উত্তর কোরিয়ার বিরুদ্ধে নেওয়া যেকোনো সামরিক ব্যবস্থা বিধ্বংসী হবে বলে পিয়ংইয়ংকে সতর্ক করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। কিন্তু উত্তর কোরিয়ার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ও পারমাণবিক অস্ত্র কর্মসূচীর মোকাবিলায় শক্তির ব্যবহার ওয়াশিংটনের প্রথম পছন্দ নয় বলে জানিয়েছেন তিনি।

মঙ্গলবার হোয়াইট হাউসে এক সংবাদ সম্মেলনে ট্রাম্প বলেন, দ্বিতীয় বিকল্পের জন্য পুরোপুরি প্রস্তুত আছি আমরা, কিন্তু এটি পছন্দনীয় বিকল্প নয়।কিন্তু আমরা যদি এই বিকল্পটি গ্রহণ করি, তাহলে তা বিধ্বংসী হবে, এটি আপনাদের আমি বলতে পারি, উত্তর কোরিয়ার জন্য বিধ্বংসী হবে। এটাকেই সামরিক বিকল্প বলা হয়। আমাদের যদি এটিই গ্রহণ করতে হয়, আমরা করবো।সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে ট্রাম্প ও উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উনের মারমুখি বিবৃতি-পাল্টা বিবৃতিতে এমন আশঙ্কা জেগেছে যে, যেকোনো ধরনের ভুলের ফলে নজিরবিহীন পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে পারে। বিশেষভাবে ৩ সেপ্টেম্বর উত্তর কোরিয়া তার ষষ্ঠ ও সবচেয়ে শক্তিশালী পারমাণবিক পরীক্ষার পর থেকে এমন আশঙ্কা আরো বেড়ে গেছে। উত্তেজনা বাড়তে থাকা সত্বেও যুক্তরাষ্ট্র উত্তর কোরিয়ার সামরিক হালচালে হুমকি বৃদ্ধি পাওয়ার মতো কোনো পরিবর্তন লক্ষ্য করেনি বলে মঙ্গলবার জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনীর প্রধান জেনারেল জোসেফ ডানফোর্ড।

নিজের পদে পুনর্নিয়োগের বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র সিনেটের আর্মড সার্ভিস কমিটির শুনানিতে দেশটির জয়েন্ট চিফ অব স্টাফের চেয়ারম্যান মেরিন কর্পস জেনারেল ডানফোর্ড বলেন, বর্তমানে রাজনৈতিক ক্ষেত্রটি পরিষ্কারভাবে অত্যন্ত উত্তপ্ত হয়ে আছে, এ সত্বেও উত্তর কোরিয়ার বাহিনীগুলোর হালচালে কোনো পরিবর্তন লক্ষ্য করিনি আমরা, আমরা তাদের গতিবিধির ওপর কড়া নজর রাখছি।জরুরি বিষয় হল, এখন নিশ্চিতভাবে উত্তর কোরিয়াই সবচেয়ে বড় হুমকি।উত্তর কোরিয়ার সামরিক বাহিনীর অবস্থান সম্পর্কে ডানফোর্ডের পুরো বিপরীত কথাই বলেছেন দক্ষিণ কোরীয় এক আইনপ্রণেতা। পূর্ব উপকূল বরাবর উত্তর কোরিয়া তার প্রতিরক্ষা অবস্থান জোরদার করছে বলে দাবি করেছেন তিনি। পরিচয় না প্রকাশ করার শর্তে যুক্তরাষ্ট্রের এক প্রতিরক্ষা কর্মকর্তা জানিয়েছেন, উত্তর কোরিয়ার অল্প কিছু সামরিক বিমান পূর্ব উপকূলের দিকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে, কৃত্রিম উপগ্রহ থেকে পাওয়া ছবিতে এমন এমনটি দেখা গেছে। তবে এতে উত্তর কোরিয়ার সামরিক বাহিনীর অবস্থান সম্পর্কে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনীর সিদ্ধান্তে পরিবর্তন আসবে না বলে জানিয়েছেন তিনি।