অবশেষে আয়ু ফুরাতে চলেছে হোয়াইট হাউসের ২০০ বছরের পুরনো গাছ ম্যাগনোলিয়ার। জ্যাকসন ম্যাগনোলিয়া নামের গাছটি লাগিয়েছিলেন প্রেসিডেন্ট অ্যান্ড্র– জ্যাকসন তার সদ্য প্রয়াত স্ত্রী র‌্যাচেল জ্যাকসনের স্মরণে। হোয়াইট হাউসে অনেক ঐতিহাসিক ঘটনার পেছনের দৃশ্যে এ গাছটিকে দেখা যায়। একসময় বিশ ডলারের নোটেও গাছটির ছবি ছিল। টেনিসির খামার থেকে র‌্যাচেল জ্যাকসনের প্রিয় ম্যাগনোলিয়া গাছের একটি অংশ এনে হোয়াইট হাউসে লাগানো হয়েছিল।

জীবদ্দশায় গাছটি ৩৩ জন প্রেসিডেন্টের শাসনামল দেখেছে। সেই সঙ্গে আমেরিকান গৃহযুদ্ধ আর দুইটি বিশ্বযুদ্ধেরও প্রত্যক্ষদর্শী এই গাছ। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এখন এ গাছটি খুব বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং সেটি রাখা নিরাপদও নয়। তাই ফার্স্ট লেডি মেলানিয়া ট্রাম্পের অনুরোধে গাছটির বড় একটি অংশই কেটে ফেলা হবে। ১৯৭০ সালে গাছটির একটি বড় অংশ প্রথমবার ভেঙে পড়ে। তখন সেটি সিমেন্ট দিয়ে ঘিরে দেয়া হয়। এর বছর দশেক পর গাছটি রক্ষা করতে বড় পোল আর তার দিয়ে বেঁধে দেয়া হয়।

হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র স্টেফানি গ্রিশাম বলছেন, মিসেস ট্রাম্প অনুরোধ করেছেন যেন গাছটির বীজ রক্ষা করা হয়। ফলে খালি জায়গায় নতুন একটি গাছ লাগানো সম্ভব হবে। তিনি বলেন, মিসেস ট্রাম্প এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, কারণ তার মতে এ গাছটি দর্শনার্থী আর সংবাদকর্মীদের নিরাপত্তার জন্য হুমকি। যারা প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের হেলিকপ্টার ওঠানামার সময় প্রায়ই এই গাছটির সামনে দাঁড়িয়ে থাকেন। গাছটি দেখে স্বাভাবিক মনে হলেও কিছুদিন আগে মার্কিন সংবাদ মাধ্যম সিএনএনে খবর প্রকাশিত হয়, গাছটি পুরোপুরি কৃত্রিম সহায়তায় টিকে আছে।