আজ ২৪ আগস্ট প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমান এর সহধর্মিনী আইভী রহমানের ১৩ তম শাহাদত বার্ষিকীতে বনানী কবরস্থানে পুষ্পস্তবক অর্পনের পর সাংবাদিকদের সাথে মত বিনিময়কালে এ কথা বলেন, যুবলীগ চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ওমর ফারুক চৌধুরী। তিনি আরও বলেন, ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলার ঘটনা ছিল বিশ্বের ইতিহাসে অন্যতম জঘন্য রাজনৈতিক সন্ত্রাস। একটি রাজনৈতিক দলের সমাবেশের উপর এরকম পাশবিক নৃশংস হামলা কেবল নজিরবিহীন নয়, পৈশাচিকও বটে।
আজকে আদালতে প্রমাণিত, এই ঘটনা ঘটিয়েছে তারেক জিয়ার নেতৃত্বে বেগম খালেদা জিয়ার ক্যাবিনেট। রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনাকে হত্যার মাধ্যমে বাংলাদেশকে আবার পাকিস্তান বানানোই ছিল তাঁদের মূল এজেন্ডা, যে এজেন্ডা তাঁরা পাঁচত্তরের ১৫ আগস্ট জাতির পিতা হত্যার মাধ্যমে গ্রহণ করেছিল।
কিন্তু হতবাক হয়ে শুনলাম ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলা প্রসঙ্গে বিএনপি নেতা শীর্ষ দুর্নীতিবাজ ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, এটা নিছক দুর্ঘটনা। এই নিয়ে এত কান্নাকাটি করার কিছু নাই।
ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন একজন ভাড়াটে খুনি, সন্ত্রাসী এবং ইতর শ্রেণির রাজনীতিবিদ। তিনি শিক্ষকতার আড়ালে ছাত্রদলের সন্ত্রাসীদের লালন করতেন, পৃষ্ঠপোষকতা দিতেন। তাঁর মদদেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রী মিছিলে হামলার মতো কুৎসিত নোংরা ঘটনা ঘটানো হয়েছিল। বিশ্ববিদ্যালয়ের সন্ত্রাসীদের পৃষ্ঠপোষক ছিলেন এই কুলাঙ্গার শিক্ষক। এবং তিনি যে রাজনৈতিক দলটি করেন সেই বিএনপি বাংলাদেশে হত্যা, সন্ত্রাসের রাজনীতির ধারক-বাহক। তাদের জন্য হত্যা সন্ত্রাস পৈশাচিকতা ধর্ষণ লুণ্ঠন স্বাভাবিক ব্যাপার। ষড়যন্ত্র হত্যা নৃশংসতাই তাঁদের রাজনীতির মূল উদ্দেশ্য। এজন্যই ড. মোশাররফের ঘৃণ্য সন্ত্রাসের মদদদাতা রাজনীতিবিদরাই এ ধরনের মন্তব্য করতে পারেন।
আওয়ামী যুবলীগের চেয়ারম্যান হিসেবে আমি দ্ব্যর্থহীন ভাবে ঘোষণা করতে চাই যে, এই সন্ত্রাসের মদদদাতা বিএনপি নেতাকে অবিলম্বে তাঁর বক্তব্য প্রত্যাহার এবং ২৪ ঘণ্টার মধ্যে নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করতে হবে। অন্যথায় আওয়ামী যুবলীগ সারা বাংলাদেশে তাঁকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করবে।
এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক মোঃ হারুনুর রশীদ, প্রেসিডিয়াম সদস্য মুজিবুর রহমান চৌধুরী, সিরাজুল ইসলাম মোল্লা, যুগ্ম সম্পাদক সুব্রত পাল, সাংগঠনিক সম্পাদক মুহাঃ বদিউল আলম, দপ্তর সম্পাদক কাজী আনিসুর রহমান, ড. সাজ্জাদ হায়দার লিটন, ঢাকা মহানগর উত্তর সাধারণ সম্পাদক ইসমাইল হোসেন প্রমূখ।