ফিলিপাইনের দক্ষিণাঞ্চলে মৌসুমি ঝড়ে সৃষ্ট বন্যা ও ভূমিধসে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১৩০ জনে দাঁড়িয়েছে। প্রাকৃতিক এই দুর্যোগে পর্বতের পাদদেশের একটি গ্রামে ভূমিধস হয়েছে এবং আরেকটি শহর লণ্ডভণ্ড হয়ে গেছে। শনিবার দেশটির কর্মকর্তারা একথা জানান।

এ ব্যাপারে আঞ্চলিক পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এ দ্বীপরাষ্ট্রের দ্বিতীয় বৃহত্তম দ্বীপ মিন্দানাওয়ের তুবোদ শহরের কাছে ১৯ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। শুক্রবার সেখানে গ্রীষ্মমন্ডলীয় ঝড় তেম্বিনের আঘাতে সৃষ্ট আকস্মিক বন্যা ও ভূমিধসে একটি গ্রাম মাটির সঙ্গে মিশে গেছে। তুবোদের পুলিশ কর্মকর্তা গেরী পারামি বলেন, ‘নদীর পানি বেড়েছে এবং অধিকাংশ বাড়িঘর বিলীন হয়ে গেছে। সেখানে কোনো গ্রামের চিহ্ন নেই।’

এদিকে বেসামরিক প্রতিরক্ষা কর্মকর্তা সারিপদ পাসাসুম বলেন, আকস্মিক বন্যায় পাইগাপো শহরের প্রায় ৪০টি বাড়িঘর কাদামাটির নীচে চাপা পড়েছে। এতে অন্তত ১০ জন নিহত হয়েছে। তিনি আরও বলেন, ‘আমরা উপদ্রুত এলাকায় উদ্ধারকর্মীদের পাঠিয়েছি। কিন্তু পাথরের জন্য তারা খুব একটা এগুতে পারেনি।’ পুলিশ জানায়, এতে পার্শ্ববর্তী কয়েকটি শহর ও নগরীতে আরো চারজন নিহত হয়েছে।

উল্লেখ্য, প্রতি বছর ফিলিপাইনে গড়ে ২০টি শক্তিশালী ঝড় আঘাত হানে। তবে মিন্দানাওয়ে এ ধরণের ঝড় আঘাত হানার ঘটনা বিরল।