বাজেট বাড়ানো নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সংসদের উচ্চকক্ষ সিনেটে উত্থাপিত একটি বিল পাস না হওয়ায় কেন্দ্রীয় সরকারের কার্যক্রম অচল (শাটডাউন) হয়ে পড়েছে। প্রেসিডেন্ট পদে ডোনাল্ড ট্রাম্পের দায়িত্ব নেওয়ার প্রথম বর্ষপূর্তিতে এই অচলাবস্থায় পড়লো বিশ্বের সবচেয়ে বড় অর্থনৈতিক শক্তির দেশটি। আগামী ১৬ ফেব্র“য়ারি পর্যন্ত কেন্দ্রীয় সরকারের কার্যক্রম চালাতে প্রয়োজনীয় অর্থ ছাড়ে শুক্রবার (১৯ জানুয়ারি) সিনেটে ভোটাভুটি হয়। কিন্তু আলোচনা চললেও ক্ষমতাসীন রিপাবলিকান ও বিরোধী ডেমোক্র্যাটরা সমঝোতায় পৌঁছাতে ব্যর্থ হওয়ায় শেষ পর্যন্ত স্বল্প মেয়াদের বিলটি আটকে যায়। ১০০ আসন বিশিষ্ট সিনেটে বিলটি পাস হওয়ার জন্য ৬০টি ভোট প্রয়োজন ছিল, কিন্তু এটির পক্ষে-বিপক্ষে ভোট পড়ে ৫০-৪৯টি।শনিবার (২০ জানুয়ারি) আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম জানায়, হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভসে বিলটি পাস হয়ে যাওয়ার পরও সিনেটে আটকে যাওয়ায় নাখোশ হোয়াইট হাউস। তাছাড়া হোয়াইট হাউস ও সংসদ একটি দলের (রিপাবলিকান) অধীনে থাকার পরও সরকারে অচলাবস্থা তৈরি এই প্রথমবারের মতো ঘটলো যুক্তরাষ্ট্রে।

এই বিল আটকে যাওয়ার প্রভাব পড়ছে শত-সহ¯্র সরকারি কর্মীদের ওপর। বাধ্যতামূলক ছুটির প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোতে। বিলটি আটকে যাওয়ায় বিরোধী ডেমোক্র্যাটদের ওপর চটেছে রিপাবলিকান ট্রাম্পের হোয়াইট হাউস। এক বিবৃতিতে হোয়াইট হাউসের তরফ থেকে বলা হয়, ‘ডেমোক্র্যাটরা জাতীয় নিরাপত্তা, সামরিক পরিবার, অসহায় শিশু ও জাতীয় সক্ষমতার মধ্যেও রাজনীতি ঢুকিয়ে দিয়েছে। তারা তাদের বেপরোয়া দাবি আদায়ের জন্য সরকারকে জিম্মি করছে। পাল্টা তোপ দাগছে ডেমোক্র্যাটরাও। দলটির সিনেটর চাক স্কুমার বলছেন, ‘প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের কারণেই বিল ভেস্তে গেছে। কংগ্রেসে তিনি নিজেও তার দলকে বিল পাসে চাপ দেননি।এর আগে প্রেসিডেন্ট পদে বারাক ওবামা ক্ষমতায় থাকাকালে ২০১৩ সালেও অচলাবস্থা তৈরি হয়েছিল মার্কিন সরকারে। তখন ডেমোক্র্যাটদের সঙ্গে রিপাবলিকানরা সমঝোতায় পৌঁছাতে ব্যর্থ হওয়ায় ১৬ দিন বন্ধ থাকে কেন্দ্রীয় সরকারের কার্যক্রম। এই অর্ধমাসেরও বেশি সময়ের অচলাবস্থায় বাধ্যতামূলক ছুটিতে পাঠানো হয় কেন্দ্রীয় সরকারের কর্মচারীদের।