দায়িত্বে অবহেলা করে সন্তান প্রসবের সময় মাকসুদা বেগমের পেটের ভেতরে গজ রেখে অপারেশন করা ভুয়া চিকিৎসক অঞ্জুন চক্রবর্তী ওরফে রাজন দাস,ক্লিনিকের মালিক, নার্স ও মেডিক্যাল অ্যাসিস্ট্যান্টের বিরুদ্ধে মামলা করার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে ভুয়া চিকিৎসককে সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসনের করা মামলায় শাহবাগ থানা পুলিশের হাতে তুলে দেওয়ারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া, এ বিষয়ে আদেশের জন্য আগামী ১৩ ডিসেম্বর দিন ধার্য করেছেন আদালত।
সোমবার (১১ ডিসেম্বর) ওই ভুয়া চিকিৎসক আদালতে আত্মসমর্পণের পর বিচারপতি সালমা মাসুদ চৌধুরী ও বিচারপতি একেএম জহিরুল হকের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন।আদালতে পটুয়াখালীর সিভিল সার্জনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী শামসুদ্দিন বাবুল। এসময় নিরাময় ক্লিনিকের মালিক আনিসুর রহমান, মেডিক্যাল অ্যাসিস্ট্যান্ট মিশু সিকদার আদালতে উপস্থিত ছিলেন। মাকসুদা বেগমের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন ব্যারিস্টার ইমরান এ সিদ্দিকী।একটি জাতীয় দৈনিকে গত ২২ জুলাই ‘সাড়ে তিন মাস পর পেট থেকে বের হলো গজ!’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। প্রতিবেদনটি সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. শহিদ উল্লাহ আদালতের নজরে আনার পর রুলসহ হাইকোর্ট আদেশ দেন।গত ২৩ জুলাই পটুয়াখালীর সিভিল সার্জন ও বরিশাল মেডিক্যাল -এর গাইনি বিভাগের প্রধানসহ তিন জনকে তলব করেন হাইকোর্ট। এছাড়া পটুয়াখালীর বাউফলের নিরাময় ক্লিনিকের মালিককে হাজির হতে বলা হয়।এরপর ওই চিকিৎসকের লাইসেন্স ভুয়া প্রমাণিত হওয়ার পর গত ৬ নভেম্বর গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছিলেন হাইকোর্ট। এর পরিপ্রেক্ষিতে সোমবার সেই ভুয়া চিকিৎসক আদালতে আত্মসমর্পণ করলে তাকে থানায় পাঠানোসহ চার জনের বিরুদ্ধে মামলার নির্দেশ দেন।