প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আধুনিকায়ন করতে যেন পরিবেশের ক্ষতি না সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। নগরায়নের প্রয়োজন আছে কিন্তু গ্রাম বাংলার প্রাকৃতিক ভারসাম্য যেন বজায় থাকে সেই প্রচেষ্টা রাখতে হবে। এ জন্য সব কিছু পরিকল্পিতভাবে করা হচ্ছে। রোববার সকালে বিশ্ব পরিবেশ দিবস ও বৃক্ষমেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।

এসময় তিনি আরো বলেন, বেশি লাভের আশায় অনেক সময় অনেকে কীটনাশক রাসায়নিক ব্যবহার করে। সেটা যেন আর না হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। পরিবেশ রক্ষার্থে আমরা কিছু শিল্পাঞ্চল গড়ে দিচ্ছি। যে কেউ যেখানে সেখানে শিল্প এলাকা গড়ে তুলবে তা হবে না। পরিবেশ রক্ষার জন্য বৃক্ষরোপন ও বনাঞ্চল তৈরি করা দরকার। এর মধ্যে দিয়েই আমরা নদীগুলি সংরক্ষণ করতে পারি। প্রাকৃতিক বেস্টনীই পারে ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাস থেকে আমাদের রক্ষা করতে। একটা উদাহরণ দিই, কক্সবাজারে বিশাল যে ঝাউবন দেখা যায় তা বঙ্গবন্ধুর সৃষ্টি। সেটাই জলোচ্ছ্বাস থেকে কক্সবাজারকে রক্ষা করে। প্রকৃতিকে রক্ষার নির্দেশনা মেনেই আমরা এগোচ্ছি।

সবাইকে তিনটি করে গাছ লাগানোর আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সবাইকে একটি করে বনজ, ভেষজ ও ফলজ গাছ লাগানোর আহ্বান জানাচ্ছি। “ফলজ গাছ লাগাতে বলছি কারণ নিজের হাতে লাগানো গাছের ফল ছেলে-মেয়ে ও নাতি পুতিদের খাওয়াতে পারার আনন্দই অন্যরকম। গণভবনে একটা আম গাছে আম ধরেছে। সেটা পেড়ে নাতিদের দিলাম। খুব ভালো লাগলো। টবেও এখন স্ট্রবেরি ফল হচ্ছে। সেটাও তাদের পেড়ে খাওয়ায়। পাশে বাটিতে পানি রাখি। গাছ থেকে পেড়ে সাথে সাথে ধুয়ে দিয়ে বলি, খাও। সেটার আনন্দ অন্যরকম।”

দেশের অন্তত ২৫ ভাগ বনায়ন থাকা দরকার উল্লেখ করে সবার উদ্দেশ্যে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তাহলেই পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা পাবে। আসুন সবাই মিলে দেশটাকে আরো সুন্দরভাবে গড়ে তুলি।