্টদের কাছে অবহেলার বিষয়ে ব্যাখ্যা চাওয়া হয়। প্রসঙ্গত, রেইনট্রি হোটেলে ধর্ষণের শিকার দুই শিক্ষার্থীর একজন বনানী থানায় মামলা করতে গেলে থানা পুলিশ গড়িমসি করে এবং ৪৮ ঘণ্টা পর গত ৬ মে মামলাটি নেয় বলে অভিযোগ ওঠায় ওই তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছিল।

উল্লেখ্য, এই মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, ২৮ মার্চ পূর্বপরিচিত সাফাত আহমেদ তার জন্মদিনের দাওয়াত দেয় দুই তরুণীকে। এরপর তাদের বনানীর ‘কে’ ব্লকের ২৭ নম্বর সড়কের ৪৯ নম্বরে রেইনট্রি নামের হোটেলে নিয়ে যাওয়া হয়। হোটেলের একটি কক্ষে আটকে রেখে তাদের মাথায় অস্ত্র ঠেকিয়ে ধর্ষণ করে সাফাত ও নাঈম। এ ঘটনা সাফাতের গাড়িচালক বিল্লালকে দিয়ে ভিডিও করানো হয়েছে বলেও এজাহারে উল্লেখ করা হয়। মামলার আসামি সাফাত আহমদ, নাঈম আশরাফ, সাদমান সাকিফ, সাফাতের গাড়িচালক বিল্লাল ও দেহরক্ষী রহমত আলী ওরফে আবুল কালাম আজাদকে ইতোমধ্যে গ্রেফতার করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।