জাপান রোববার ঐতিহাসিক হিরোশিমা দিবস পালন করছে। বিশ্বের ইতিহাসের অন্যতম কলঙ্কজনক ঘটনার আজ ৭২তম বার্ষিকী। ১৯৪৫ সালের এই দিনে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় যুক্তরাষ্ট্র জাপানের হিরোশিমা শহরে আণবিক বোমা হামলা চালায়।হিরোশিমার পিস মেমোরিয়াল পার্কে শহরটির মেয়র বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠায় ও পরমাণু বোমা মুক্ত বিশ্ব গড়ে তোলার জন্য সকলের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।খবর সিনহুয়া’র।অনুষ্ঠানে ৫০ হাজারের বেশি লোক অংশ নেয়। এদের মধ্যে ওই হামলায় যারা বেঁচে গিয়েছিলেন তারাও রয়েছেন। এছাড়াও শান্তি কর্মী, নিহতদের পরিবারের সদস্য এবং বিশ্বের প্রায় ৮০টি দেশ ও অঞ্চলের মানুষ এতে যোগ দেয়।নগরীর মেয়র কাজুমি মাৎসুই সেখানে উপ¯ি’ত মানুষের সামনে শান্তির ঘোষণা দেন।তিনি পরমাণু অস্ত্র মুক্ত বিশ্ব গড়ে তুলতে ‘সম্ভাব্য সব ধরনের প্রচেষ্টা চালাতে’ জাপান সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।

মেয়র ১৯৪৫ সালে পরমাণু বোমার আঘাত নিয়ে যারা বেঁচে আছেন এবং যারা বোমাটির তেজস্ক্রিয়তার প্রভাবে শারীরিক ও মানসিকভাবে প্রতিবন্ধী হয়ে বেঁচে আছেন তাদের জন্যে আরো সহায়তা বাড়াতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো অ্যাবে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন।তিনি বলেন, তিনটি অ-পরমাণু নীতি (উৎপাদন নয়, প্রক্রিয়াকরণ নয় অথবা জাপানের ভূখন্ডে পরমাণু অস্ত্রের অনুমোদন নয়) যথাযথভাবে মেনে চলা এবং পরমাণু ও অ-পরমাণু উভয় দেশের প্রতি অব্যাহত আহ্বানের মাধ্যমে জাপান আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের নেতৃত্ব দিতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।এদিকে অ্যাবে যখন বক্তৃতা দিচ্ছিলেন, পার্কের চারপাশ থেকে তখন তার বিরুদ্ধে একদল বিক্ষোভকারী স্লোগান দিচিছল।অ্যাবের দীর্ঘদিনের পরিকল্পনা জাপানের শান্তিবাদী সংবিধানে পরিবর্তন আনা। বিক্ষোভকারীদের মতে, সংবিধানে এই পরিবর্তন আনা হলে জাপান যুদ্ধে জড়িয়ে পড়তে পারে।