জাতিসংঘের নিষেধাজ্ঞা পাশ কাটিয়ে একের পর এক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা ও পারমাণবিক অস্ত্র সমৃদ্ধকরণ কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছে উত্তর কোরিয়া। এই ‘একগুঁয়ে’ আচরণের জের ধরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ তাদের মিত্র দেশগুলো সঙ্গে উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে চলছে রেষারেষি। এমন উত্তেজনাকর পরিস্থিতির মধ্যে আবারও হুয়াসং-১৪ নামে আন্তমহাদেশীয় ক্ষেপণাস্ত্রের (আইসিবিএম) পরীক্ষা চালিয়েছে উত্তর কোরিয়া।

স্থানীয় সময় বুধবার ভোরে পিয়ংগান প্রদেশের পিয়ংসং এলাকা থেকে ক্ষেপণাস্ত্রটি ছোড়া হয়। এটি উত্তর কোরিয়ার এখন পর্যন্ত পরীক্ষা চালানো সবচেয়ে শক্তিশালী ক্ষেপণাস্ত্র বলে ধারণা করা হচ্ছে। দক্ষিণ কোরিয়ার সেনাবাহিনীর বরাত দিয়ে বিবিসির খবরে বলা হয়, ক্ষেপণাস্ত্রটি আকাশে সাড়ে চার হাজার কিলোমিটার উচ্চতায় পৌঁছে যায়। পরে ৯৬০ কিলোমিটার দূরত্ব অতিক্রম করে সেটি জাপান সাগরে পতিত হয়।

এ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জেমস ম্যাটিস জানান, বুধবার ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্রটি পৃথিবীর ‘যেকোনো প্রান্তে’ আঘাত করতে সক্ষম। সেটি আগেরগুলোর থেকে অনেক বেশি উচ্চতায় উঠেছে এবং দূরত্ব অতিক্রম করেছে। উত্তর কোরিয়ার এই পদক্ষেপ পুরো বিশ্বের জন্য হুমকি। এদিকে উত্তর কোরিয়ার এই নতুন ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার পর জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের জরুরি বৈঠক ডাকা হয়েছে। আর বিষয়টি ‘আমলে আনা হবে’ বলে মন্তব্য করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

বুধবার ছোড়া হুয়াসং-১৪ সম্পর্কে জানাতে গিয়ে মার্কিন বিজ্ঞানীরা বলেন, পূর্ণ ক্ষমতা পেলে ক্ষেপণাস্ত্রটি ১৩ হাজার কিলোমিটার অতিক্রম করতে সক্ষম। যেটি যুক্তরাষ্ট্রের যেকোনো স্থানে আঘাত হানতে সক্ষম। তবে ক্ষেপণাস্ত্রটিতে পারমাণবিক অস্ত্র বহনের ব্যবস্থা নাও থাকতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এর আগে সর্বশেষ ১৫ সেপ্টেম্বর ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালায় উত্তর কোরিয়া। চলতি বছরে পঞ্চম ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা ছিল সেটি। এ ছাড়া সেপ্টেম্বরের শুরুতে ষষ্ঠবারের মতো পারমাণবিক বোমার বিস্ফোরণ ঘটায় দেশটি। সর্বশেষ অক্টোবরে হাইড্রোজেন বোমার পরীক্ষা চালানো হয়।