জাতীয় সংসদে ২০১৭-২০১৮ অর্থবছরের বাজেট পেশ করছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতসরকার আগামী বছরের মধ্যে দেশের সব শিল্প প্রতিষ্ঠানে গ্যাস সরববরাহ করতে সক্ষম হবে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। বৃহস্পতিবার (১ জুন) ২০১৭-১৮ অর্থ বছরের বাজেট বক্তৃতায় তিনি এ তথ্য জানান। এ সময় গ্যাস সঙ্কট নিরসনে মন্ত্রী সরকারের পরিকল্পনার কথাও জানান।অর্থমন্ত্রী তার বক্তৃতায় বলেন, দেশের ক্রমবর্ধমান জ্বালানি চাহিদা মেটানোর লক্ষ্যে স্বল্পতম সময়ের মধ্যে এলএনজি (লিকুইড প্রেট্রোলিয়াম গ্যাস) আমদানির কার্যক্রম চলমান আছে। এর অংশ হিসেবে মহেলখালীতে বিল্ড, ওউন, অপারেট অ্যান্ড ট্রান্সফার (বিওওটি) পদ্ধতিতে একটি ‘ফ্লটিং স্টোরেজ অ্যান্ড রিগ্যাসিফিকেশন ইউনিট’ (এফএসআরইউ) ভিত্তিক এলএনজি টার্মিনাল স্থাপনের জন্য ইতোমধ্যে টার্মিনাল ব্যবহার এবং বাস্তবায়ন চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। আমরা আশা করছি ২০১৮ সালের শেষ নাগাদ সকল শিল্প প্রতিষ্ঠানে গ্যাস সরবরাহে আমরা সক্ষম হবো।

বক্তৃতায় বিদ্যুত খাতের উন্নয়ন প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, ২০০৯ সালের জানুয়ারিতে দেশের বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা ছিলো চার হাজার ৯৪২ মেগাওয়াট। বর্তমানে তা বেড়ে ১৫ হাজার ৩৭৯ মেগাওয়াটে উন্নীত হয়েছে। এ সময়ে বিদ্যুতের সিস্টেম লস ১৫ দশমিক ৬ শতাংশ থেকে ৯ দশমিক ৩ শতাংশে নামিয়ে আনা সম্ভব হয়েছে।জাতীয় সংসদে ২০১৭-১৮ অর্থবছরের বাজেটে এ প্রস্তাব করেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত বলেন, তৈরি পোশাক শিল্প খাতের করপোরেট করের হারে ৫ শতাংশ কমানো হচ্ছে ২০১৭-১৮ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে। বাজেটে এ খাতের কর হার ২০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১৫ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছে।তিনি বলেন, দেশের কর্মসংস্থান ও অর্থনৈতিক উন্নয়নে তৈরি পোশাক শিল্প গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে। বর্তমানে আন্তর্জাতিক প্রতিকূল বাজার পরিস্থিতিতে এ খাত নানা চাপের মুখে আছে। অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও কর্মসংস্থানের তৈরি পোশাক খাতের গুরুত্ব বিবেচনা করে এ খাতকে সবসময় নানাবিধ প্রণোদনা দেওয়া হয়।

তিনি বলেন, তৈরি পোশাক উৎপাদন ও রফতানিতে নিয়োজিত করদাতারা বর্তমানে ০.৭০ শতাংশ হারে উৎসে কর এবং ২০ শতাংশ হারে আয়কর দিচ্ছেন। যা আগামী বছর আয়করের হার হ্রাস করে ১৫ শতাংশ করার প্রস্তাব করছি।২০১৭-১৮ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে জিডিপি প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৭ দশমিক ৪ শতাংশ। বৃহস্পতিবার চার লাখ ২৬৬ কোটি টাকার বিশাল এই বাজেট জাতীয় সংসদে পেশ করেছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।সংসদে বাজেট পেশ করার আগে মন্ত্রিসভার বিশেষ বৈঠকে এই বাজেট অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। বাজেটে ঘাটতি ধরা হয়েছে ৫ শতাংশ। আগামী ২০১৭-১৮ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে ঘাটতি ধরা হয়েছে এক লাখ ১২ হাজার ২৭৬ কোটি টাকা। বৃহস্পতিবার চার লাখ ২৬৬ কোটি টাকার বিশাল এই বাজেট জাতীয় সংসদে পেশ করছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।বাজেট পেশ করার আগে মন্ত্রিসভার বিশেষ বৈঠকে এই বাজেট অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। তাতে দেখা গেছে, বাজেটে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে চার লাখ ২৬৬ কোটি টাকা। এর মধ্যে ঘাটতি বাজেট ধরা হচ্ছে এক লাখ ১২ হাজার ২৭৬ কোটি টাকা। শতকরা হারে যা জিডিপির ৫ ভাগ। বরাবরের মতো এবারও অভ্যন্তরীণ উৎস এবং বিদেশি সাহায্য থেকে ঘাটতি মেটানো হবে।