জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বয়স ও সামাজিক অবস্থান বিবেচনায় বিএনপি চেয়ারপারসন এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে ৫ বছরের কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত। তারেকসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে ১০ বছর করে কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। এছাড়া ২ কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন আদালত। বৃহস্পতিবার দুপুরে ঢাকার ৫ নম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক ড. আখতারুজ্জামান এই রায় দেন। এছাড়া, এই মামলার অন্য ৫ আসামির মধ্যে তারেক রহমানকে., মাগুরা বিএনপির সাবেক সাংসদ কাজী সালিমুল হক কামালকে., সাবেক মূখ্য সচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকীকে., ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদকে., জিয়াউর রহমানের ভাগনে মমিনুর রহমানের. সাজা দিয়েছেন আদালত।

এর মধ্যে তারেক রহমান বর্তমানে লন্ডনে অবস্থান করছেন এবং কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী এবং মমিনুর রহমান পলাতক রয়েছেন। গত ২৫ জানুয়ারি মামলার যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ হয়। ২ কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৭১ টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগে ২০০৮ সালের ৩ জুলাই দুর্নীতি দমন কমিশন -দুদক খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের করেন।

২০০৯ সালের ৫ আগস্ট খালেদা জিয়াসহ মোট ৬ জনকে আসামি করে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। মামলার রায়ে সন্তুষ প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবিরা।

অন্যদিকে, খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা বলছেন, রাজনীতি এবং নির্বাচন থেকে দূরে রাখতেই সরকারের চক্রান্তের অংশ হিসেবে এই মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসনকে সাজা দেয়া হয়েছে। এই রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করবে বলেও জানান খালেদার আইনজীবীরা।