অন্যের অনার্স পরীক্ষায় প্রক্সি দিতে গিয়ে ধরা পড়ে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ১ বছরের জন্য জেলহাজতে গেলেন ১০ ভুয়া পরীক্ষার্থী। এদের মধ্য ৮ ছাত্র ও ২ ছাত্রী। এর বাহিরেও পরীক্ষায় প্রক্সি গ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের আইনের আওতায় আনার জন্য দাবি জানান সাধারণ পরীক্ষার্থীরা।

মঙ্গলবার বিকেলে লালমনিরহাট মজিদা খাতুন সরকারি মহিলা কলেজ কেন্দ্রে ভ্রাম্যমাণ আদালতে এ কারাদণ্ডাদেশ প্রদান করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সহকারী কমিশনার মমতাজ বেগম।

কারাদণ্ড প্রাপ্তরা হলো, রংপুর গংগাচড়া উপজেলার নিবারন সর্দারের ছেলে কারমাইকেল কলেজ ছাত্র লিটন সরকার (২৪), নীলফামারী সদরের ইসমাইল হোসেনের ছেলে উত্তরবাংলা ডিগ্রী কলেজ ছাত্র সৌরভ আহমেদ (২৭), নীলফামারীর ডিমলার আলাল উদ্দিনের ছেলে বেরোবি ছাত্র আব্দুল আজিজ (২১), লালমনিরহাটের কালীগঞ্জের মৃত বছর উদ্দিনের ছেলে বগুড়া আজিজুল হক কলেজ ছাত্র নয়ন হোসেন (৩২), দিনাজপুর খানসামার রশিজ উদ্দিনের ছেলে কারমাইকেল কলেজ ছাত্র মজিবুল ইসলাম (২৪), রংপুর মিঠাপুকুরের আমিন উদ্দিনের মেয়ে কারমাইকেল কলেজ ছাত্রী উম্মে হাবিবা বেগম (২৪), রংপুর শহরের লুৎফর রহমানের মেয়ে কারমাইকেল কলেজ ছাত্রী লিমা খাতুন (২২), গাইবান্ধা সুন্দরগঞ্জের শান্তি লাল বর্মনের ছেলে বেরোবি ছাত্র সুরজিৎ চন্দ্র বর্মন (২৬), নীলফামারীর ডিমলার একরামুল হকের ছেলে বেরোবি ছাত্র শাহীন আলম (২২) ও একই এলাকার আব্দুস সালামের ছেলে হাতীবান্ধা আলিমুদ্দিন ডিগ্রী কলেজ ছাত্র রমজান আলী(২৭)।

লালমনিরহাট মজিদা খাতুন সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ রবীন্দ্র নাথ রায় জানান, অনার্স দ্বিতীয় বর্ষের ইংরাজি আবশ্যিক বিষয়ের পরীক্ষা চলছিল। এ সময় তার কলেজ কেন্দ্রে প্রক্সি পরীক্ষা দেয়ার অভিযোগে ১০ জন ভুয়া পরীক্ষার্থীকে আটক করা হয়। পরে তাদেরকে কলেজ ক্যাম্পাসে পরিচালিত ভ্রাম্যমাণ আদালতে হাজির করা হলে আদালত তাদের ১ বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করেন।

লালমনিরহাট সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহফুজ আলম সাংবাদিককে জানান, দণ্ডপ্রাপ্তদের সন্ধ্যার পরে লালমনিরহাট জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।