বেসরকারি টিভি চ্যানেল আই-এর উনিশ বছরে পদার্পণ উপলক্ষে এর উদ্যোক্তা, সাংবাদিক, কলাকুশলী ও সংশ্লিষ্ট সবাইকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। চ্যানেল আই’র প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে এক বাণীতে তিনি বলেন: আমার প্রত্যাশা চ্যানেল আই সংবাদ পরিবেশনে বস্তুনিষ্ঠতা, দায়িত্বশীলতা, নিরপেক্ষতা বজায় রাখবে এবং রুচিশীল ও শিক্ষণীয় অনুষ্ঠান প্রচারের মাধ্যমে আমাদের সংস্কৃতি, ইতিহাস, ঐতিহ্য ও মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে সমুন্নত রাখবে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন: আমাদের সরকার মুক্তবুদ্ধি ও মুক্তচিন্তার স্বাধীনতাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেয়। দেশে গণমাধ্যমের বিকাশ ও অগ্রযাত্রায় আওয়ামী লীগ সরকার সবসময়ই অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছে। ১৯৯৬-২০০১ মেয়াদে আমরাই প্রথম দেশে বেসরকারি স্যাটেলাইট টেলিভিশন চালুর অনুমোদন দেই। যা ছিল গণমাধ্যমের বিকাশে এক স্বর্ণালী অধ্যায়।

‘এই সরকার গণমাধ্যমবান্ধব সরকার। আমরা দেশে সর্বপ্রথম জাতীয় সম্প্রচার নীতিমালাসহ তথ্য অধিকার আইন প্রণয়ন ও তথ্য কমিশন প্রতিষ্ঠা করেছি। আমরা বাংলাদেশ টেলিভিশন, বিটিভি ওয়ার্ল্ড এবং সংসদ টেলিভিশনের পাশাপাশি বেসরকারি খাতে ৪৬টি টেলিভিশন, ২২টি এফএম রেডিও এবং ৩২টি কমিউনিটি রেডিও চ্যানেলের অনুমোদন দিয়েছি। এর ফলে ব্যাপক কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হয়েছে।’

সাংবাদিকদের কল্যাণে স্থায়ী ব্যবস্থা হিসেবে বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট প্রতিষ্ঠার কথা উল্রেখ করে বাণীতে প্রধানমন্ত্রী বলেন: সংবাদপত্রকে শিল্প হিসেবে ঘোষণা করেছি। আমরা ক্যাবল টেলিভিশন নেটওয়ার্ক আইনের আওতায় ক্যাবল টেলিভিশন নেটওয়ার্ক পরিচালনা ও লাইসেন্সিং বিধিমালা প্রণয়ন করেছি। আমাদের এ সকল পদক্ষেপের ফলে তথ্যের অবাধ প্রবাহ নিশ্চিত হয়েছে। দেশের গণমাধ্যম পূর্ণ স্বাধীনতা ভোগ করছে। চ্যানেল আই-এর উনিশ বছরে পদার্পণ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানের সার্বিক সাফল্যও কামনা করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।