ব্যক্তিগত অর্জনের রোমাঞ্চ সাকিব আল হাসানকে দোলা দেয় কমই। তবে এটি খুব করে চাইছিলেন সাকিব। অপেক্ষায় ছিল বাংলাদেশের ক্রিকেটও। অনেক রেকর্ডের নায়কের অর্জন এবার অসাধারণ একটি রেকর্ড। ৯টি টেস্ট খেলুড়ে দেশের বিপক্ষে ৫ উইকেট!৮ দেশের বিপক্ষে হয়ে গিয়েছিল আগেই। বাকি ছিল কেবল অস্ট্রেলিয়া। এই সিরিজের আগে তাদের বিপক্ষে ক্যারিয়ারে কখনোই টেস্ট খেলা হয়নি সাকিবের। সেই অপূর্ণতা ঘোচালেন প্রথম সুযোগেই। মিরপুর টেস্টে নিলেন ৫ উইকেট।

৯টি টেস্ট খেলুড়ে দেশের বিপক্ষে ৫ উইকেটের কৃতিত্ব আছে আর কেবল মুত্তিয়া মুরালিধরন, ডেল স্টেইন ও রঙ্গনা হেরাথের। তবে একটা জায়গায় তিনিই সবার ওপরে। ৯ দেশের বিপক্ষে ৫ উইকেট নিতে বাকি তিন জনেরই লেগেছে সাকিবের চেয়ে বেশি টেস্ট। মুরালিধরনের লেগেছিল ৬৬ টেস্ট। স্টেইন ও হেরাথের ৭৫ টেস্ট।সব কটি দেশের বিপক্ষে ৫ উইকেটের রেকর্ড হিসেবে বলা যেত কিছুদিন আগেও। তবে গত জুনে টেস্ট মর্যাদা পেয়েছে আয়ারল্যান্ড ও আফগানিস্তান।অস্ট্রেলিয়ার জন্য যেমন ছিল দীর্ঘ অপেক্ষা, সোমবার সাকিবের ৫ উইকেট পূর্ণ হলোও বেশ অপেক্ষার পর। তিনটি উইকেট অবশ্য বেশ আগেই হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু শেষ দুটি উইকেটের জন্য লড়তে হলো অনেক। শেষ দুই জুটিতে বাংলাদেশকে দারুণ ভোগাল অস্ট্রেলিয়া। শেষ পর্যন্ত সেই সাকিবেই উদ্ধার। শেষ দুটি উইকেট নিয়ে স্পর্শ করলেন মাইলফলক। দলকে এনে দিলেন লিড। চা-বিরতির পরপরই প্যাট কামিন্সকে বোল্ড করে ভাঙলেন ৪৯ রানের নবম উইকেট জুটি। এরপর শেষ ব্যাটসম্যান জশ হেইজেলউডকে আউট করে পূর্ণ হলো ৫ উইকেট।সাকিব প্রথমবার ৫ উইকেটের দেখা পেয়েছিলেন ক্যারিয়ারের সপ্তম টেস্টে। প্রথম ৬ টেস্টে ছিল মাত্র ৩ উইকেট। ২০০৮ সালে নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে চট্টগ্রামে ৭ উইকেট পেলেন ৩৬ রানে। সেই থেকে এবার নিয়ে ৫ উইকেট পেলেন ১৬ বার।সবচেয়ে বেশি তিনবার ৫ উইকেট নিয়েছেন জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে। দুবার করে নিয়েছেন ইংল্যান্ড, নিউ জিল্যান্ড, ওয়েস্ট ইন্ডিজ, শ্রীলঙ্কা ও দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে। অস্ট্রেলিয়া, ভারত ও পাকিস্তানের বিপক্ষে ১ বার করে।১৬ বারের ১২ বার ৫ উইকেট নিয়েছেন দেশের মাটিতে। দুবার দক্ষিণ আফ্রিকায়; ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও ইংল্যান্ডে একবার করে।ক্যারিয়ার শেষের আগে যদি আয়ারল্যান্ড ও আফগানিস্তানের বিপক্ষে খেলার সুযোগ পান, হয়তো বৃত্ত পূরণও করে ফেলবেন সাকিব।