যেন বাঘের ডেরায় সিংহের গর্জন। যে স্পিনকে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করতে চেয়েছিল, উল্টো সেটাই বাংলাদেশের জন্য ফাঁদ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বাংলাদেশের স্পিনাররা যতটা না স্মিথ-ওয়ার্নারদের ঘাম ঝড়িয়েছে সেই তুলনায় তামিম-মুশফিকদের অনেক বেশি পরীক্ষা নিয়েছেন নাথান লায়ন।

অস্ট্রেলীয় এই অফ স্পিনারই এই সিরিজের পার্থক্য গড়ে দিয়েছেন। চলমান এই সিরিজে এখন পর্যন্ত ২০ উইকেট নিয়েছেন তিনি। সিরিজের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ উইকেট নিয়েছেন সাকিব আল হাসান, ১১টি। বল হাতে লায়নের প্রতিরোধের কারণেই এখন পর্যন্ত লড়াইয়ে টিকে আছে সফরকারীরা।

সিরিজে ২০ উইকেট নিয়ে অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেট ইতিহাসে অনন্য এক রেকর্ড স্থাপন করলেন নাথান লায়ন। দুই টেস্টের সিরিজে তাঁর চেয়ে বেশি উইকেট নিতে পারেননি আর কোনো অসি বোলার। ১৮৮৭ সালের অ্যাশেজ ছিল দুই টেস্টের। সেবার সিরিজে ১৮ উইকেট নিয়েছিলেন বাঁহাতি পেসার জেজে ফেরিস। এতদিন ধরে এটাই অস্ট্রেলিয়ার সর্বকালের সেরা রেকর্ড হয়ে ছিল। এবারের বাংলাদেশ সফরে ১৩০ বছরের পুরোনো রেকর্ড ভাঙলেন লায়ন।

দুই ম্যাচ সিরিজে সর্বোচ্চ উইকেট নেওয়ার বিশ্ব রেকর্ডের খুব কাছেই রয়েছেন অসি অফ স্পিনার। এর আগে ২০১৪ সালে পাকিস্তানের বিপক্ষে দুই ম্যাচে ২৩ উইকেট নিয়েছিলেন শ্রীলঙ্কান স্পিনার রঙ্গনা হেরাথ।

এই সিরিজে অস্ট্রেলিয়ার শতবর্ষী আরেকটি রেকর্ড ভেঙেছেন নাথান লায়ন। ১৯০২ সালে সর্বশেষ অফস্পিনার হিসেবে ক্যারিয়ারে দ্বিতীয়বারের মতো ১০ উইকেট নিয়েছিলেন হিউজ ট্রুম্বেল। সেবার অ্যাশেজে পরপর দুই টেস্টে ১০ উইকেট করেন নেন তিনি। আজ ট্রুম্বেলকে ছাড়িয়ে গেলেন লায়ন। ২০১৪ সালে অ্যাডিলেডে ভারতের বিপক্ষে দুই ইনিংসে ১২ উইকেট নেওয়ার পর আজ আবার ১০ উইকেটের মাইলফলকে নাম লেখালেন নাথান লায়ন। প্রথম ইনিংসে ৯৪ রানে সাত উইকেট নেওয়ার পর দ্বিতীয় ইনিংসে এখন পর্যন্ত বাংলাদেশের ছয়টি উইকেটের চারটিই গেছে লায়নের ঝুলিতে।