গাজাভিত্তিক ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস জানিয়েছে, তারা মধ্যস্ততাকারীদের দেয়া যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবটি নিয়ে আলোচনা করছে। তবে তারা আবারো জোর দিয়ে বলছে, স্থায়ী যুদ্ধবিরতি এবং গাজা থেকে ইসরাইলি বাহিনীর পূর্ণ প্রত্যাহারের শর্ত দুটি না মানা হলে তারা কোনো প্রস্তাবই গ্রহণ করবে না। মিসরীয় মিডিয়া এ খবর প্রকাশ করেছে।

হামাসের শর্ত দুটিই আলোচকদের কাছে যুদ্ধবিরতি আলোচনার প্রধান বিষয়ে পরিণত হয়েছে।

এর আগে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেন দাবি করেন যে ইসরাইলি প্রস্তাবটি ‘অনন্যসাধারণ উদার’ প্রস্তাব। আর মিসরের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, তিনি নতুন প্রস্তাবের ব্যাপারে ‘আশাবাদী।’

ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন বলেন, গাজা থেকে বন্দীদের মুক্তির বিনিময়ে ৪০ দিনের যুদ্ধবিরতি চুক্তির সম্ভাবনা রয়েছে।

তবে হামাসের সিনিয়র নেতা ওসামা হামদান আল জাজিরাকে বলেন, ‘ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে হামলা বন্ধ করাটা কোনো উদার করা নয়। খোদ হামলাই একটি অপরাধ। ফলে আপনি যখন কোনো অপরাধ করা বন্ধ করবেন, তখন আপনি দাবি করতে পারেন না যে এটি ইসরাইলি পক্ষ থেকে একটি উদার কাজ।’

ইসরাইল-হামাস চুক্তির পূর্ণ বাস্তবায়ন নিশ্চিত করার জন্য কাজ করবে যুক্তরাষ্ট্র, মিসর ও কাতার

এদিকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন মিসরের প্রেসিডেন্ট আবদেল-ফাত্তাহ আল সিসি এবং কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল সানিকে নিশ্চয়তা দিয়েছেন যে গাজা নিয়ে ইসরাইল ও হামাসের মধ্যে কোনো চুক্তি হলে তারা তিন দেশ ওই যুদ্ধবিরতি চুক্তির শর্তাবলী ‘পূর্ণ বাস্তবায়নে কাজ’ করবে।

এদিকে হোয়াইট হাউস এক বিবৃতিতে বলেছে যে বাইডেন ওই দুই নেতাকে বলেছেন যে বন্দী বিষয়টি এখন হামাসের হাতে। তারাই তাৎক্ষণিক যুদ্ধবিরতি এবং গাজার বেসামরিক লোকদের স্বস্তি দেয়ার পথে একমাত্র বাধা।

ওই তিন নেতা বর্তমানে গাজায় যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছেন। তারা গাজায় ত্রাণ সহায়তা বাড়ানোর চেষ্টাও চালাচ্ছেন বলে হোয়াইট হাউস জানিয়েছে।

উল্লেখ্য, যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবে হামাসের হাতে আটক ৩৩ জন বন্দীর বিনিময়ে ৪০ দিনের যুদ্ধবিরতির কথা বলা হয়েছে। এছাড়া এ সময় ইসরাইলের কারাগার থেকে কয়েক হাজার ফিলিস্তিনিকে মুক্তির কথাও রয়েছে।

সূত্র : আল জাজিরা, টাইমস অব ইসরাইল